নির্বাচনী সহিংসতায় হাসপাতালে ১৩

গফরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০৫
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৭

গফরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা বেড়েছে। বিভিন্ন ইউপিতে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত এসব ঘটনায় গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গফরগাঁও ও পাগলা থানায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি গফরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনে পাঁচটি ইউপির বিজয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটেছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার চরআলগী ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী এনামুলের ভাই মকবুল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত মকবুলকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

একই ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রিয়াজকে বিজয়ী সদস্য মুর্শিদের সমর্থকেরা কুপিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে স্বজনেরা তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত রিয়াজের বাবা শহিদ মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে খেতে কৃষি কাজ করার সময় মুর্শিদের লোকজন রামদা দিয়ে কুপিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’

এ ছাড়া চরআলগীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের লোকজন বৃহস্পতিবার বিকেলে পরাজিত প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থক আলামিনের বাড়িতে হামলা করে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত আলামিন ও সেলিনা বেগম গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে পাইথলের বিলপাড়ায় পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকেরা বাড়ি থেকে ডেকে কলেজছাত্র আরাফাতকে পিটিয়ে আহত করেন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্বজনেরা তাঁকে গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আরাফাতের বাবা শাহ আলম বলেন, শুক্রবার সকালে ফের তাঁর বাড়িতে হামলা করেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অপরদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে সালটিয়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য রুবেল কাজীর সমর্থক আতিকুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ আহতের পরিবার। আতিকুর রহমানও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এ ছাড়া নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন গফরগাঁও ইউনিয়নের উথুরী গ্রামের সুরুজ মিয়া, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের কণ্যামন্ডল গ্রামের শামছুল হুদা, সালটিয়া ইউনিয়নের হাটুরিয়া এলাকার জহিরুল, নুরুদ্দিন, ফরহাদ, হাফিজা খাতুন ও রতন মিয়া।

এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের মাঝে পাইথল ইউপির পরাজিত সদস্য প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ও গফরগাঁও ইউনিয়নের পরাজিত সদস্য প্রার্থী তাশারফ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার নাহার বলেন, বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ না করলেও মৌখিক অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা চালাচ্ছে।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘হামলার ঘটনাগুলোতে অভিযোগ পেয়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আপাতত এসব এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত