রামদা হাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ২২
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৫৮

পাবনার ঈশ্বরদীতে দুর্বৃত্তের কোপে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনসিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওই গৃহবধূর নাম শারমীন শিলা (৩২)। তিনি ওই গ্রামের রানাউর রহমানের স্ত্রী। তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম সুমন হোসেন (৩০)। তিনি একই উপজেলার সরাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রামদা জব্দ করেছে।

আহত রানাউর রহমানকেপাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সুমনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূর শ্বশুর হাবিবুর রহমান, স্বামী রানাসহ পরিবারের তিন সদস্য বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। বাড়িটির প্রধান ফটক তখন খোলা ছিল।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই ফটক দিয়ে হঠাৎ একটি রামদা হাতে বাড়ির দোতলায় প্রবেশ করে এবং সেখানে গৃহবধূকে পেয়ে একা পেয়ে রামদা দিয়ে তাঁর মাথা ও ঘাড়ে কোপ দেয় সুমন। গৃহবধূ কোপ খেয়ে বাড়ির ছাদে এসে চিৎকার দিতে থাকেন। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে স্বামী রানা তাঁকে বাঁচাতে আসেন। এ সময় রানাকেও কোপ দেন সুমন। এ সময় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং রামদার আঘাতে রানা আহত হন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনতলার ছাদ থেকে রামদাসহ সুমন নিচে পড়ে আহত হন। এ সময় রানা ও বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশপাশের মানুষ জড়ো হয়। তারা সুমনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রামদাটি জব্দ এবং সুমনকে আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

গৃহবধূর শ্বশুর হাবিবুর রহমান বলেন, সুমন তাঁর ছেলের স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চান।

ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ওই বাড়িটি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সুমন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তবে কী কারণে তিনি খুন করেছেন, বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত