উত্তমের দুই শিশুর কী হবে

অভয়নগর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০৮
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ০৭

যশোরের অভয়নগরে নবনির্বাচিত সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য উত্তম সরকারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতেই হরিশপুর গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে যশোর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার-পরিজন ও এলাকাবাসী মিলে বিকেলেই স্থানীয় শুড়িরডাঙ্গা মহাশ্মশানে উত্তম সরকারের মরদেহের শেষ কৃত্য সম্পন্ন করেন।

এ দিকে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের একাধিক টিম রহস্য উদ্‌ঘাটন ও হত্যাকারী আটকে কাজ করছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

গত সোমবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন উত্তম সরকার। তিনি হরিশপুর গ্রামের প্রশান্ত সরকারের ছেলে।

২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে ফুটবল প্রতীক নিয়ে সুন্দলী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন উত্তম সরকার।

মঙ্গলবার সকালে সুন্দলী ইউপির হরিশপুর গ্রামে নিহত উত্তম সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষ বাড়িতে ভিড় করেছেন। টিনের চালের ঘরের বারান্দায় বসে নিহতের মা, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান কাঁদছে। গুলিতে হত্যার ঘটনায় অনেকের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা যায়।

নিহত উত্তম সরকারের মা শেফালী সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন করা-ই আমার ছেলের কাল হয়েছে। তাঁকে বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এখন উত্তমের দুই শিশুর কী হবে?’

উত্তম সরকারের স্ত্রী শ্রাবন্তি সরকার বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। পরিকল্পনাকারী ও খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

সুন্দলী ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন, ‘এভাবে একজন নির্বাচিত মেম্বারকে (ইউপি সদস্য) বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা ইউনিয়নের জন্য শুভ লক্ষণ হতে পারে না। ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা করেনি। তবে পুলিশের একাধিক দল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আটকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত