সাখাওয়াত ফাহাদ, ফরিদপুর থেকে ফিরে
বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসন। একদিকে গোপালগঞ্জ, অন্যদিকে পা বাড়ালেই রাজধানী। ফলে সব সময়ই বিশেষ নজর থাকে এই আসনের দিকে। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে কর্তৃত্ব ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আগামী নির্বাচনেও আসনটি আওয়ামী লীগের হাতেই থাকবে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের আগপর্যন্ত এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতিমষণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তবে ২০১৮ সালে এই আসনে রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন বুলবুলকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য তৎপর আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুলসহ পাঁচজন। করোনার পর থেকে কিছুটা অসুস্থ থাকলেও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিষয়ে আগ্রহী মঞ্জুর হোসেন বুলবুল।
মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনেও আমি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।’ তবে এই আসনের স্থানীয় ভোটাররা জানান, বর্তমান সংসদ সদস্য অসুস্থতার কারণে এলাকায় যান না। জনসাধারণের সঙ্গেও তাঁর তেমন সম্পৃক্ততা নেই। এদিক থেকে এগিয়ে আছেন আবদুর রহমান। এই আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি মূলত তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মনোনয়নের প্রত্যাশায় তিনি প্রতিনিয়ত এই এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি এবং বিএনপি থেকে আবার আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম। ২০১৪ ও ১৮ সালে মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. লিয়াকত আলী শিকদারের নামও আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩৩ বছর ধরে আমি আওয়ামী লীগ করছি। আগামী নির্বাচনে যদি আমাকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তবে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি এলাকা ও জনসাধারণের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখব।’
এদিকে এ আসন ঘিরে বিএনপির রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। গত বছরের নভেম্বরে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশের পর থেকেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত বিএনপির পরিকল্পনায় নির্বাচনের চেয়ে আন্দোলনই মুখ্য। তাই নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে এখনো চিন্তিত নয় দলটি। তবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এবারও দলের হাল ধরবেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
এই প্রবীণ নেতা প্রার্থিতার বিষয়ে বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি এই আসনে জিতবে। আমি ৭৯ সাল থেকে এই এলাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কয়েকবার নির্বাচিত হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং দল থেকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব।’ জানা গেছে, শাহ জাফরের ছেলে শাহ খুররম রাহুল কুমারও এই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া বিএনপি নেতা খন্দকার নাছিরুল ইসলামের নাম আলোচনায় রয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির আলী আহমদ, মধুখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আবু সাইদ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা কমিটির সদস্য আইনজীবী মানিক মজুমদারের নাম আলোচনায় আছে। তবে আলোচনা-সমালোচনায় থাকলেও এই আসনের ২৮টি ইউনিয়নের গ্রামীণ ভোটারদের ভোট নিশ্চিত না করতে পারলে যেকোনো সময় ভেসে যেতে পারে নৌকা কিংবা ধানের শীষ। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ভোট বেশি থাকলেও গ্রামীণ ভোটারদের ওপর বিএনপির বেশি প্রভাব রয়েছে।
বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসন। একদিকে গোপালগঞ্জ, অন্যদিকে পা বাড়ালেই রাজধানী। ফলে সব সময়ই বিশেষ নজর থাকে এই আসনের দিকে। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে কর্তৃত্ব ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আগামী নির্বাচনেও আসনটি আওয়ামী লীগের হাতেই থাকবে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের আগপর্যন্ত এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতিমষণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তবে ২০১৮ সালে এই আসনে রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন বুলবুলকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য তৎপর আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুলসহ পাঁচজন। করোনার পর থেকে কিছুটা অসুস্থ থাকলেও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিষয়ে আগ্রহী মঞ্জুর হোসেন বুলবুল।
মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনেও আমি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।’ তবে এই আসনের স্থানীয় ভোটাররা জানান, বর্তমান সংসদ সদস্য অসুস্থতার কারণে এলাকায় যান না। জনসাধারণের সঙ্গেও তাঁর তেমন সম্পৃক্ততা নেই। এদিক থেকে এগিয়ে আছেন আবদুর রহমান। এই আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি মূলত তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মনোনয়নের প্রত্যাশায় তিনি প্রতিনিয়ত এই এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি এবং বিএনপি থেকে আবার আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম। ২০১৪ ও ১৮ সালে মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. লিয়াকত আলী শিকদারের নামও আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩৩ বছর ধরে আমি আওয়ামী লীগ করছি। আগামী নির্বাচনে যদি আমাকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তবে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি এলাকা ও জনসাধারণের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখব।’
এদিকে এ আসন ঘিরে বিএনপির রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। গত বছরের নভেম্বরে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশের পর থেকেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত বিএনপির পরিকল্পনায় নির্বাচনের চেয়ে আন্দোলনই মুখ্য। তাই নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে এখনো চিন্তিত নয় দলটি। তবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এবারও দলের হাল ধরবেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
এই প্রবীণ নেতা প্রার্থিতার বিষয়ে বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি এই আসনে জিতবে। আমি ৭৯ সাল থেকে এই এলাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কয়েকবার নির্বাচিত হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং দল থেকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব।’ জানা গেছে, শাহ জাফরের ছেলে শাহ খুররম রাহুল কুমারও এই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া বিএনপি নেতা খন্দকার নাছিরুল ইসলামের নাম আলোচনায় রয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির আলী আহমদ, মধুখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আবু সাইদ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা কমিটির সদস্য আইনজীবী মানিক মজুমদারের নাম আলোচনায় আছে। তবে আলোচনা-সমালোচনায় থাকলেও এই আসনের ২৮টি ইউনিয়নের গ্রামীণ ভোটারদের ভোট নিশ্চিত না করতে পারলে যেকোনো সময় ভেসে যেতে পারে নৌকা কিংবা ধানের শীষ। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ভোট বেশি থাকলেও গ্রামীণ ভোটারদের ওপর বিএনপির বেশি প্রভাব রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে