গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি
তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গঙ্গাচড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকার প্রায় এক হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরও প্রায় দেড় হাজার পরিবারের আসবাবপত্র, মালামাল ও গৃহপালিত পশুপাখি পানিতে ভেসে গেছে।
পানির তোড়ে রংপুর-বুড়িমারী সড়ক ভেঙে গেছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। এ ছাড়া গান্নারপাড় গ্রামে তিস্তার ডান তীর প্রতিরক্ষার মূল বাঁধ আংশিক ভেঙে গেছে।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁরা জানান, উপজেলায় ১ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমির আমন ধান, বাদাম ও মিষ্টি কুমড়া খেতের ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে দেড় সহস্রাধিক পুকুরের মাছ। বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া এক ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
বর্তমানে উপজেলার ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্লাবিত মানুষগুলো দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে সরকারিভাবে শুকনো খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানসহ ভুক্তভোগীরা।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি আগের দিন বুধবার দুপুরে ছিল বিপদ সীমার প্রায় এক মিটার ওপরে। ভারত গজলডোবা ব্যারেজের সব কপাট খুলে দিলে এই বিপর্যয় দেখা দেয়।
লক্ষ্মীটারী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী জানান, তাঁর এলাকায় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ২৪০টি পরিবারের বাড়িঘর। এ ছাড়া ইউনিয়নের উত্তর প্রান্তে কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রেশ্বর গ্রামে রংপুর-বুড়িমারী সড়কের প্রায় ১০০ মিটার অংশ ভেঙে গেছে। ফলে বুধবার রাত থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
গজঘণ্টা ইউপির চেয়ারম্যান ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, এখানে ৮০টি পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র বাঁচাতে গিয়ে পানির তোড়ে ভেসে গেছেন ইচলী গ্রামের নয়া মিয়া (৬৫)। গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গঙ্গাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আল সুমন আব্দুল্লা জানান, বন্যায় গান্নারপাড় গ্রামে ৩০টি পরিবার বাড়িঘর হারিয়েছে। কোলকোন্দ ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু বলেন, এই ইউনিয়নে ৩৯০টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তায় বিলীন হয়েছে। বন্যার্ত পরিবারগুলোর মধ্যে বুধবার রাত থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
আলমবিদিতর ইউপির চেয়ারম্যান আফতাবুজ্জামান জানান, তাঁর এলাকায় ২০টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তার গর্ভে চলে গেছে। আর নোহালী ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল জানান, এই এলাকায় ৯০টি পরিবার তাঁদের বাড়িঘর হারিয়েছে। এ ছাড়া মর্নেয়া ইউনিয়নে ৯৫টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক হিসেবে গত বুধবারের বন্যায় উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমির আমন ধান, ৩০ হেক্টর জমির বাদাম ও ৩৫ হেক্টর জমির মিষ্টি কুমড়ার খেতসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজির ক্ষতি হয়েছে।
গত বুধবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন রংপুর-১ আসনের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ হিসাব পাওয়া যায়নি।
তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গঙ্গাচড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকার প্রায় এক হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরও প্রায় দেড় হাজার পরিবারের আসবাবপত্র, মালামাল ও গৃহপালিত পশুপাখি পানিতে ভেসে গেছে।
পানির তোড়ে রংপুর-বুড়িমারী সড়ক ভেঙে গেছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। এ ছাড়া গান্নারপাড় গ্রামে তিস্তার ডান তীর প্রতিরক্ষার মূল বাঁধ আংশিক ভেঙে গেছে।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁরা জানান, উপজেলায় ১ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমির আমন ধান, বাদাম ও মিষ্টি কুমড়া খেতের ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে দেড় সহস্রাধিক পুকুরের মাছ। বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া এক ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
বর্তমানে উপজেলার ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্লাবিত মানুষগুলো দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে সরকারিভাবে শুকনো খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানসহ ভুক্তভোগীরা।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি আগের দিন বুধবার দুপুরে ছিল বিপদ সীমার প্রায় এক মিটার ওপরে। ভারত গজলডোবা ব্যারেজের সব কপাট খুলে দিলে এই বিপর্যয় দেখা দেয়।
লক্ষ্মীটারী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী জানান, তাঁর এলাকায় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ২৪০টি পরিবারের বাড়িঘর। এ ছাড়া ইউনিয়নের উত্তর প্রান্তে কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রেশ্বর গ্রামে রংপুর-বুড়িমারী সড়কের প্রায় ১০০ মিটার অংশ ভেঙে গেছে। ফলে বুধবার রাত থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
গজঘণ্টা ইউপির চেয়ারম্যান ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, এখানে ৮০টি পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র বাঁচাতে গিয়ে পানির তোড়ে ভেসে গেছেন ইচলী গ্রামের নয়া মিয়া (৬৫)। গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গঙ্গাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আল সুমন আব্দুল্লা জানান, বন্যায় গান্নারপাড় গ্রামে ৩০টি পরিবার বাড়িঘর হারিয়েছে। কোলকোন্দ ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু বলেন, এই ইউনিয়নে ৩৯০টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তায় বিলীন হয়েছে। বন্যার্ত পরিবারগুলোর মধ্যে বুধবার রাত থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
আলমবিদিতর ইউপির চেয়ারম্যান আফতাবুজ্জামান জানান, তাঁর এলাকায় ২০টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তার গর্ভে চলে গেছে। আর নোহালী ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল জানান, এই এলাকায় ৯০টি পরিবার তাঁদের বাড়িঘর হারিয়েছে। এ ছাড়া মর্নেয়া ইউনিয়নে ৯৫টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক হিসেবে গত বুধবারের বন্যায় উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমির আমন ধান, ৩০ হেক্টর জমির বাদাম ও ৩৫ হেক্টর জমির মিষ্টি কুমড়ার খেতসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজির ক্ষতি হয়েছে।
গত বুধবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন রংপুর-১ আসনের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ হিসাব পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে