ঝিনাইদহে কেন্দ্রে যেতে বাধা, সংঘর্ষে আহত ১০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২১, ০৭: ৪৮
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৩০

ঝিনাইদহের মহেশপুরের সীমান্তবর্তী মুন্ডুমালা যুব কৃষি ক্লাব ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেওয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল আলম মৃধা ও বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল হাসানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মোবাইল টিমের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিয়া আক্তার কথা বলতে না চাইলেও দায়িত্বরত কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়ে একে অপরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ-বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় একজন ভোটার সাদিকুর রহমান জানান, হঠাৎ করে নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রে আসলে কিছু মানুষ ভোট কাটা শুরু করে। সেসময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা বাধা দিলে এই মারামারি শুরু হয়। সেসময় পাশে থাকা ইট ভাটার ইট নিয়ে শুরু ছোড়াছুড়ি। পরে পুলিশ ও বিজিবি এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

নৌকা প্রতীকের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের নাজমুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, নৌকার সমর্থকেরা আমার ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। আমি গাড়ি নিয়ে সেজিয়া কেন্দ্রে আসলে আমার ওপরও তারা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। আবার ওই প্রার্থী মুন্ডুমালা কেন্দ্রে গিয়ে নিজের প্রতীকে সিল মারে। বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা করে।

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল আলম মৃধা জানান, সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। বিদ্রোহী প্রার্থী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের কোনো কর্মী-সমর্থক কাউকেই বাধা দিচ্ছে না।

মুন্ডুমালা কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার জহুরুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রের ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি। বাইরে ঝামেলা হয়েছে।

এদিকে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়। সকাল থেকেই গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, নসিমন, করিমন, আলমসাধুসহ বিভিন্ন বাহনে করে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে থাকে।

সকালের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটার উপস্থিতি। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।

উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১১৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ৮১৩ জন পুলিশ, এক হাজার ৯৭২ জন আনসার, তিন প্লাটুন বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত