আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মানুষ নানা কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে। সমস্যাও নানা ধরনের হতে পারে। কেউ হয়তো বিষণ্ণতায় ভুগছেন, কেউবা বিকারগ্রস্ততায়। কারও সমস্যা মেজাজ ধরে রাখতে না-পারা, কেউ আবার অকারণ দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তবে অনেকেই জানেন না, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। অন্যরা বুঝতে পারলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগী মানতেই চান না, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক নেই। এদিকে মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা শনাক্তে এমন কোনো প্রযুক্তিও এত দিন ছিল না, যার মাধ্যমে রোগীর সমস্যা সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা যায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তাঁরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্তের উপায় খুঁজে পেয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জিনবিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কুর নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গত এপ্রিলে তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষকদল রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা শনাক্ত গবেষণার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছায়। তারা দাবি করেছে, মনোরোগ চিকিৎসার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মানসিক অবস্থা চিহ্নিত করতে তারা জীববৈজ্ঞানিক উত্তর খুঁজে পেয়েছে।
আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কু বলেন, ‘গবেষণায় আমরা প্রমাণ পেয়েছি, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিষণ্ণতা ও বাইপোলার ডিসঅর্ডার সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। ফলে রোগীর জন্য সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।’
গবেষকদলের সদস্যরা জানান, তাঁরা তাঁদের বিগত ১৫ বছরে করা বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল প্রথমে বিশ্লেষণ করেছেন। এরপর সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, রক্ত পরীক্ষায় মানসিক সমস্যা, বিশেষ করে বিষণ্ণতা ও বাইপোলার ডিসঅর্ডার করা সম্ভব। তারপর তাঁরা এ নিয়ে কাজ শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা রোগীর রক্ত থেকে আরএনএ, ডিএনএ, প্রোটিন ও অন্যান্য অণু সংগ্রহ করে মানসিক অবস্থাভেদে এগুলোর প্রতিক্রিয়া নির্ণয় করেন।
আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কু বলেন, ‘মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাসহ শরীরের প্রতিটি ব্যবস্থারই যেকোনো পরিস্থিতিতে সাড়াদানের কৌশল প্রায় একই রকম। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন বিষণ্ণ থাকবেন কিংবা উদ্বিগ্ন হবেন, তখন আপনার মানসিক-স্নায়বিক ব্যবস্থা, হরমোন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, যা আপনার রক্ত ও রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে। আবার রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার সক্রিয়তা বা কোনো প্রদাহ মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।’
গবেষণার প্রথম ধাপে গবেষকদল বেশ কিছু আরএনএ চিহ্নিত করে, যা সময়ের সঙ্গে মানসিক অবস্থা নির্দেশ করতে পারে। পরে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গবেষকদলটি চূড়ান্তভাবে ১২টি আরএনএ শনাক্ত করে। আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কুর দাবি, রক্তে এই ১২টি আরএনএর উপস্থিতির মাত্রা ও প্রতিক্রিয়াই বলে দেবে রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাটা আসলে কী।
পরীক্ষাপদ্ধতিটি এখন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের (এনআইএমএইচ) ট্রান্সলেশনাল রিসার্চ বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার আলেক্সান্ডার টকোফস্কি বলেছেন, রক্ত পরীক্ষার ওই পদ্ধতিটি কতটা নির্ভুল, তা যাচাইয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা প্রয়োজন।
মানুষ নানা কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে। সমস্যাও নানা ধরনের হতে পারে। কেউ হয়তো বিষণ্ণতায় ভুগছেন, কেউবা বিকারগ্রস্ততায়। কারও সমস্যা মেজাজ ধরে রাখতে না-পারা, কেউ আবার অকারণ দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তবে অনেকেই জানেন না, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। অন্যরা বুঝতে পারলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগী মানতেই চান না, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক নেই। এদিকে মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা শনাক্তে এমন কোনো প্রযুক্তিও এত দিন ছিল না, যার মাধ্যমে রোগীর সমস্যা সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা যায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তাঁরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্তের উপায় খুঁজে পেয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জিনবিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কুর নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গত এপ্রিলে তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষকদল রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা শনাক্ত গবেষণার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছায়। তারা দাবি করেছে, মনোরোগ চিকিৎসার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মানসিক অবস্থা চিহ্নিত করতে তারা জীববৈজ্ঞানিক উত্তর খুঁজে পেয়েছে।
আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কু বলেন, ‘গবেষণায় আমরা প্রমাণ পেয়েছি, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিষণ্ণতা ও বাইপোলার ডিসঅর্ডার সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। ফলে রোগীর জন্য সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।’
গবেষকদলের সদস্যরা জানান, তাঁরা তাঁদের বিগত ১৫ বছরে করা বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল প্রথমে বিশ্লেষণ করেছেন। এরপর সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, রক্ত পরীক্ষায় মানসিক সমস্যা, বিশেষ করে বিষণ্ণতা ও বাইপোলার ডিসঅর্ডার করা সম্ভব। তারপর তাঁরা এ নিয়ে কাজ শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা রোগীর রক্ত থেকে আরএনএ, ডিএনএ, প্রোটিন ও অন্যান্য অণু সংগ্রহ করে মানসিক অবস্থাভেদে এগুলোর প্রতিক্রিয়া নির্ণয় করেন।
আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কু বলেন, ‘মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাসহ শরীরের প্রতিটি ব্যবস্থারই যেকোনো পরিস্থিতিতে সাড়াদানের কৌশল প্রায় একই রকম। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন বিষণ্ণ থাকবেন কিংবা উদ্বিগ্ন হবেন, তখন আপনার মানসিক-স্নায়বিক ব্যবস্থা, হরমোন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, যা আপনার রক্ত ও রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে। আবার রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার সক্রিয়তা বা কোনো প্রদাহ মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।’
গবেষণার প্রথম ধাপে গবেষকদল বেশ কিছু আরএনএ চিহ্নিত করে, যা সময়ের সঙ্গে মানসিক অবস্থা নির্দেশ করতে পারে। পরে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গবেষকদলটি চূড়ান্তভাবে ১২টি আরএনএ শনাক্ত করে। আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কুর দাবি, রক্তে এই ১২টি আরএনএর উপস্থিতির মাত্রা ও প্রতিক্রিয়াই বলে দেবে রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাটা আসলে কী।
পরীক্ষাপদ্ধতিটি এখন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের (এনআইএমএইচ) ট্রান্সলেশনাল রিসার্চ বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার আলেক্সান্ডার টকোফস্কি বলেছেন, রক্ত পরীক্ষার ওই পদ্ধতিটি কতটা নির্ভুল, তা যাচাইয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা প্রয়োজন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪