খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
চট্টগ্রাম টু ঢাকা রুটের বাসে সুলতানাকে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে নামলে একটা অটোরিকশা এসে তাকে নিয়ে যায় গন্তব্যে। এই পুরো পথ সুলতানা তটস্থ থাকে, বাসে কখনো দু চোখের পাতা এক হলেও আশঙ্কার হাতছানি তাকে বারবার ডেকে তোলে। শারীরিক অস্বস্তিও কম ভোগায় না পুরো পথজুড়ে। কারণ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সুলতানা তো একা আসে না, বিশেষ উপায়ে নিজের শরীরের ভেতরে বয়ে নিয়ে আসে নিষিদ্ধ মাদক।
যেকোনো সময় আইনের হাতে ধরা পড়ার তীব্র ভয় আর শারীরিক যন্ত্রণা সঙ্গী করে এই ‘ট্রিপ’ সুলতানাকে মাঝেমধ্যেই করতে হয়। কারণ যে চক্রের জালে সে জড়িয়ে পড়েছে, তা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভবও। শরীরে মাদক বহনের বিনিময়ে সুলতানা মোটা টাকাও পায়। সে টাকায় তার একান্নবর্তী পরিবারের খরচ চলে।
ভাইকে ব্যবসার পুঁজি দেওয়া, মায়ের চিকিৎসা, স্বামীর রোজগারের পথটা নিশ্চিত করা, মেয়ের ভবিষ্যৎ—অনেক দুশ্চিন্তার ভার তার কাঁধে। সুলতানাকে তাই প্রায়ই ক্লান্ত-বিষণ্ন-বিধ্বস্ত দেখায়। তবে মেয়ের ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার স্বপ্ন তার অসুস্থ শরীরে জোগায় আরও কিছুটা পথ চলার শক্তি।
শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘গুটি’ সিরিজে যে সুলতানাকে দেখা যাচ্ছে, একটু খোলা চোখে তাকালে তাকে আপনি খুঁজে পাবেন আশপাশেই। এ শহরে কিংবা গ্রামে এমন অসংখ্য নারীর দেখা মিলবে, যাঁরা ঘরে-বাইরে সারা দিন খেটে চলেছেন। নারী ক্ষমতায়নের ধারণার সঙ্গে যাঁদের ঘুণাক্ষরেও পরিচয় ঘটেনি কোনো দিন, সফল নারীদের তালিকায় হয়তো যাঁদের নামও আসবে না কখনো, তবুও তাঁরাই প্রতিনিয়ত সচল রাখছেন পারিবারিক অর্থনীতির চাকা। সেই সাধারণ-আটপৌরে নারীটিকে গল্পের প্রধান চরিত্রে রেখেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। এই ঝলমলে-চকচকে-চোখ ধাঁধানো কনটেন্টের ভিড়ে তিনি যে এই সাহসটা করলেন, সে কারণে বাড়তি বাহবা নির্মাতার প্রাপ্য।
কিন্তু যে গল্পের হাইওয়ে ধরে সুলতানাকে নিয়ে এলেন তিনি, তা যেন মোড়ে মোড়ে খানিকটা খেই হারিয়েও ফেলল। সিরিজটি শুরু হয়েছিল মাদক পাচারের অন্দরের রহস্য দিয়ে, পথ চলতে চলতে সেটা রূপ নিয়েছে পলায়নের গল্পে। ‘গুটি’ সিরিজের গল্প যতক্ষণে শুরু হয়েছে, ততক্ষণে সুলতানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাদক পাচারের কাজ আর সে করবে না। চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় বাসা দেখার তোড়জোড় করে, মেয়েকে ভর্তি করার জন্য স্কুলে খোঁজ লাগায়। কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর একসময় স্বামী-সন্তান নিয়ে পালিয়েও যায়। এর পরের গল্পটা কোথাও স্থির হয় না। চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা হয়ে অবৈধ পথে গল্প ছোটে মালয়েশিয়ার পথে। আর তার পিছে ছুটতে থাকে মাদক পাচারকারী গ্যাং। সব ঘটনা বৈচিত্র্যহীন আর মুখস্থ উপায়ে ঘটতে থাকে, আলাদা করে রহস্য কিংবা মুগ্ধতা জমা হয় না।
তবে পুরোটা সময়ই চোখ আটকে থাকে বাঁধনের দিকে। সুলতানা চরিত্রকে এতটা দরদ ঢেলে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি, কোথাও বিশ্বাসযোগ্যতার এতটুকুও কমতি নেই। অল্প উপস্থিতি দিয়েও নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন মৌসুমী হামিদ। তীব্র সংকটের সময়ে ‘ভালোবাসার মানুষ’কে পেয়ে, হাসপাতালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তাঁর সংলাপ মন ছুঁয়ে যায়। সুলতানার স্বামীর চরিত্রে শাহরিয়ার নাজিম জয়ও অসাধারণ। সুফিয়া চরিত্রে অহনা সৌরভের স্বল্প উপস্থিতিও আনন্দ দেবে। তবে, এত ভালো অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে গল্পের হাল আরও শক্ত হাতে সামলাতে পারতেন নির্মাতা। সেদিক থেকে কিছুটা ঘাটতি রয়েই গেল।
চট্টগ্রাম টু ঢাকা রুটের বাসে সুলতানাকে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে নামলে একটা অটোরিকশা এসে তাকে নিয়ে যায় গন্তব্যে। এই পুরো পথ সুলতানা তটস্থ থাকে, বাসে কখনো দু চোখের পাতা এক হলেও আশঙ্কার হাতছানি তাকে বারবার ডেকে তোলে। শারীরিক অস্বস্তিও কম ভোগায় না পুরো পথজুড়ে। কারণ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সুলতানা তো একা আসে না, বিশেষ উপায়ে নিজের শরীরের ভেতরে বয়ে নিয়ে আসে নিষিদ্ধ মাদক।
যেকোনো সময় আইনের হাতে ধরা পড়ার তীব্র ভয় আর শারীরিক যন্ত্রণা সঙ্গী করে এই ‘ট্রিপ’ সুলতানাকে মাঝেমধ্যেই করতে হয়। কারণ যে চক্রের জালে সে জড়িয়ে পড়েছে, তা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভবও। শরীরে মাদক বহনের বিনিময়ে সুলতানা মোটা টাকাও পায়। সে টাকায় তার একান্নবর্তী পরিবারের খরচ চলে।
ভাইকে ব্যবসার পুঁজি দেওয়া, মায়ের চিকিৎসা, স্বামীর রোজগারের পথটা নিশ্চিত করা, মেয়ের ভবিষ্যৎ—অনেক দুশ্চিন্তার ভার তার কাঁধে। সুলতানাকে তাই প্রায়ই ক্লান্ত-বিষণ্ন-বিধ্বস্ত দেখায়। তবে মেয়ের ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার স্বপ্ন তার অসুস্থ শরীরে জোগায় আরও কিছুটা পথ চলার শক্তি।
শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘গুটি’ সিরিজে যে সুলতানাকে দেখা যাচ্ছে, একটু খোলা চোখে তাকালে তাকে আপনি খুঁজে পাবেন আশপাশেই। এ শহরে কিংবা গ্রামে এমন অসংখ্য নারীর দেখা মিলবে, যাঁরা ঘরে-বাইরে সারা দিন খেটে চলেছেন। নারী ক্ষমতায়নের ধারণার সঙ্গে যাঁদের ঘুণাক্ষরেও পরিচয় ঘটেনি কোনো দিন, সফল নারীদের তালিকায় হয়তো যাঁদের নামও আসবে না কখনো, তবুও তাঁরাই প্রতিনিয়ত সচল রাখছেন পারিবারিক অর্থনীতির চাকা। সেই সাধারণ-আটপৌরে নারীটিকে গল্পের প্রধান চরিত্রে রেখেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। এই ঝলমলে-চকচকে-চোখ ধাঁধানো কনটেন্টের ভিড়ে তিনি যে এই সাহসটা করলেন, সে কারণে বাড়তি বাহবা নির্মাতার প্রাপ্য।
কিন্তু যে গল্পের হাইওয়ে ধরে সুলতানাকে নিয়ে এলেন তিনি, তা যেন মোড়ে মোড়ে খানিকটা খেই হারিয়েও ফেলল। সিরিজটি শুরু হয়েছিল মাদক পাচারের অন্দরের রহস্য দিয়ে, পথ চলতে চলতে সেটা রূপ নিয়েছে পলায়নের গল্পে। ‘গুটি’ সিরিজের গল্প যতক্ষণে শুরু হয়েছে, ততক্ষণে সুলতানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাদক পাচারের কাজ আর সে করবে না। চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় বাসা দেখার তোড়জোড় করে, মেয়েকে ভর্তি করার জন্য স্কুলে খোঁজ লাগায়। কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর একসময় স্বামী-সন্তান নিয়ে পালিয়েও যায়। এর পরের গল্পটা কোথাও স্থির হয় না। চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা হয়ে অবৈধ পথে গল্প ছোটে মালয়েশিয়ার পথে। আর তার পিছে ছুটতে থাকে মাদক পাচারকারী গ্যাং। সব ঘটনা বৈচিত্র্যহীন আর মুখস্থ উপায়ে ঘটতে থাকে, আলাদা করে রহস্য কিংবা মুগ্ধতা জমা হয় না।
তবে পুরোটা সময়ই চোখ আটকে থাকে বাঁধনের দিকে। সুলতানা চরিত্রকে এতটা দরদ ঢেলে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি, কোথাও বিশ্বাসযোগ্যতার এতটুকুও কমতি নেই। অল্প উপস্থিতি দিয়েও নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন মৌসুমী হামিদ। তীব্র সংকটের সময়ে ‘ভালোবাসার মানুষ’কে পেয়ে, হাসপাতালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তাঁর সংলাপ মন ছুঁয়ে যায়। সুলতানার স্বামীর চরিত্রে শাহরিয়ার নাজিম জয়ও অসাধারণ। সুফিয়া চরিত্রে অহনা সৌরভের স্বল্প উপস্থিতিও আনন্দ দেবে। তবে, এত ভালো অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে গল্পের হাল আরও শক্ত হাতে সামলাতে পারতেন নির্মাতা। সেদিক থেকে কিছুটা ঘাটতি রয়েই গেল।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে