পন্টুনে ইজিবাইক উঠছেই

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
Thumbnail image

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটের পন্টুনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। ফলে ফেরি লোড-আনলোডে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সসহ ফেরিতে থাকা যাত্রীদের।

 অভিযোগ রয়েছে, নিষেধ করলে ইজিবাইকচলকেরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে।গতকাল রোববার সরেজমিনে ঘাটে দেখা গেছে, যখন যে ঘাটে ফেরি ভেড়ে সেই ঘাটে মুহূর্তেই ইজিবাইকগুলো পন্টুনের ওপর উঠে যাচ্ছে।

এ সময় কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি। সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটে এসে ভেড়ে রো রো ফেরি শাহ মখদুম। ঘাটে ভেড়ার আগেই ইজিবাইকের চালকেরা পন্টুনের ওপর গাড়ি নামিয়ে নিয়ে আসেন। ফেরির র‍্যাম নামানোর পর গাড়ি নামার সময় হলেও তারা দাঁড়িয়ে থাকেন যাত্রী ওঠাতে। এতে ফেরি আনলোড হতে বিলম্ব হয়।

কেরামত আলী ফেরিতে থাকা লালন পরিবহনের চালক বলেন, ‘আমার বাস ও রয়াল এক্সপ্রেসের আরেকটি বাস একেবারে সামনে ছিল। ফেরির র‍্যাম নামালেই আমাদের বাস দুটি দ্রুত নামার কথা; কিন্তু ইজিবাইকের চালকেরা এমনভাবে পন্টুনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন, তাতে কোনোভাবেই নামা যায় না। ফেরির যাত্রীদের বের হওয়ার একটাই সড়ক। যদি ইজিবাইকগুলো ওপরেও থাকে তা হলেও তারা এই যাত্রীগুলো পায়; কিন্তু তাঁরা তা না করে পন্টুনের ওপরেই উঠে আসেন।

পন্টুনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইকের চালক রাসেল বলেন, ‘ভাই আমি একলা ওপরে দাঁড়ায়া থাকলি কি হবি আর সবাই তো ঠিকই নিচি চলে আসে। ওপরে দাঁড়ায়া থাকলি যাত্রী পাওয়া যায় না, তাই নিচে আসি।’ পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক ইজিবাইকের চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পন্টুনে আসার সময় কেউ মানা করে না, তাই পন্টুনে দাঁড়াই।’

৭ নম্বর ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির লস্কর রিপন মিয়া বলেন, ‘আমরা সব সময়ই ইজিবাইকের চালকদের নিষেধ করি; কিন্তু তাঁরা আমাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন, ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন; কিছুদিন আগে আমি নিষেধ করায় এক অটোচালক আমাকে মারাতে আসেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পন্টুন বা র‍্যাম্পে যেকোনো যানবাহন রাখা নিষেধ; কিন্তু ফেরি ঘাটে আসার পর আগে যাত্রী পেতে তাঁরা প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন। তাঁরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেন না। আমাদের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা হয় এবং ওপরে উঠিয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু সব সময় তো আর ওদের পেছনে লেগে থাকা যায় না। আমাদের অনুপস্থিতিতে তাঁরা আবার চলে আসেন। বিষয়টিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকি থাকা দরকার।’

দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটে আমাদের টহল টিম থাকে, তারা পন্টুনের ওপর থেকে এসব গাড়িকে ওপরে থাকতে বলেন। পুলিশ দেখলে পন্টুনের ওপর কেউ যায় না; কিন্তু যখন পুলিশ অন্য ঘাটে যায় তখন তাঁরা আবার পন্টুনের ওপর চলে আসেন। আমরা চেষ্টা চালাই দুর্ঘটনা এড়াতে সব রকম পদক্ষেপ নিতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত