তিন গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২২, ০৫: ৩৭
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১১: ৩৫

হবিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পাড় উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে তিনটি গ্রামের অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ৫৪টি পরিবারকে আশ্রয়ণকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুর থেকে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর ও সিলেট অংশের শেরপুর দিয়ে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে।

দীঘলবাক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আকুল মিয়া জানান, দুপুর থেকে নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে গালিমপুর, পাহাড়পুর ও পারকুল গ্রামে পানি প্রবেশ করে অন্তত দেড় শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পরিবারগুলো। রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় খাদ্যসংকটও দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে ৫৪টি পরিবারকে স্থানীয় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি পরিবারগুলোকেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়ছে। ইতিমধ্যে তিনটি গ্রামের বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাদের আশ্রয়ণকেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহপাড়পুর, পারকুল, ফাদুল্লাপুর এলাকায় নদীর বাঁধ অনেক নিচু। ফলে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। তবে পানি যদি আর কিছু বাড়ে, তাহলে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

শাহনেওয়াজ তালুকদার আরও বলেন, পারকুল ও ফাদুল্লাপুর বাজার অংশে বাঁধ নিচু হওয়ার কারণে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। তবে নিচু জায়গাগুলোতে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে।

এদিকে রোববার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, জেলা প্রকৌশলী আব্দুল বাতির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ, হবিগঞ্জ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন, দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত