সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)
কয়েক বছর আগেও বনদস্যুদের তৎপরতায় বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলসংলগ্ন দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুমের সময় জেলেরা আতঙ্ক নিয়ে বনে যেতেন। অধিকাংশ দস্যুবাহিনীর আত্মসমর্পণে এবার দস্যু আতঙ্কমুক্ত হয়ে নির্ভার যাত্রা করতে পারছেন তাঁরা।
মোংলার পশুর নদীসংলগ্ন চিলা খাল থেকে প্রথম দফায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিন শতাধিক জেলের যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম। প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ মৌসুম চলে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলে পল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনের দুবলা চরের জেলে পল্লিতে ইতিমধ্যেই মোংলা, রামপাল, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ উপকূলের হাজার হাজার জেলে সমবেত হতে শুরু করেছে।
প্রতি বছর অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া শুঁটকি মৌসুমে সাগর পাড়ের মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে প্রায় ২০ হাজার জেলে জড়ো হয়।
সম্মিলিতভাবে এ চরগুলোকে দুবলার চর বলা হয়। দুবলা জেলে পল্লির জেলেরা নিজেদের থাকা, মাছ ধরার সরঞ্জাম রাখা ও শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করেন। জেলেরা সমুদ্র মোহনায় বেহুন্দী জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার ও বাছাই করে শুঁটকি করেন।
এ বছরও সুন্দরবনগামী জেলেদের মধ্যে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বন বিভাগের হয়রানির আতঙ্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি দস্যুবাহিনীগুলোর আত্মসমর্পণে জেলেদের মধ্যে আগের মতো আর দস্যু আতঙ্ক নেই।
দুবলার চরের উদ্দেশে যাত্রা করা মোংলার জয়মনির ইকবাল, চিলার হুমায়ুন, চাঁদপাই গ্রামের সেকেন্দার, রামপাল উপজেলার পেড়িখালী গ্রামের কায়কোবাদসহ অনেক জেলে বলেন, বিগত এক যুগ ধরে প্রতি মৌসুমে যাত্রা শুরুর আগে তাঁরা দস্যুদের হাতে অপহৃত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতেন। গত তিন বছর ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে র্যাবের কাছে দস্যুদের আত্মসমর্পণের পর এবার তাঁরা দস্যু আতঙ্ক ছাড়াই যাত্রা করতে পারছেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রাখতেই হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে তাঁদের দাবি, চলতি মৌসুমে তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে মাছ শিকার ও শুঁটকি তৈরি করতে পারেন তার যেন ব্যবস্থা করে।
র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, গত তিন বছরে শুধু র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কাছে সুন্দরবনের ২৬টি দস্যুবাহিনীর প্রধানসহ ২৭৪ জন দস্যু ৪১২টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন। জেলে থেকে শুরু করে সব বনজীবীই এখন অনেকটা আতঙ্কমুক্ত। তারপরও চলতি শুঁটকি মৌসুমে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য দুবলার চরে র্যাবের ক্যাম্পে জনবল বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলেদের সুন্দরবনে যাওয়ার পথে নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে তাঁদের নিরাপত্তা বোটগুলো সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়া জেলেদের কাছে তাঁদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেকোনো বিপদে তাঁদের জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জেলেরা যাতে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ ধ্বংস করে থাকার ঘর নির্মাণ না করে, সে জন্য তাঁদের ঘর তৈরি করার সরঞ্জাম সঙ্গে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের মাছ আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণের ওপর ভিত্তি করেই বন বিভাগের রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। গত অর্থবছরে এই খাত থেকে রাজস্ব আয় ছিল প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ বছরও সমপরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে বলে আশা করেন তিনি।
কয়েক বছর আগেও বনদস্যুদের তৎপরতায় বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলসংলগ্ন দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুমের সময় জেলেরা আতঙ্ক নিয়ে বনে যেতেন। অধিকাংশ দস্যুবাহিনীর আত্মসমর্পণে এবার দস্যু আতঙ্কমুক্ত হয়ে নির্ভার যাত্রা করতে পারছেন তাঁরা।
মোংলার পশুর নদীসংলগ্ন চিলা খাল থেকে প্রথম দফায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিন শতাধিক জেলের যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম। প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ মৌসুম চলে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলে পল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনের দুবলা চরের জেলে পল্লিতে ইতিমধ্যেই মোংলা, রামপাল, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ উপকূলের হাজার হাজার জেলে সমবেত হতে শুরু করেছে।
প্রতি বছর অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া শুঁটকি মৌসুমে সাগর পাড়ের মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে প্রায় ২০ হাজার জেলে জড়ো হয়।
সম্মিলিতভাবে এ চরগুলোকে দুবলার চর বলা হয়। দুবলা জেলে পল্লির জেলেরা নিজেদের থাকা, মাছ ধরার সরঞ্জাম রাখা ও শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করেন। জেলেরা সমুদ্র মোহনায় বেহুন্দী জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার ও বাছাই করে শুঁটকি করেন।
এ বছরও সুন্দরবনগামী জেলেদের মধ্যে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বন বিভাগের হয়রানির আতঙ্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি দস্যুবাহিনীগুলোর আত্মসমর্পণে জেলেদের মধ্যে আগের মতো আর দস্যু আতঙ্ক নেই।
দুবলার চরের উদ্দেশে যাত্রা করা মোংলার জয়মনির ইকবাল, চিলার হুমায়ুন, চাঁদপাই গ্রামের সেকেন্দার, রামপাল উপজেলার পেড়িখালী গ্রামের কায়কোবাদসহ অনেক জেলে বলেন, বিগত এক যুগ ধরে প্রতি মৌসুমে যাত্রা শুরুর আগে তাঁরা দস্যুদের হাতে অপহৃত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতেন। গত তিন বছর ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে র্যাবের কাছে দস্যুদের আত্মসমর্পণের পর এবার তাঁরা দস্যু আতঙ্ক ছাড়াই যাত্রা করতে পারছেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রাখতেই হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে তাঁদের দাবি, চলতি মৌসুমে তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে মাছ শিকার ও শুঁটকি তৈরি করতে পারেন তার যেন ব্যবস্থা করে।
র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, গত তিন বছরে শুধু র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কাছে সুন্দরবনের ২৬টি দস্যুবাহিনীর প্রধানসহ ২৭৪ জন দস্যু ৪১২টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন। জেলে থেকে শুরু করে সব বনজীবীই এখন অনেকটা আতঙ্কমুক্ত। তারপরও চলতি শুঁটকি মৌসুমে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য দুবলার চরে র্যাবের ক্যাম্পে জনবল বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলেদের সুন্দরবনে যাওয়ার পথে নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে তাঁদের নিরাপত্তা বোটগুলো সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়া জেলেদের কাছে তাঁদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেকোনো বিপদে তাঁদের জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জেলেরা যাতে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ ধ্বংস করে থাকার ঘর নির্মাণ না করে, সে জন্য তাঁদের ঘর তৈরি করার সরঞ্জাম সঙ্গে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের মাছ আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণের ওপর ভিত্তি করেই বন বিভাগের রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। গত অর্থবছরে এই খাত থেকে রাজস্ব আয় ছিল প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ বছরও সমপরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে বলে আশা করেন তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে