প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনছে ফুটবল বিশ্বকাপ

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২২, ০৬: ৩৩
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২২, ১০: ৩৩

মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ। তা-ও একেবারে ভিন্ন সময়ে। সাধারণত জুন-জুলাইয়ে বিশ্বকাপ খেলা হলেও এবার হবে নভেম্বরে। শুধু স্থানিকভাবেই নয়, আরও নানা দিক থেকেই বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসছে কাতার বিশ্বকাপ। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত জায়গায় পরিবর্তনগুলো বৈপ্লবিকই বলা যায়। প্রযুক্তিতে কাতার নতুন যেসব সংযোজন নিয়ে আসছে, তা নিয়েই এ আয়োজন।

 স্টেডিয়াম হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিতস্টেডিয়াম শীতলীকরণে প্রযুক্তি
২০২২ বিশ্বকাপের ৮টি স্টেডিয়ামের ৭টিতেই ব্যবহার করা হয়েছে শীতলীকরণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বৈপ্লবিক এই প্রযুক্তি স্টেডিয়ামের ভেতরের পরিবেশকে ঠান্ডা রাখবে। এটি শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই পরিবেশকে শীতল রাখবে এমন নয়, গ্যালারিতে খেলা দেখতে আসা দর্শকেরাও এই সুবিধা ভোগ করবে। শুধু স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ এই সুবিধা নেই। প্রাকৃতিকভাবে বায়ু চলাচলের সুবিধা থাকায় এই মাঠকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শীতলীকরণের প্রয়োজন হয়নি।

সম্পূর্ণ ধ্বংসযোগ্য স্টেডিয়াম
বিশ্বকাপের জন্য বানানো স্টেডিয়াম ৯৭৪ টুর্নামেন্ট শেষে আর দেখা যাবে না। হ্যাঁ, এই স্টেডিয়াম বানানোই হয়েছে সহজেই পুরোপুরি ধ্বংস করার মতো করে। শিপিং কনটেইনার এবং মডিউলার স্টিল কাঠামো দিয়েই স্টেডিয়ামটি বানানো হয়েছে। এই স্টেডিয়াম একই সঙ্গে দর্শনীয় এবং কম খরচে তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই হতে যাচ্ছে একমাত্র ধ্বংসযোগ্য স্টেডিয়াম। এই ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ৭টি ম্যাচ হবে।

প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বলবলেও থাকবে প্রযুক্তির ব্যবহার
বিশ্বকাপের বল আল রিহলাও বানানো হয়েছে নতুন প্রযুক্তির সহায়তায়। বলে সংযুক্ত প্রযুক্তি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) অফিশিয়ালদের সঠিক সময়ের তথ্য সরবরাহ করবে। এই প্রযুক্তি ফিফার আধা স্বয়ংক্রিয় তথা সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তিকে সহায়তা করবে। এ ছাড়া বলের ভেতর বিশেষ সেন্সর বসানো থাকবে, যা অফসাইডের ন্যূনতম ব্যবধানকেও স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারবে।

আধা স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তি
২০২২ বিশ্বকাপে দেখা যাবে বৈপ্লবিক আধা স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তি। মূলত শেষ পর্যন্ত রেফারিই সিদ্ধান্ত দেবে বলে এটি আধা স্বয়ংক্রিয় হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। ফিফা ইতিমধ্যে বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তি পূর্ণাঙ্গরূপে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে আরব কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছিল ফিফা। সেখানে পাওয়া সাফল্যের কারণে এখন বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে এটি ব্যবহার করা হবে। এটি মূলত রেফারিদের দ্রুত ও সঠিকভাবে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। নতুন এই প্রযুক্তিতে স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে ১২টি ট্রাকিং ক্যামেরা থাকবে। এই প্রযুক্তি ভিআর অফিশিয়ালকে তাৎক্ষণিকভাবে অফসাইড সতর্কতা দেবে, যা দ্বারা সিদ্ধান্ত দেবেন রেফারি।

দৃষ্টিশক্তিহীনরাও দেখবে বিশ্বকাপ
বিশ্বকাপ উপভোগ করার সুযোগ পাবে দৃষ্টিশক্তিহীনরাও। কাতারে সাড়া জাগানো প্রযুক্তি বোনোকল বিশ্বকাপের ডিজিটাল সবকিছুকে ব্রেইলে রূপান্তর করবে; যা দৃষ্টিশক্তিহীনদেরও বিশ্বকাপ উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত