অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলসহ ৩ দাবি

রাবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তাঁরা এ দাবি জানান। কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে, পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে, জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন তাঁদের ভর্তি বাতিল এবং জালিয়াতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত তদন্তের মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর (২০২১-২২ সেশন) রাবিতে কোটাসহ মোট আসন ৪ হাজার ৬৪১টি। মোট আসনের ৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত পোষ্য কোটা। এবার পোষ্য কোটার আসন ২০১টি। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বেশি পেয়ে ইতিমধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী; কিন্তু ৪০ নম্বর না পাওয়ায় ফাঁকা আছে ১৩৬টি আসন। এই অবস্থায় আসন পূরণে পোষ্য কোটার পাস নম্বর ৩০ করা হলো। ৬ নভেম্বর ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এখন আরও ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে আরও ৭৬টি আসন ফাঁকাই থাকবে।

গতকালের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘সাধারণত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখা হয়। তা হলে কি আমাদের শিক্ষকেরা তাঁদেরকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী মনে করেন? আবার এঁরাই পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা হবেন। আমরা এই অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, ‘আগের উপাচার্যের চেয়ে এই উপাচার্য আরও বেশি অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়েছেন। উপাচার্য আসেন-যান; কিন্তু এসব অপকর্ম বন্ধ হয় না, উল্টো বৃদ্ধি পায়। তাঁরা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোতে রূপান্তর করেছেন।।’

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘অযোগ্য শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। প্রশাসন যদি এই পৈতৃক কোটা বন্ধ না করে তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হব।’

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ মুহিবের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত