নগরীর বায়েজিদের একটি পোশাক কারখানায় মো. তারেককে (১৮) ঠিকমতো কাজ করার তাগাদা দিয়েছিলেন কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ নভেম্বর তাঁকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন তারেক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তাঁর বাবার করা মামলায় গত রোববার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. রফিক (৫০), মো. ইলিয়াছ (২৬) ও ওসমান গনি (৪২)। নগরীর বায়েজিদ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের মধ্যে ওসমান গনি একটি ফার্মেসির মালিক।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত সাজ্জাদ হোসেন আরাফাত নিহা ফ্যাশন নামে একটি কারখানার কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তাঁকে কাঁচি দিয়ে পেটে আঘাত করেন একই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক মো. তারেক। কারখানায় বিভিন্ন সময় তারেককে ঠিকমতো কাজ করতে বলায় সাজ্জাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তিনি।

এই ঘটনার পরে আহত সাজ্জাদকে উদ্ধার করে ওসমান গণির মালিকানাধীন একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ১১ নভেম্বর সাজ্জাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রোববার নিহতের বাবা আবুল হাশেম বাদী হয়ে তারেকসহ চারজনের নামে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূলহোতা তারেককে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান ওসি মো. কামরুজ্জামান।