সম্পাদকীয়
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোড রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলেন মধ্যপাড়ার অধিবাসী এক নারী। তিনি মেয়ের জন্য মাদ্রাসায় খাবার নিয়ে যাচ্ছিলেন। আঘাত ছিল গুরুতর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল, কিন্তু তিনি আর বাঁচেননি।
প্রতিবছর ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর মিছিলে এ হয়তো একটা মামুলি সংবাদ। কিন্তু যে পরিবারটি স্বজনহারা হলো, তাদের জন্য এই ঘটনা ভয়ানক শোকের।
রেললাইন ঘিরে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে। কখনো কখনো রেলগেটে রেলগাড়ি আসার সিগন্যাল শোনার পরও পথচারী আর অন্যান্য যানবাহন রেললাইন অতিক্রম করে। ইচ্ছেমতো চলাচলের কারণেই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। কেউ ভাবেই না, একটি চলন্ত ট্রেনকে থামতে হলে অনেকটা সময় প্রয়োজন হয়।
রেললাইন ও মানুষের হাঁটাচলা নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা যাঁদের আছে, তাঁরা সবাই জানেন, সাধারণ মানুষ রেললাইনকে হামেশাই হাঁটার পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কোথাও কোথাও রেললাইনের পাশে বিপজ্জনক স্থানে বসে যায় বাজার। লাইনের ওপরে দাঁড়িয়েই ক্রেতারা দরদাম করতে থাকেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। বহু দূর থেকে ট্রেনের হুইসেল শোনা গেলেও তাঁদের টনক নড়ে না। বারবার হুইসেল বাজানোর পর একেবারে শেষ মুহূর্তে ‘দয়া করে’ ট্রেনকে এলাকাটি অতিক্রম করার সুযোগ দেন তাঁরা। ট্রেন চলে গেলে আবার বাজার বসে যায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার রেললাইনে এলে এ দৃশ্য দেখতে পাবেন যে কেউ এবং একই দৃশ্যের দেখা পাবেন দেশের বিভিন্ন জায়গার রেলপথে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে নারী ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেন, তিনিও একেবারে শেষ সময় রেললাইনে পা রেখেছিলেন। সে সময় ট্রেন নিশ্বাস নিচ্ছিল তাঁর ঘাড়ের কাছে। অথচ কতটা অসচেতন ছিলেন তিনি যে বুঝতেই পারছিলেন না, বাড়ানো এই পা তাঁকে পৃথিবীর মায়া ভুলে যেতে বাধ্য করবে!
কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেখানে আইনের চেয়ে সচেতনতা অনেক বেশি দরকারি। রেললাইন ও পথচারীদের সম্পর্কটাও নির্ভর করে সচেতনতার ওপর। যেহেতু সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা রেলপথের পুরোটা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়, সেহেতু সচেতনতাই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারে মানুষকে। রেল আইনের কথা একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলে বলতে হবে, ১৮৯০ সালের রেল আইনে রয়েছে, রেললাইনের ১০ ফুটের মধ্য দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে না। শুধু মানুষ নয়, যদি কারও গবাদিপশু এই সীমার মধ্যে ঢুকে পড়ে, তাহলে সেগুলোকেও নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। আইন যখন এ রকম কথা বলছে, বাস্তবে তখন আমরা কী করছি? আমরা তখন রেললাইনের গা ঘেঁষে বাজার বানাচ্ছি, রেলপথ দিয়ে নিজেরা হাঁটছি।
সচেতনতার অভাবে প্রতিবছরই ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে মানুষ, যা দুঃখজনক। কিন্তু কেন মানুষের মনে সচেতনতা আসে না, এটা ভেবেই কূল-কিনারা পাওয়া যায় না। সচেতনতাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার, কিন্তু তা মানছে কে?
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোড রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলেন মধ্যপাড়ার অধিবাসী এক নারী। তিনি মেয়ের জন্য মাদ্রাসায় খাবার নিয়ে যাচ্ছিলেন। আঘাত ছিল গুরুতর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল, কিন্তু তিনি আর বাঁচেননি।
প্রতিবছর ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর মিছিলে এ হয়তো একটা মামুলি সংবাদ। কিন্তু যে পরিবারটি স্বজনহারা হলো, তাদের জন্য এই ঘটনা ভয়ানক শোকের।
রেললাইন ঘিরে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে। কখনো কখনো রেলগেটে রেলগাড়ি আসার সিগন্যাল শোনার পরও পথচারী আর অন্যান্য যানবাহন রেললাইন অতিক্রম করে। ইচ্ছেমতো চলাচলের কারণেই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। কেউ ভাবেই না, একটি চলন্ত ট্রেনকে থামতে হলে অনেকটা সময় প্রয়োজন হয়।
রেললাইন ও মানুষের হাঁটাচলা নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা যাঁদের আছে, তাঁরা সবাই জানেন, সাধারণ মানুষ রেললাইনকে হামেশাই হাঁটার পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কোথাও কোথাও রেললাইনের পাশে বিপজ্জনক স্থানে বসে যায় বাজার। লাইনের ওপরে দাঁড়িয়েই ক্রেতারা দরদাম করতে থাকেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। বহু দূর থেকে ট্রেনের হুইসেল শোনা গেলেও তাঁদের টনক নড়ে না। বারবার হুইসেল বাজানোর পর একেবারে শেষ মুহূর্তে ‘দয়া করে’ ট্রেনকে এলাকাটি অতিক্রম করার সুযোগ দেন তাঁরা। ট্রেন চলে গেলে আবার বাজার বসে যায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার রেললাইনে এলে এ দৃশ্য দেখতে পাবেন যে কেউ এবং একই দৃশ্যের দেখা পাবেন দেশের বিভিন্ন জায়গার রেলপথে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে নারী ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেন, তিনিও একেবারে শেষ সময় রেললাইনে পা রেখেছিলেন। সে সময় ট্রেন নিশ্বাস নিচ্ছিল তাঁর ঘাড়ের কাছে। অথচ কতটা অসচেতন ছিলেন তিনি যে বুঝতেই পারছিলেন না, বাড়ানো এই পা তাঁকে পৃথিবীর মায়া ভুলে যেতে বাধ্য করবে!
কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেখানে আইনের চেয়ে সচেতনতা অনেক বেশি দরকারি। রেললাইন ও পথচারীদের সম্পর্কটাও নির্ভর করে সচেতনতার ওপর। যেহেতু সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা রেলপথের পুরোটা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়, সেহেতু সচেতনতাই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারে মানুষকে। রেল আইনের কথা একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলে বলতে হবে, ১৮৯০ সালের রেল আইনে রয়েছে, রেললাইনের ১০ ফুটের মধ্য দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে না। শুধু মানুষ নয়, যদি কারও গবাদিপশু এই সীমার মধ্যে ঢুকে পড়ে, তাহলে সেগুলোকেও নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। আইন যখন এ রকম কথা বলছে, বাস্তবে তখন আমরা কী করছি? আমরা তখন রেললাইনের গা ঘেঁষে বাজার বানাচ্ছি, রেলপথ দিয়ে নিজেরা হাঁটছি।
সচেতনতার অভাবে প্রতিবছরই ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে মানুষ, যা দুঃখজনক। কিন্তু কেন মানুষের মনে সচেতনতা আসে না, এটা ভেবেই কূল-কিনারা পাওয়া যায় না। সচেতনতাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার, কিন্তু তা মানছে কে?
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে