ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
বিদ্যুত সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার বন্ধসহ অফিসের সময়সীমা কমিয়ে আনলেও ময়মনসিংহে চলছে রমরমা কোচিং-বাণিজ্য। এসব কোচিং সেন্টারে সকাল ৬টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
তবে কোচিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোচিং বন্ধে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি। এদিকে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নাগরিক নেতারা প্রশাসনের প্রতি কোচিং সেন্টার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, কোচিং সেন্টারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীসহ পুরো জেলায় পাঁচ শতাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ কোচিং সেন্টার নগরীতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দিন শনিবার সকালে নগরীর নাহা রোড, বাউন্ডারি রোড, পিয়নপাড়া, জিলা স্কুল রোড, গুলকীবাড়ি, কালীবাড়ি, সানকিপাড়া, এবি গুহ রোড এবং নতুন বাজার গিয়ে দেখা যায় কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে। এসব কোচিং পরিচালনায় রয়েছেন বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক।
দেখা গেছে, প্রায় সব কোচিং সেন্টারে ফ্যানের পাশাপাশি রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি। এসব কোচিং সেন্টারের শিক্ষকেরা বলছেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করলেও কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষণা না দেওয়ায় তাঁরা তা চালু রেখেছেন।
গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর বাউন্ডারি রোডে কণিকা ক্যাডেট একাডেমিতে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষায় ৬০ থেকে ৭০ জনের অংশগ্রহণ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার দিনভর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়।
নাঈম স্যারের সৃজনশীল বিজ্ঞান অঙ্গনে গিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির জানায়, ‘রাস্তার পাশে হওয়ায় জানালা খোলা থাকলে ভেতরে ধুলাবালু আসে। তাই স্যার রুমে এসি লাগিয়ে জানালা একেবারে বন্ধ করে দিছে, তা আর খোলা হয় না। ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী বসে ক্লাস করতে হয়। এখানে ফ্যান এবং এসি ছাড়া কোনোভাবেই ক্লাস করা সম্ভব নয়। সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা কোচিংয়ে বেশি সময় দিতে পারছি। এতে আমাদের লাভ হচ্ছে।’
নাঈম স্যারের সৃজনশীল বিজ্ঞান অঙ্গনের পরিচালক নাঈম আহম্মেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন আরামপ্রিয়। তারা এসি ছাড়া বসে ক্লাস করতে চায় না। সব কোচিং সেন্টারেই এসি আছে। শিক্ষার্থী ধরে রাখতে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেখাতে হয়। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধের পর আমরাও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়েছি।’
পড়ানোর ছবি তুলতে গেলে শিক্ষক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) জন্য আমাদের সমস্যা হয়। আপনারা অনেক বেশি লেখালেখি করেন। এসব ভালো না। আমাদের কোচিং চলবে। পারলে গিয়ে কিছু করে দেখান।’
ইউনিক টিচিং হোমের পরিচালক কৃষিবিদ মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘করোনার দুই বছর পকেট থেকে বাসা ভাড়া দিতে হয়েছে। এখন যদি সপ্তাহে দুই দিন কোচিং সেন্টার বন্ধ করে রাখতে হয়, তাহলে না খেয়ে মারা যাব। দুই দিন পরপর কোচিং সেন্টার বন্ধ, তা আমাদের জন্য একটা বিব্রতকর অবস্থা। সরকার এ বিষয়ে নীতিমালা করে দিলে ভালো হয়।’
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছি। সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাসের পর দুই দিন পরীক্ষায় বোঝা যায় আমার ছেলে-মেয়ে কতটুকু ভালো করছে। আমার দৃষ্টিতে কোচিংয়ে তেমন বিদ্যুৎ খরচ হয় না। কারণ, আমরা ঘরে ফ্যান-লাইট বন্ধ করে দিয়ে কোচিংয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চলে আসি।’
জেলা জনউদ্যোগ-এর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চন্নু বলেন, ‘সরকার ভালোর জন্যই সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিকে স্বাগত জানানো উচিত আমাদের। আমি মনে করি, কোচিং সেন্টারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আওতায় পড়ে। সুতরাং চালু রাখার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। প্রশাসন একটু কঠোর হলে সবার জন্য ভালো হয়।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক বলেন, ‘কোচিং সেন্টারের বিষয়টি আমরা দেখছি। সাধারণত রাত ৮টার পর দোকানপাটসহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। তবে কোচিং সেন্টারের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিদ্যুত সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার বন্ধসহ অফিসের সময়সীমা কমিয়ে আনলেও ময়মনসিংহে চলছে রমরমা কোচিং-বাণিজ্য। এসব কোচিং সেন্টারে সকাল ৬টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
তবে কোচিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোচিং বন্ধে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি। এদিকে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নাগরিক নেতারা প্রশাসনের প্রতি কোচিং সেন্টার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, কোচিং সেন্টারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীসহ পুরো জেলায় পাঁচ শতাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ কোচিং সেন্টার নগরীতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দিন শনিবার সকালে নগরীর নাহা রোড, বাউন্ডারি রোড, পিয়নপাড়া, জিলা স্কুল রোড, গুলকীবাড়ি, কালীবাড়ি, সানকিপাড়া, এবি গুহ রোড এবং নতুন বাজার গিয়ে দেখা যায় কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে। এসব কোচিং পরিচালনায় রয়েছেন বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক।
দেখা গেছে, প্রায় সব কোচিং সেন্টারে ফ্যানের পাশাপাশি রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি। এসব কোচিং সেন্টারের শিক্ষকেরা বলছেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করলেও কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষণা না দেওয়ায় তাঁরা তা চালু রেখেছেন।
গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর বাউন্ডারি রোডে কণিকা ক্যাডেট একাডেমিতে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষায় ৬০ থেকে ৭০ জনের অংশগ্রহণ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার দিনভর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়।
নাঈম স্যারের সৃজনশীল বিজ্ঞান অঙ্গনে গিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির জানায়, ‘রাস্তার পাশে হওয়ায় জানালা খোলা থাকলে ভেতরে ধুলাবালু আসে। তাই স্যার রুমে এসি লাগিয়ে জানালা একেবারে বন্ধ করে দিছে, তা আর খোলা হয় না। ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী বসে ক্লাস করতে হয়। এখানে ফ্যান এবং এসি ছাড়া কোনোভাবেই ক্লাস করা সম্ভব নয়। সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা কোচিংয়ে বেশি সময় দিতে পারছি। এতে আমাদের লাভ হচ্ছে।’
নাঈম স্যারের সৃজনশীল বিজ্ঞান অঙ্গনের পরিচালক নাঈম আহম্মেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন আরামপ্রিয়। তারা এসি ছাড়া বসে ক্লাস করতে চায় না। সব কোচিং সেন্টারেই এসি আছে। শিক্ষার্থী ধরে রাখতে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেখাতে হয়। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধের পর আমরাও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়েছি।’
পড়ানোর ছবি তুলতে গেলে শিক্ষক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) জন্য আমাদের সমস্যা হয়। আপনারা অনেক বেশি লেখালেখি করেন। এসব ভালো না। আমাদের কোচিং চলবে। পারলে গিয়ে কিছু করে দেখান।’
ইউনিক টিচিং হোমের পরিচালক কৃষিবিদ মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘করোনার দুই বছর পকেট থেকে বাসা ভাড়া দিতে হয়েছে। এখন যদি সপ্তাহে দুই দিন কোচিং সেন্টার বন্ধ করে রাখতে হয়, তাহলে না খেয়ে মারা যাব। দুই দিন পরপর কোচিং সেন্টার বন্ধ, তা আমাদের জন্য একটা বিব্রতকর অবস্থা। সরকার এ বিষয়ে নীতিমালা করে দিলে ভালো হয়।’
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছি। সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাসের পর দুই দিন পরীক্ষায় বোঝা যায় আমার ছেলে-মেয়ে কতটুকু ভালো করছে। আমার দৃষ্টিতে কোচিংয়ে তেমন বিদ্যুৎ খরচ হয় না। কারণ, আমরা ঘরে ফ্যান-লাইট বন্ধ করে দিয়ে কোচিংয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চলে আসি।’
জেলা জনউদ্যোগ-এর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চন্নু বলেন, ‘সরকার ভালোর জন্যই সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিকে স্বাগত জানানো উচিত আমাদের। আমি মনে করি, কোচিং সেন্টারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আওতায় পড়ে। সুতরাং চালু রাখার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। প্রশাসন একটু কঠোর হলে সবার জন্য ভালো হয়।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক বলেন, ‘কোচিং সেন্টারের বিষয়টি আমরা দেখছি। সাধারণত রাত ৮টার পর দোকানপাটসহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। তবে কোচিং সেন্টারের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে