হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৫
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৬

শরীয়তপুরে শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক সমিতির সদস্যদের ওপর বোমা হামলার প্রতিবাদে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শরীয়তপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী মাদবর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। বাস না পেয়ে অনেক যাত্রীই হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন। অনেককে আবার বিকল্প উপায়ে অতিরিক্ত খরচ করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তুচ্ছ ঘটনায় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের বালাখানা এলাকায় বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় শ্রমিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আলী মাদবর ও বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু ব্যাপারী ঘটনাস্থালে গেলে তাঁদের ওপরও হামলা চালানো হয়। আত্মরক্ষার জন্য এ সময় তাঁরা পালং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় কক্ষে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা ইউনিয়ন কার্যালয় লক্ষ্য করে একাধিক বোমা হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশের সহায়তায় বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা–কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসেন। শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দুপুর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

শরীয়তপুর জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী মাদবর বলেন, ‘বালাখানায় বাস শ্রমিকদের ওপর চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী বোমা হামলা করেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বৃষ্টির মতো বোম নিক্ষেপ, রামদা, সেনদা, ঢাল, সড়কি নিয়ে হামলা চালায়। অন্য যানবাহন শ্রমিকদের সঙ্গে একটি মামলার নিয়ে অতর্কিতভাবে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। সাধারণ শ্রমিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকদের আন্দোলন চলবে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কাওসার আহমেদ অফিস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারেন বাস চলাচল বন্ধ। কোনো উপায় না পেয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত খরচে বাড়িতে যেতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বাস বন্ধ করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরেছি।’

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘হামলা ঘটনা শুনে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউই হতাহত হননি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস চলাচলের জন্য তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত