নষ্ট হচ্ছে আশ্রয়ণের ঘর

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭: ৩১
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ১৮

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ‘ভূমি জটিলতায়’ বরাদ্দ আটকে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের চারটি ঘর ৬ মাস ধরে পড়ে আছে। ব্যবহার না হওয়ায় ঘরের দরজা, জানালা ও দেয়াল নষ্ট হচ্ছে। অভিযোগ আছে ওই সব ঘর অপব্যবহারেরও।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা কেটে গেছে। শিগগিরই তা গৃহহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে ৮৮টি বাড়ি। এর মধ্যে ৮৪টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪টি গৃহহীনদের হাতে তুলে না দেওয়ায় সেগুলো এখন নষ্ট হতে বসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জুলাইয়ের প্রথমদিকে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় মথুরাপুর বড় বাজার সংলগ্ন দর্গাতলা গ্রামে চার আশ্রয়হীন পরিবারের ঘর।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সেক্রেটারি আব্দুল হান্নান (পিআইও) জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রকল্পটির সব স্থাপনা বাস্তবায়ন করেছে ছয় মাস আগে। এটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের উপজেলা টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বে। এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উপজেলা টাস্ক ফোর্সের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মকর্তা হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহিন খসরু।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ওই চার ঘরের ৩টি তালাবদ্ধ। একটির রান্না ঘরের দরজা খোলা, কয়েকটি ঘরের জানালা খোলা। অলস পড়ে থাকায় প্রতিবেশী লোকজন খড়ি শুকানো, কাপড় শুকানো, শিশু-কিশোরদের খেলাধুলাসহ নানা গৃহস্থালির কাজে এগুলো ব্যবহার করছে। কিন্তু এ বিষয়েও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি দেখা যায়নি।

এলাকাবাসী জানান, অব্যবহৃত পড়ে থাকায় সরকারি এ সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষে সার্বক্ষণিক নজরে রাখা সম্ভব না। অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো অনায়াসে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। মাসের পর মাস পড়ে থাকায় দরজা-জানালা-দেয়ালের ক্ষতি হচ্ছে।

ওই এলাকার (মথুরাপুর) বাসিন্দা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কীর আহমেদ জানান, গৃহহীনদের জন্য তৈরি ঘর ৪টি কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। বরাদ্দ না হওয়ার কারণ উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন।

প্রস্তুত ঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা দৌলতপুর উপজেলা টাস্ক ফোর্সের সদস্যসচিব আফরোজ শাহিন খসরু (এসিল্যান্ড) দাবি করেন, ওই চারটি ঘরের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ছিল, যেটি সমাধান হয়ে এসেছে। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। আর দেরি করব না, যা বাধা ছিল, কেটে গেছে। এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ওই সব ঘর নিয়ে ভূমি জটিলতার কোনো বিষয় নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার প্রসঙ্গটি জেনে পরে কথা বলতে চাইলেও পরে বলেননি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত