অভয়নগর প্রতিনিধি
অভয়নগর মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে (৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন উপজেলার লাখো মানুষ।
অভয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আলী আহম্মেদ খান অভয়নগর মুক্ত করার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, অভয়নগরকে শত্রুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। ৬ ডিসেম্বর যশোর শহর ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট হানাদার মুক্ত হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানি বাহিনী অভয়নগরে চলে আসে। তাঁরা যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তিনটি জুট মিলে (জেজেআই, কার্পেটিং ও পূর্বাচল) ক্যাম্প স্থাপন করেন। ৮ ডিসেম্বর সকালে তাঁরা নওয়াপাড়া রেল স্টেশন এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে অসংখ্য নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করে একটি গর্তে পুতে রাখেন।
আলী আহম্মেদ খান আরও বলেন, অভয়নগর মুক্ত করার টার্গেটে ৮ ডিসেম্বর ভোরে নড়াইল জেলার শ্যাম দারোগার বাড়ি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভয়নগরে চলে আসেন এবং স্থানীয় মুক্তি বাহিনীর সদস্যদের সংবদ্ধ করতে শুরু করেন। এ দিন সন্ধ্যায় উপজেলার রাজঘাট এলাকায় জেজেআই জুট মিলে থাকা পাক বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। খবর পেয়ে অন্য দুই জুট মিলে থাকা পাক বাহিনী চলে আসে রাজঘাটে। যুদ্ধ চলাকালীন মধ্যরাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মেজর জলিলের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া দল যোগ দেয়। ৯ ডিসেম্বর সকালে ত্রিমুখী আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে খুলনা জেলার ফুলতলা ও শিরোমণি এলাকায় পালিয়ে যায়। হানাদার মুক্ত হয় অভয়নগর।
তিনি আরও বলেন, নওয়াপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন সেই গণকবর আজও কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। ২০০৯ সালে নওয়াপাড়া পৌরসভার তৎকালীন মেয়র বর্তমান অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল গণকবর সংরক্ষণ ও কবরের সঙ্গে লাল রঙের একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। এরপর থেকে ৯ ডিসেম্বর অভয়নগর মুক্ত দিবসসহ ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ আসলে অভয়নগরবাসী গণকবরসহ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্বক শহীদদের স্মরণ করে থাকেন।
অভয়নগর মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে (৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন উপজেলার লাখো মানুষ।
অভয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আলী আহম্মেদ খান অভয়নগর মুক্ত করার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, অভয়নগরকে শত্রুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। ৬ ডিসেম্বর যশোর শহর ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট হানাদার মুক্ত হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানি বাহিনী অভয়নগরে চলে আসে। তাঁরা যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তিনটি জুট মিলে (জেজেআই, কার্পেটিং ও পূর্বাচল) ক্যাম্প স্থাপন করেন। ৮ ডিসেম্বর সকালে তাঁরা নওয়াপাড়া রেল স্টেশন এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে অসংখ্য নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করে একটি গর্তে পুতে রাখেন।
আলী আহম্মেদ খান আরও বলেন, অভয়নগর মুক্ত করার টার্গেটে ৮ ডিসেম্বর ভোরে নড়াইল জেলার শ্যাম দারোগার বাড়ি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভয়নগরে চলে আসেন এবং স্থানীয় মুক্তি বাহিনীর সদস্যদের সংবদ্ধ করতে শুরু করেন। এ দিন সন্ধ্যায় উপজেলার রাজঘাট এলাকায় জেজেআই জুট মিলে থাকা পাক বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। খবর পেয়ে অন্য দুই জুট মিলে থাকা পাক বাহিনী চলে আসে রাজঘাটে। যুদ্ধ চলাকালীন মধ্যরাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মেজর জলিলের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া দল যোগ দেয়। ৯ ডিসেম্বর সকালে ত্রিমুখী আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে খুলনা জেলার ফুলতলা ও শিরোমণি এলাকায় পালিয়ে যায়। হানাদার মুক্ত হয় অভয়নগর।
তিনি আরও বলেন, নওয়াপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন সেই গণকবর আজও কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। ২০০৯ সালে নওয়াপাড়া পৌরসভার তৎকালীন মেয়র বর্তমান অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল গণকবর সংরক্ষণ ও কবরের সঙ্গে লাল রঙের একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। এরপর থেকে ৯ ডিসেম্বর অভয়নগর মুক্ত দিবসসহ ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ আসলে অভয়নগরবাসী গণকবরসহ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্বক শহীদদের স্মরণ করে থাকেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে