নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর অঞ্চলের মানুষকে পদ্মা সেতুর সুফল দিতে নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে সড়ক অবকাঠামো।
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে যশোর হয়ে নড়াইল-ভাঙ্গা-কালনাঘাট পর্যন্ত গড়ে তোলা হবে নতুন ১৩০ কিলোমিটার মহাসড়ক। যেটি হবে ছয় লেনের সড়ক। এ জন্য নেওয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প; যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা।
এমন একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে যশোরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে সে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগে আপাতত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর-নড়াইল মহাসড়ক প্রশস্ত করা হবে।
কাল শনিবার উদ্বোধন হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু। এ উপলক্ষে চলছে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি। পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত সহজ হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাড়বে শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ। গতি পাবে নগরায়ণেও। এর সুবিধাভোগী হবেন যশোর অঞ্চলের মানুষও। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও স্বাচ্ছন্দ্য আনতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে যশোর জেলার বাসিন্দাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে অন্তত ২০ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করে এমন ৩০০ ট্রাক আমদানি করা পণ্য নিয়ে প্রতিদিন এ বন্দর ছেড়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যায়।
পদ্মা সেতু চালুর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো যশোর-নড়াইল মহাসড়ক ব্যবহার করবে। তবে সড়কটির এ ধারণ ক্ষমতা নেই। সে জন্যে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে নড়াইল-ভাঙ্গা ও কালনাঘাট পর্যন্ত নতুন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বেনাপোল হয়ে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে বেশি ভারী যান চলাচল বাড়বে। তবে সড়কটির সে ধারণ ক্ষমতা নেই। সে জন্যে আমরা ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এতে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে নড়াইল, ভাঙ্গা-কালনাঘাট পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার ৬ লেন সড়ক নির্মাণের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে যেসব কালভার্ট-সেতু রয়েছে সেগুলো ভেঙে বিআইডব্লিউটিএর নকশায় নির্মাণ করা হবে।’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকার ভারতের ক্রেডিট ফান্ডের টাকায় সড়কটি নির্মাণ করতে ইচ্ছুক। যদি ভারত সরকার অর্থায়ন না করে, তাহলে বিদেশি অন্য আরও সংস্থা রয়েছে, যারা অর্থায়ন করতে আগ্রহী। সড়কটি নির্মাণ শেষ হতে কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগতে পারে। তখন যশোর জেলার মানুষ পূর্ণাঙ্গ সুবিধা ভোগ করবেন।’
সওজের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আপাতত ৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি অর্থ দিয়ে যশোর-নড়াইল সড়ক প্রশস্ত করা হবে। বর্তমানে সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত রয়েছে। সেটি ২৪ ফুট চওড়া করা হবে। চলতি বর্ষা মৌসুম শেষে সড়কটির কাজ শুরু করা হবে।’
এদিকে যশোরের যাত্রীবাহী পরিবহন নতুন পথে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে কি না, সে বিষয়ে জেলার বাস মালিকেরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানা গেছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, যশোর থেকে যেসব পরিবহন ছেড়ে যায়, সেসব গাড়িগুলোতে মাগুরা জেলার যাত্রীরাও ওঠেন। আবার যশোর-নড়াইল সড়কটি ২৪ ঘণ্টা পরিবহন চলাচলের মতো উপযোগী নয়।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘জেলাটির মানুষ যেন পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। ইতিমধ্যে সড়ক অবকাঠামো উন্নত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্বস্তিতে যাতায়াতের সুবিধা মিলবে এ অঞ্চলের আপামার সাধারণ মানুষের।’
যশোর অঞ্চলের মানুষকে পদ্মা সেতুর সুফল দিতে নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে সড়ক অবকাঠামো।
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে যশোর হয়ে নড়াইল-ভাঙ্গা-কালনাঘাট পর্যন্ত গড়ে তোলা হবে নতুন ১৩০ কিলোমিটার মহাসড়ক। যেটি হবে ছয় লেনের সড়ক। এ জন্য নেওয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প; যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা।
এমন একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে যশোরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে সে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগে আপাতত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর-নড়াইল মহাসড়ক প্রশস্ত করা হবে।
কাল শনিবার উদ্বোধন হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু। এ উপলক্ষে চলছে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি। পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত সহজ হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাড়বে শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ। গতি পাবে নগরায়ণেও। এর সুবিধাভোগী হবেন যশোর অঞ্চলের মানুষও। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও স্বাচ্ছন্দ্য আনতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে যশোর জেলার বাসিন্দাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে অন্তত ২০ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করে এমন ৩০০ ট্রাক আমদানি করা পণ্য নিয়ে প্রতিদিন এ বন্দর ছেড়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যায়।
পদ্মা সেতু চালুর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো যশোর-নড়াইল মহাসড়ক ব্যবহার করবে। তবে সড়কটির এ ধারণ ক্ষমতা নেই। সে জন্যে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে নড়াইল-ভাঙ্গা ও কালনাঘাট পর্যন্ত নতুন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বেনাপোল হয়ে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে বেশি ভারী যান চলাচল বাড়বে। তবে সড়কটির সে ধারণ ক্ষমতা নেই। সে জন্যে আমরা ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এতে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে নড়াইল, ভাঙ্গা-কালনাঘাট পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার ৬ লেন সড়ক নির্মাণের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে যেসব কালভার্ট-সেতু রয়েছে সেগুলো ভেঙে বিআইডব্লিউটিএর নকশায় নির্মাণ করা হবে।’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকার ভারতের ক্রেডিট ফান্ডের টাকায় সড়কটি নির্মাণ করতে ইচ্ছুক। যদি ভারত সরকার অর্থায়ন না করে, তাহলে বিদেশি অন্য আরও সংস্থা রয়েছে, যারা অর্থায়ন করতে আগ্রহী। সড়কটি নির্মাণ শেষ হতে কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগতে পারে। তখন যশোর জেলার মানুষ পূর্ণাঙ্গ সুবিধা ভোগ করবেন।’
সওজের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আপাতত ৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি অর্থ দিয়ে যশোর-নড়াইল সড়ক প্রশস্ত করা হবে। বর্তমানে সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত রয়েছে। সেটি ২৪ ফুট চওড়া করা হবে। চলতি বর্ষা মৌসুম শেষে সড়কটির কাজ শুরু করা হবে।’
এদিকে যশোরের যাত্রীবাহী পরিবহন নতুন পথে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে কি না, সে বিষয়ে জেলার বাস মালিকেরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানা গেছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, যশোর থেকে যেসব পরিবহন ছেড়ে যায়, সেসব গাড়িগুলোতে মাগুরা জেলার যাত্রীরাও ওঠেন। আবার যশোর-নড়াইল সড়কটি ২৪ ঘণ্টা পরিবহন চলাচলের মতো উপযোগী নয়।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘জেলাটির মানুষ যেন পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। ইতিমধ্যে সড়ক অবকাঠামো উন্নত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্বস্তিতে যাতায়াতের সুবিধা মিলবে এ অঞ্চলের আপামার সাধারণ মানুষের।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে