গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে ১৪ কোটি টাকার অনিয়মের তদন্ত সম্পন্ন করেছে এ ঘটনায় গঠিত সংসদীয় কমিটি। হাসপাতালটিতে অনুমোদনহীনভাবে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এসব যন্ত্রপাতি স্থাপন তথা ব্যবহার না করেই বিল পরিশোধ করা হয় বলে বিভিন্ন তদন্তে উঠে আসে।
গতকাল শনিবার কমিটির সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের কমিটি তদন্তকাজ সম্পন্ন করে। এ তদন্তেও অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সাহার সময় যন্ত্রপাতিগুলো কেনা হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব পুরবী পাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অনিয়মের কথা উঠে আসে। চিঠি সূত্রে জানা যায়, সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ৫২তম বৈঠকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়মের বিষয়টি আলোচিত হয়।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের জন্য কেনা যন্ত্রপাতি স্থাপন ও কার্যকর করা ছাড়াই সরবরাহকারীকে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অডিট আপত্তি উত্থাপিত হলে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব তদন্তে সত্যতা পান। এ কারণে সে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়।
সভা থেকে আরও জানা যায়, হাসপাতালসমূহ লাইন ডিরেক্টর, হসপিটাল সাবজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এবং হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য মালামাল ক্রয় করে থাকেন। তা ছাড়া হাসপাতালের জন্য কেনা ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করে অন্য লাইন ডিরেক্টরের অধীনে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা যৌক্তিক হয়নি।
সভায় আরও উল্লেখ করা হয়, তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের চাহিদা ছাড়াই এসব কেনা হয়েছে, ফলে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে। ২০১৮ সালের পিপিআর-এর বিধি ১৬ (১) অনুযায়ী সকল ক্রয়কারীর জন্য বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এ ক্ষেত্রে তা-ও করা হয়নি। তা ছাড়া, যন্ত্রপাতিগুলোর সরবরাহকারী কর্তৃক স্থাপন, পরিচালন এবং সার্ভে রিপোর্ট ছাড়াই সরকারি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে।
এসব অনিয়ম তদন্তে সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু, মনজুর হোসেন ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি উল্লিখিত ক্রয়ের অনিয়ম সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই করার জন্য পরবর্তী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট করবেন বলে জানানো হয়।
পরে ৯ জানুয়ারি তদন্ত কমিটি আরেকটি সভা করে। ৯ জানুয়ারির সভায় কমিটির সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমরা একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। একটি অনুশাসন দিতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আর না হয়।’
গতকাল শনিবার আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমরা সরেজমিন অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত করেছি। এ সময় সংশ্লিষ্ট সকলেই উপস্থিত ছিলেন। এখন আমরা কমিটির সকলে বসে প্রতিবেদন তৈরি করব। পরে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুল কাদের বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তদন্ত কমিটিকে সব রকম সহায়তা করেছি। কমিটি সরেজমিনে ক্রয় করা যন্ত্রপাতির বর্তমান অবস্থা দেখেছে।’
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে ১৪ কোটি টাকার অনিয়মের তদন্ত সম্পন্ন করেছে এ ঘটনায় গঠিত সংসদীয় কমিটি। হাসপাতালটিতে অনুমোদনহীনভাবে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এসব যন্ত্রপাতি স্থাপন তথা ব্যবহার না করেই বিল পরিশোধ করা হয় বলে বিভিন্ন তদন্তে উঠে আসে।
গতকাল শনিবার কমিটির সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের কমিটি তদন্তকাজ সম্পন্ন করে। এ তদন্তেও অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সাহার সময় যন্ত্রপাতিগুলো কেনা হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব পুরবী পাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অনিয়মের কথা উঠে আসে। চিঠি সূত্রে জানা যায়, সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ৫২তম বৈঠকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়মের বিষয়টি আলোচিত হয়।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের জন্য কেনা যন্ত্রপাতি স্থাপন ও কার্যকর করা ছাড়াই সরবরাহকারীকে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অডিট আপত্তি উত্থাপিত হলে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব তদন্তে সত্যতা পান। এ কারণে সে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়।
সভা থেকে আরও জানা যায়, হাসপাতালসমূহ লাইন ডিরেক্টর, হসপিটাল সাবজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এবং হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য মালামাল ক্রয় করে থাকেন। তা ছাড়া হাসপাতালের জন্য কেনা ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করে অন্য লাইন ডিরেক্টরের অধীনে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা যৌক্তিক হয়নি।
সভায় আরও উল্লেখ করা হয়, তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের চাহিদা ছাড়াই এসব কেনা হয়েছে, ফলে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে। ২০১৮ সালের পিপিআর-এর বিধি ১৬ (১) অনুযায়ী সকল ক্রয়কারীর জন্য বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এ ক্ষেত্রে তা-ও করা হয়নি। তা ছাড়া, যন্ত্রপাতিগুলোর সরবরাহকারী কর্তৃক স্থাপন, পরিচালন এবং সার্ভে রিপোর্ট ছাড়াই সরকারি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে।
এসব অনিয়ম তদন্তে সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু, মনজুর হোসেন ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি উল্লিখিত ক্রয়ের অনিয়ম সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই করার জন্য পরবর্তী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট করবেন বলে জানানো হয়।
পরে ৯ জানুয়ারি তদন্ত কমিটি আরেকটি সভা করে। ৯ জানুয়ারির সভায় কমিটির সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমরা একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। একটি অনুশাসন দিতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আর না হয়।’
গতকাল শনিবার আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমরা সরেজমিন অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত করেছি। এ সময় সংশ্লিষ্ট সকলেই উপস্থিত ছিলেন। এখন আমরা কমিটির সকলে বসে প্রতিবেদন তৈরি করব। পরে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুল কাদের বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তদন্ত কমিটিকে সব রকম সহায়তা করেছি। কমিটি সরেজমিনে ক্রয় করা যন্ত্রপাতির বর্তমান অবস্থা দেখেছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৮ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে