নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গতকাল শুক্রবার ভোরে অনুভূত হয়েছে তীব্র ভূমিকম্প। এতে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ভবনগুলো থেকে খোলা রাস্তায় জড়ো হন। কয়েকটি জায়গায় ভবন হেলে পড়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের হাখা শহরের ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠের ৪২ কিলোমিটার গভীরে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়।
শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের দুটি ঝাঁকুনি (আফটারশক) অনুভূত হয়। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বহুতল ভবনগুলো বেশ জোরালোভাবে দুলে ওঠে। নগরী ও পার্বত্য জেলাগুলোতেও এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রের দাবি, ভূমিকম্পে চট্টগ্রামের কোথাও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাননি তাঁরা। তবে নগরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে কিছু জায়গা থেকে সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। নগরীর বহদ্দারহাটের বাসিন্দা আহসান উল্লাহ জানান, ভূমিকম্পে তাঁদের পাশের একটি ভবন হেলে পড়েছে। আগে সানশেডে থেকে ভবনটির দূরত্ব ছিলো ২ ফুট, এখন তা একদম লেগে গেছে।
গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলা সড়কের ৪২৯/এ নম্বরের রহমান ভিলা পাশের ফরিদ মিয়ার মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে হেলে পড়েছে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত দুই ফুটের মতো ফাঁক রয়েছে। তবে তৃতীয় তলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশটি পাশের ভবনে লেগে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের দুই তলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন হোসাইন আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
নগরীর কাপাসগোলা আব্দুল হাকিম বাই লেনের একটি ভবনের সপ্তম তলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন পুলক রায়। ভোরের দিকে বিল্ডিং দুলতে দেখে এ দম্পতির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। পুলক বলেন, ‘টেবিলে থাকা পানির বোতল কাত হয়ে নিচে পড়ে যায়। বাসার ফ্যানটি এমনভাবে দুলছিল আমরা ভেবেছিলাম বিল্ডিং ভেঙে পড়ে মারাই যাব। আমাদের বিল্ডিং যে কয়েকটি পরিবার বসবাস করে থাকেন তাঁরা সবাই দৌড়ে যে যার মতো করে নিচে নেমে খোলা জায়গায় নিরাপদে চলে যায়।’
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে নিয়ে দৌড়ে নিচে নামার কোনো সুযোগ ছিল না উল্লেখ করে পুলক আরও বলেন, ‘ভবনটি যখন দুলছিল তখন আমরা বাসার ভেতরে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলাম। কিন্তু পরে ভূমিকম্প থেমে গেলে স্বস্তি ফিরে পাই। এ সময় ভবনের নিচে দেখি অনেক লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।’
নগরীর আরও কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প নিকট অতীতে অনুভব করেননি তাঁরা।
রাঙামাটি বেতবুনিয়ার বাসিন্দা সোহান মারমা বলেন, ‘ভোরে হঠাৎ আমাদের একতলা ভবনটি ভয়াবহভাবে দুলতে শুরু করে। আমি ভেবেছিলাম থেমে যাবে। কিন্তু দেখলাম অনবরত বাসাটি দুলছে। পরে আমি ঘুমন্ত মেয়েকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমার মতো অন্য পরিবারগুলোতেও আতঙ্ক দেখা দেয়।’
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূ-কম্পনে উত্তর পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চট্টগ্রাম ও রংপুর অঞ্চল রয়েছে। মাঝারি হিসেবে ঢাকা, রাজশাহী, কুষ্টিয়াসহ অন্যান্য জায়গা রয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ।
চট্টগ্রামে গতকাল শুক্রবার ভোরে অনুভূত হয়েছে তীব্র ভূমিকম্প। এতে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ভবনগুলো থেকে খোলা রাস্তায় জড়ো হন। কয়েকটি জায়গায় ভবন হেলে পড়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের হাখা শহরের ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠের ৪২ কিলোমিটার গভীরে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়।
শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের দুটি ঝাঁকুনি (আফটারশক) অনুভূত হয়। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বহুতল ভবনগুলো বেশ জোরালোভাবে দুলে ওঠে। নগরী ও পার্বত্য জেলাগুলোতেও এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রের দাবি, ভূমিকম্পে চট্টগ্রামের কোথাও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাননি তাঁরা। তবে নগরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে কিছু জায়গা থেকে সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। নগরীর বহদ্দারহাটের বাসিন্দা আহসান উল্লাহ জানান, ভূমিকম্পে তাঁদের পাশের একটি ভবন হেলে পড়েছে। আগে সানশেডে থেকে ভবনটির দূরত্ব ছিলো ২ ফুট, এখন তা একদম লেগে গেছে।
গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলা সড়কের ৪২৯/এ নম্বরের রহমান ভিলা পাশের ফরিদ মিয়ার মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে হেলে পড়েছে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত দুই ফুটের মতো ফাঁক রয়েছে। তবে তৃতীয় তলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশটি পাশের ভবনে লেগে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের দুই তলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন হোসাইন আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
নগরীর কাপাসগোলা আব্দুল হাকিম বাই লেনের একটি ভবনের সপ্তম তলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন পুলক রায়। ভোরের দিকে বিল্ডিং দুলতে দেখে এ দম্পতির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। পুলক বলেন, ‘টেবিলে থাকা পানির বোতল কাত হয়ে নিচে পড়ে যায়। বাসার ফ্যানটি এমনভাবে দুলছিল আমরা ভেবেছিলাম বিল্ডিং ভেঙে পড়ে মারাই যাব। আমাদের বিল্ডিং যে কয়েকটি পরিবার বসবাস করে থাকেন তাঁরা সবাই দৌড়ে যে যার মতো করে নিচে নেমে খোলা জায়গায় নিরাপদে চলে যায়।’
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে নিয়ে দৌড়ে নিচে নামার কোনো সুযোগ ছিল না উল্লেখ করে পুলক আরও বলেন, ‘ভবনটি যখন দুলছিল তখন আমরা বাসার ভেতরে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলাম। কিন্তু পরে ভূমিকম্প থেমে গেলে স্বস্তি ফিরে পাই। এ সময় ভবনের নিচে দেখি অনেক লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।’
নগরীর আরও কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প নিকট অতীতে অনুভব করেননি তাঁরা।
রাঙামাটি বেতবুনিয়ার বাসিন্দা সোহান মারমা বলেন, ‘ভোরে হঠাৎ আমাদের একতলা ভবনটি ভয়াবহভাবে দুলতে শুরু করে। আমি ভেবেছিলাম থেমে যাবে। কিন্তু দেখলাম অনবরত বাসাটি দুলছে। পরে আমি ঘুমন্ত মেয়েকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমার মতো অন্য পরিবারগুলোতেও আতঙ্ক দেখা দেয়।’
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূ-কম্পনে উত্তর পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চট্টগ্রাম ও রংপুর অঞ্চল রয়েছে। মাঝারি হিসেবে ঢাকা, রাজশাহী, কুষ্টিয়াসহ অন্যান্য জায়গা রয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে