অর্চি হক, ঢাকা
জাতিসংঘের নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদে (সিডও) বাংলাদেশ সই করার পর কেটে গেছে ৩৯ বছর। কিন্তু সনদের দুটি ধারায় সরকারের আপত্তি আজও প্রত্যাহার করা হয়নি। ওই দুটি ধারায় বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ও অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে নারীকে সম-অধিকার দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। আপত্তি প্রত্যাহার না করার কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, দেশের সমাজ এখনো এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। কিন্তু নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, সিডওর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন না হওয়ার দায় সমাজের নয়, নীতিনির্ধারকদের।
এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমাজ নয়, বরং নীতিনির্ধারকেরাই মানসিকভাবে নারীর সম-অধিকার মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। যে কারণে ৩৯ বছরেও সিডওর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন সম্ভব হয়নি। আর যে ধারাগুলোয় আপত্তি নেই, সেগুলোরও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন আমরা হতে দেখছি না।’
এমন প্রেক্ষাপটেই আজ ৩ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে সিডও দিবস। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে সনদটি ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের এই সনদ কার্যকর হতে শুরু করে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চারটি ধারায় আপত্তি রেখে সনদে সই করে। পরে ২ ও ১৬ (১) (গ) ধারার ওপর আপত্তি রেখে বাকি দুটি থেকে আপত্তি প্রত্যাহার করা হয়। সনদের ২ নম্বর ধারায় নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং ১৬ (১) (গ) ধারায় বিয়ে ও পারিবারিক আইনে সম-অধিকারের কথা বলা আছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দুটি ধারাই হলো সিডওর মূল স্পিরিট (চেতনা)। ৩৯ বছরেও মূল দুটি ধারার ওপর সরকারের আপত্তি প্রত্যাহার না হওয়াটা দুঃখজনক। এর দায় অবশ্যই নীতিনির্ধারকদের। রাজনৈতিক সদিচ্ছাটাও একটা বড় কারণ।’
সনদের দুটি ধারায় আপত্তি বহাল থাকায় নারীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন নারী অধিকারকর্মীরা। তাঁদের মতে, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে সিডওর দুটি ধারা থেকে আপত্তি তুলে নেওয়া জরুরি। আর যেসব ধারায় আপত্তি নেই, সেগুলোও কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, তার পর্যালোচনা দরকার।
এ বিষয়ে নারীপক্ষের সদস্য আইনজীবী কামরুন নাহার বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় কয়েকটি আইন হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা কতটুকু এগোলাম, সিডওর কতটুকু বাস্তবায়ন হলো তা মনিটরিং প্রয়োজন।’
জাতিসংঘের নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদে (সিডও) বাংলাদেশ সই করার পর কেটে গেছে ৩৯ বছর। কিন্তু সনদের দুটি ধারায় সরকারের আপত্তি আজও প্রত্যাহার করা হয়নি। ওই দুটি ধারায় বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ও অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে নারীকে সম-অধিকার দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। আপত্তি প্রত্যাহার না করার কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, দেশের সমাজ এখনো এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। কিন্তু নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, সিডওর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন না হওয়ার দায় সমাজের নয়, নীতিনির্ধারকদের।
এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমাজ নয়, বরং নীতিনির্ধারকেরাই মানসিকভাবে নারীর সম-অধিকার মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। যে কারণে ৩৯ বছরেও সিডওর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন সম্ভব হয়নি। আর যে ধারাগুলোয় আপত্তি নেই, সেগুলোরও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন আমরা হতে দেখছি না।’
এমন প্রেক্ষাপটেই আজ ৩ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে সিডও দিবস। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে সনদটি ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের এই সনদ কার্যকর হতে শুরু করে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চারটি ধারায় আপত্তি রেখে সনদে সই করে। পরে ২ ও ১৬ (১) (গ) ধারার ওপর আপত্তি রেখে বাকি দুটি থেকে আপত্তি প্রত্যাহার করা হয়। সনদের ২ নম্বর ধারায় নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং ১৬ (১) (গ) ধারায় বিয়ে ও পারিবারিক আইনে সম-অধিকারের কথা বলা আছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দুটি ধারাই হলো সিডওর মূল স্পিরিট (চেতনা)। ৩৯ বছরেও মূল দুটি ধারার ওপর সরকারের আপত্তি প্রত্যাহার না হওয়াটা দুঃখজনক। এর দায় অবশ্যই নীতিনির্ধারকদের। রাজনৈতিক সদিচ্ছাটাও একটা বড় কারণ।’
সনদের দুটি ধারায় আপত্তি বহাল থাকায় নারীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন নারী অধিকারকর্মীরা। তাঁদের মতে, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে সিডওর দুটি ধারা থেকে আপত্তি তুলে নেওয়া জরুরি। আর যেসব ধারায় আপত্তি নেই, সেগুলোও কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, তার পর্যালোচনা দরকার।
এ বিষয়ে নারীপক্ষের সদস্য আইনজীবী কামরুন নাহার বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় কয়েকটি আইন হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা কতটুকু এগোলাম, সিডওর কতটুকু বাস্তবায়ন হলো তা মনিটরিং প্রয়োজন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪