যশোর ও কেশবপুর প্রতিনিধি
পঞ্চম ধাপে যশোর সদর ও কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত ৪৭ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে যশোর সদরে রয়েছেন ২৮ জন এবং কেশবপুরের ১৯ জন। ভোটের ফল বিশ্লেষণে গতকাল বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার এই দুই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সংগৃহীত ভোটের আট ভাগের এক ভাগও না পাওয়ায় এসব প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
যশোর: সদর উপজেলা ১৫ ইউপির মধ্যে ১২ টিতে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানতের টাকা হারাচ্ছেন। এ দিকে নির্বাচনে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে প্রথম তিনজনের দুজনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘সরকারিভাবে তথ্য পেতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।’
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আরবপুরে গোলাপফুল প্রতীকের জাকের পার্টির গাজী রফিকুল ইসলাম ৯০ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুর রহমান পেয়েছেন ৬০৮ ও নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৮ ভোট। চুড়ামনকাটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ৮১, গোলাপফুল প্রতীকের জাকের পার্টির মতিয়ার রহমান ১৭০, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বাদশা ৩২৪ ও আলমগীর কবির ৪৭৭ ভোট পান। এই ইউপিতে ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন।
দেয়াড়াতে ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুল্লাহ ১ হাজার ৯৩, নওয়াপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের মো. মোশাররফ হোসেন ২ হাজার ২০১, চাঁচড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন ৭৯ ও ইসলামী আন্দোলনের শামছুর রহমান ১ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়েছেন। রামনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান ২৭, মো. কামরুজ্জামান ৫৩ ও জুলেখা বেগম ৬০ ভোট পান।
কচুয়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান ২৫৯, হাফিজুর রহমান খান ৬৩৩ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুল হোসাইন ১ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন।
বসুন্দিয়াতে ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনই জামানত হারানোর মুখে পড়েছেন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সাহাবুদ্দিন ৭৮, নুরুজ্জামান খান ১৫৬ ও মমিনুল ইসলাম ১৭৪ ভোট পান। নরেন্দ্রপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওলিয়ার রহমান ২০৮ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদাউস আলম ৫৯১ ভোট পান। ইছালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ৬৩ ও জাকের পার্টির সাইফুর রহমান ১০৫ ভোট পান। ফতেপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পী খাতুন ২৮ ও আলমগীর হোসেন ৪৫৬ এবং কাশিমপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ১০১ ও মোস্তফা এনামুল বারী ৬৪২ ভোট পেয়েছেন।
কেশবপুর: কেশবপুরে ইউপি নির্বাচনে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০ টির ফল জানা গেছে। এ ১০ টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন জামানত হারাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ২ জন, স্বতন্ত্র ৯ জন ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের ৮ জন প্রার্থী। নির্বাচনে অংশ নেওয়া হাতপাখা প্রতীকের ৮ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। কেশবপুর সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় ফল জানা যায়নি।
ত্রিমোহিনীতে জামানত হারাচ্ছেন শেখ অহিদুজ্জামান (নৌকা) ও শেখ কবির আলমগীর (চশমা), সাগরদাঁড়িতে অলিয়ার রহমান (নৌকা), আকরাম খান (মোটরসাইকেল), আমানত আলী (ঘোড়া) ও ইসমাইল হোসেন (হাত পাখা), মজিদপুরে আব্দুল লতিফ খান (হাতপাখা), বিদ্যানন্দকাটিতে হজরত আলী (হাতপাখা), মঙ্গলকোটে এস এম কামরুজ্জামান (মোটরসাইকেল) ও মিজানুর রহমান (হাতপাখা), পাঁজিয়ায় মিহির কুমার বসু (চশমা) ও আব্দুল হামিদ (হাতপাখা), সুফলাকাটিতে মহি উদ্দিন (আনারস) ও আব্দুল আহাদ (হাত পাখা), গৌরীঘোনায় আলিমুজ্জামান রানা, সাতবাড়িয়ায় রেজাউল ইসলাম, উত্তম ঘোষও সাইফুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং আব্দুল গফফার (হাত পাখা)।
পঞ্চম ধাপে যশোর সদর ও কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত ৪৭ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে যশোর সদরে রয়েছেন ২৮ জন এবং কেশবপুরের ১৯ জন। ভোটের ফল বিশ্লেষণে গতকাল বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার এই দুই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সংগৃহীত ভোটের আট ভাগের এক ভাগও না পাওয়ায় এসব প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
যশোর: সদর উপজেলা ১৫ ইউপির মধ্যে ১২ টিতে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানতের টাকা হারাচ্ছেন। এ দিকে নির্বাচনে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে প্রথম তিনজনের দুজনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘সরকারিভাবে তথ্য পেতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।’
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আরবপুরে গোলাপফুল প্রতীকের জাকের পার্টির গাজী রফিকুল ইসলাম ৯০ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুর রহমান পেয়েছেন ৬০৮ ও নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৮ ভোট। চুড়ামনকাটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ৮১, গোলাপফুল প্রতীকের জাকের পার্টির মতিয়ার রহমান ১৭০, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বাদশা ৩২৪ ও আলমগীর কবির ৪৭৭ ভোট পান। এই ইউপিতে ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন।
দেয়াড়াতে ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুল্লাহ ১ হাজার ৯৩, নওয়াপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের মো. মোশাররফ হোসেন ২ হাজার ২০১, চাঁচড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন ৭৯ ও ইসলামী আন্দোলনের শামছুর রহমান ১ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়েছেন। রামনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান ২৭, মো. কামরুজ্জামান ৫৩ ও জুলেখা বেগম ৬০ ভোট পান।
কচুয়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান ২৫৯, হাফিজুর রহমান খান ৬৩৩ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুল হোসাইন ১ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন।
বসুন্দিয়াতে ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনই জামানত হারানোর মুখে পড়েছেন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সাহাবুদ্দিন ৭৮, নুরুজ্জামান খান ১৫৬ ও মমিনুল ইসলাম ১৭৪ ভোট পান। নরেন্দ্রপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওলিয়ার রহমান ২০৮ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদাউস আলম ৫৯১ ভোট পান। ইছালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ৬৩ ও জাকের পার্টির সাইফুর রহমান ১০৫ ভোট পান। ফতেপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পী খাতুন ২৮ ও আলমগীর হোসেন ৪৫৬ এবং কাশিমপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ১০১ ও মোস্তফা এনামুল বারী ৬৪২ ভোট পেয়েছেন।
কেশবপুর: কেশবপুরে ইউপি নির্বাচনে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০ টির ফল জানা গেছে। এ ১০ টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন জামানত হারাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ২ জন, স্বতন্ত্র ৯ জন ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের ৮ জন প্রার্থী। নির্বাচনে অংশ নেওয়া হাতপাখা প্রতীকের ৮ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। কেশবপুর সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় ফল জানা যায়নি।
ত্রিমোহিনীতে জামানত হারাচ্ছেন শেখ অহিদুজ্জামান (নৌকা) ও শেখ কবির আলমগীর (চশমা), সাগরদাঁড়িতে অলিয়ার রহমান (নৌকা), আকরাম খান (মোটরসাইকেল), আমানত আলী (ঘোড়া) ও ইসমাইল হোসেন (হাত পাখা), মজিদপুরে আব্দুল লতিফ খান (হাতপাখা), বিদ্যানন্দকাটিতে হজরত আলী (হাতপাখা), মঙ্গলকোটে এস এম কামরুজ্জামান (মোটরসাইকেল) ও মিজানুর রহমান (হাতপাখা), পাঁজিয়ায় মিহির কুমার বসু (চশমা) ও আব্দুল হামিদ (হাতপাখা), সুফলাকাটিতে মহি উদ্দিন (আনারস) ও আব্দুল আহাদ (হাত পাখা), গৌরীঘোনায় আলিমুজ্জামান রানা, সাতবাড়িয়ায় রেজাউল ইসলাম, উত্তম ঘোষও সাইফুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং আব্দুল গফফার (হাত পাখা)।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে