অভয়নগর মুক্ত দিবস আজ

অভয়নগর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০৫
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৯

অভয়নগর মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে (৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন উপজেলার লাখো মানুষ।

অভয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আলী আহম্মেদ খান অভয়নগর মুক্ত করার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, অভয়নগরকে শত্রুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। ৬ ডিসেম্বর যশোর শহর ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট হানাদার মুক্ত হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানি বাহিনী অভয়নগরে চলে আসে। তাঁরা যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তিনটি জুট মিলে (জেজেআই, কার্পেটিং ও পূর্বাচল) ক্যাম্প স্থাপন করেন। ৮ ডিসেম্বর সকালে তাঁরা নওয়াপাড়া রেল স্টেশন এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে অসংখ্য নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করে একটি গর্তে পুতে রাখেন।

আলী আহম্মেদ খান আরও বলেন, অভয়নগর মুক্ত করার টার্গেটে ৮ ডিসেম্বর ভোরে নড়াইল জেলার শ্যাম দারোগার বাড়ি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভয়নগরে চলে আসেন এবং স্থানীয় মুক্তি বাহিনীর সদস্যদের সংবদ্ধ করতে শুরু করেন। এ দিন সন্ধ্যায় উপজেলার রাজঘাট এলাকায় জেজেআই জুট মিলে থাকা পাক বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। খবর পেয়ে অন্য দুই জুট মিলে থাকা পাক বাহিনী চলে আসে রাজঘাটে। যুদ্ধ চলাকালীন মধ্যরাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মেজর জলিলের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া দল যোগ দেয়। ৯ ডিসেম্বর সকালে ত্রিমুখী আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে খুলনা জেলার ফুলতলা ও শিরোমণি এলাকায় পালিয়ে যায়। হানাদার মুক্ত হয় অভয়নগর।

তিনি আরও বলেন, নওয়াপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন সেই গণকবর আজও কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। ২০০৯ সালে নওয়াপাড়া পৌরসভার তৎকালীন মেয়র বর্তমান অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল গণকবর সংরক্ষণ ও কবরের সঙ্গে লাল রঙের একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। এরপর থেকে ৯ ডিসেম্বর অভয়নগর মুক্ত দিবসসহ ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ আসলে অভয়নগরবাসী গণকবরসহ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্বক শহীদদের স্মরণ করে থাকেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত