বাসব রায়
বেশ শীত পড়া শুরু হয়েছে। ভোটের বাজার শীতকে অতিক্রম করে গরম হাওয়া ছড়ানোর কাজও শুরু করেছে। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রার্থীরা নিজ নিজ মাঠে নেমে পড়বেন অচিরে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছে, তাই এই কদিনই ভোটারদের কাছে আবেদন-নিবেদনের চূড়ান্ত সময়। প্রার্থী এবং কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পক্ষে-বিপক্ষে এখনো নানা রকম জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি দণ্ডায়মান এখনো। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন বা পরোয়ানা নিয়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থানে আছেন, যা সুখকর বলে প্রতীয়মান হওয়া বেশ দুষ্কর। যা হোক, তা সত্ত্বেও নির্বাচনী হাওয়া গরম হয়ে উঠছে ক্রমেই।
অবস্থাদৃষ্টে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সবভাবেই শক্ত অবস্থানে আছে। পক্ষান্তরে বিএনপি ভেতরে-বাইরে নানামুখী চাপ ও সমস্যা সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে না দাঁড়ানোর মানসিকতা নিয়ে ধীরগতিতে এগিয়ে চলছে আন্দোলনের পথে। বিএনপি বরাবরই একটি জনপ্রিয় দল। তাই ভোট অনুষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হলে তারাই যে সরকার গঠন করবে, এমন ধারণা বিএনপিদলীয় উচ্চমহল থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এবং প্রতিদিনই সব মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী নেতারা জোরেশোরেই এই অমোঘ প্রত্যাশাটি ব্যক্ত করে চলেছেন রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে।
কিন্তু এবারে বিএনপি অন্যান্য সময়ের মতো তর্জনগর্জনে আর বিশ্বাসী নয় বলেই মনে হচ্ছে। অতীতের আওয়ামী লীগের চেয়ে বর্তমানের আওয়ামী লীগ কার্যত যথেষ্ট শক্তিশালী; বিরতিহীন ১৫ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ দেশে এবং বিদেশে অতুলনীয় সাফল্য দেখিয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। উন্নয়নের যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত দেখাতে সক্ষম দলটি কোনোভাবেই দুর্বল অবস্থানে নেই। দেশের সার্বিক চালচিত্র অনুযায়ী নৌকার পক্ষেও জনমত কোনো কারণেই কম নেই বরং পরিস্থিতিবিশেষে তা অনেক বেশি। স্বাভাবিক নির্বাচনের ভোটাভুটিতে আওয়ামী লীগও যে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে, তা ভুলে গেলে চলবে না। দলটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং নিঃসন্দেহে ঐতিহ্যময় গৌরবের অধিকারী।
যেহেতু আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সব সেক্টরেই সমানভাবে হয়েছে, সে জন্যে উন্নয়নভোগীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নৌকার পক্ষেই কাজ করবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেকানিজমের মাধ্যমে কোনো দলের ক্ষমতায় আসার দিন এখন আর নেই বললেই চলে। বহিঃশত্রুরা চিরকাল বিরূপ মন্তব্য বা সমালোচনা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাটি চলমান থাকবে সন্দেহ নেই। কাজেই নিজের দলের জনপ্রিয়তা আছে—নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে বিএনপির বসে থাকাও সমীচীন নয় বরং আওয়ামী লীগকে সমান জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনায় যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে বিচার করে স্বীয় কর্মপদ্ধতি ঠিক করা প্রয়োজন, যার জন্য সব শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা দলটির রয়েছে।
আওয়ামী লীগ একটানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের দিশা দেখিয়েছে, এটি সত্য, তবে একটানা ক্ষমতায় থাকায় নানা রকমের দুর্নীতি বা প্রশ্রয়নীতিরও জন্ম দিয়েছে। ফলে ৭১ জন সংসদ সদস্যকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে নৌকার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাজার খুব ভালো। এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোট পাবেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর সত্যিই যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের ভোট পেয়ে যান, তাহলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে কিছুটা হলেও।
বিএনপি সাংবিধানিক সংকটকে উসকে দিতে পারে খুব সহজেই; বিএনপির বড় প্রত্যাশা সাংবিধানিক পরিবর্তনে কেয়ারটেকার সরকার আসুক, তাহলে আগামী দিনে বিএনপির নির্বাচনে আসতে পথঘাট অনুকূল হয়। আর এ জন্যেই বিএনপির উচিত আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া আর এটা হলে তা হবে বিএনপির জন্য একটি শুভবার্তা।
আন্দোলন, মিছিল, জ্বালাও-পোড়াও দিয়ে সরকারের পতন করা যাবে না। নির্বাচনী কৌশলের মাধ্যমেই সরকার গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন পর্যন্ত সংকটেই আছে।
বেশ শীত পড়া শুরু হয়েছে। ভোটের বাজার শীতকে অতিক্রম করে গরম হাওয়া ছড়ানোর কাজও শুরু করেছে। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রার্থীরা নিজ নিজ মাঠে নেমে পড়বেন অচিরে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছে, তাই এই কদিনই ভোটারদের কাছে আবেদন-নিবেদনের চূড়ান্ত সময়। প্রার্থী এবং কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পক্ষে-বিপক্ষে এখনো নানা রকম জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি দণ্ডায়মান এখনো। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন বা পরোয়ানা নিয়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থানে আছেন, যা সুখকর বলে প্রতীয়মান হওয়া বেশ দুষ্কর। যা হোক, তা সত্ত্বেও নির্বাচনী হাওয়া গরম হয়ে উঠছে ক্রমেই।
অবস্থাদৃষ্টে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সবভাবেই শক্ত অবস্থানে আছে। পক্ষান্তরে বিএনপি ভেতরে-বাইরে নানামুখী চাপ ও সমস্যা সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে না দাঁড়ানোর মানসিকতা নিয়ে ধীরগতিতে এগিয়ে চলছে আন্দোলনের পথে। বিএনপি বরাবরই একটি জনপ্রিয় দল। তাই ভোট অনুষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হলে তারাই যে সরকার গঠন করবে, এমন ধারণা বিএনপিদলীয় উচ্চমহল থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এবং প্রতিদিনই সব মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী নেতারা জোরেশোরেই এই অমোঘ প্রত্যাশাটি ব্যক্ত করে চলেছেন রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে।
কিন্তু এবারে বিএনপি অন্যান্য সময়ের মতো তর্জনগর্জনে আর বিশ্বাসী নয় বলেই মনে হচ্ছে। অতীতের আওয়ামী লীগের চেয়ে বর্তমানের আওয়ামী লীগ কার্যত যথেষ্ট শক্তিশালী; বিরতিহীন ১৫ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ দেশে এবং বিদেশে অতুলনীয় সাফল্য দেখিয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। উন্নয়নের যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত দেখাতে সক্ষম দলটি কোনোভাবেই দুর্বল অবস্থানে নেই। দেশের সার্বিক চালচিত্র অনুযায়ী নৌকার পক্ষেও জনমত কোনো কারণেই কম নেই বরং পরিস্থিতিবিশেষে তা অনেক বেশি। স্বাভাবিক নির্বাচনের ভোটাভুটিতে আওয়ামী লীগও যে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে, তা ভুলে গেলে চলবে না। দলটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং নিঃসন্দেহে ঐতিহ্যময় গৌরবের অধিকারী।
যেহেতু আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সব সেক্টরেই সমানভাবে হয়েছে, সে জন্যে উন্নয়নভোগীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নৌকার পক্ষেই কাজ করবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেকানিজমের মাধ্যমে কোনো দলের ক্ষমতায় আসার দিন এখন আর নেই বললেই চলে। বহিঃশত্রুরা চিরকাল বিরূপ মন্তব্য বা সমালোচনা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাটি চলমান থাকবে সন্দেহ নেই। কাজেই নিজের দলের জনপ্রিয়তা আছে—নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে বিএনপির বসে থাকাও সমীচীন নয় বরং আওয়ামী লীগকে সমান জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনায় যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে বিচার করে স্বীয় কর্মপদ্ধতি ঠিক করা প্রয়োজন, যার জন্য সব শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা দলটির রয়েছে।
আওয়ামী লীগ একটানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের দিশা দেখিয়েছে, এটি সত্য, তবে একটানা ক্ষমতায় থাকায় নানা রকমের দুর্নীতি বা প্রশ্রয়নীতিরও জন্ম দিয়েছে। ফলে ৭১ জন সংসদ সদস্যকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে নৌকার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাজার খুব ভালো। এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোট পাবেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর সত্যিই যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের ভোট পেয়ে যান, তাহলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে কিছুটা হলেও।
বিএনপি সাংবিধানিক সংকটকে উসকে দিতে পারে খুব সহজেই; বিএনপির বড় প্রত্যাশা সাংবিধানিক পরিবর্তনে কেয়ারটেকার সরকার আসুক, তাহলে আগামী দিনে বিএনপির নির্বাচনে আসতে পথঘাট অনুকূল হয়। আর এ জন্যেই বিএনপির উচিত আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া আর এটা হলে তা হবে বিএনপির জন্য একটি শুভবার্তা।
আন্দোলন, মিছিল, জ্বালাও-পোড়াও দিয়ে সরকারের পতন করা যাবে না। নির্বাচনী কৌশলের মাধ্যমেই সরকার গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন পর্যন্ত সংকটেই আছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে