নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে—গত ৮ ডিসেম্বর এ খবর পাওয়ার পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব পড়তে শুরু করে বাজারে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম। একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হতে শুরু করে পেঁয়াজ, একপর্যায়ে দাম গিয়ে ঠেকে কেজিতে ২৫০ টাকায়। এই সুযোগে শুরু হয়ে যায় সুযোগ-সন্ধানী মজুতদারদের খেলা। রাতারাতি বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় পেঁয়াজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঢাকার শ্যামপুর, এমনকি ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো হয়ে পড়েছে পেঁয়াজশূন্য।
পেঁয়াজ উৎপাদনকারী, বেপারি, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত রয়েছে তা দিয়ে অন্তত এক মাস চালানো সম্ভব। কিন্তু বেশি মুনাফার লোভে মজুতদারেরা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। দাম আরও বাড়তে পারে সে আশায় কৃষকেরাও এখন পেঁয়াজ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ফলে বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।
ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো থেকে পেঁয়াজ গায়েব হয়ে গেছে। একই অবস্থা চট্টগ্রামের অন্য দুই পাইকারি বাজার পাহাড়তলী ও চাকতাইয়েও। গতকাল খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকটা আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দাম ছিল কেজিতে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের কাঁচা পণ্যের কমিশন এজেন্ট সৌমিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, খাতুনগঞ্জে ৭০ টির মতো আড়ত রয়েছে। এসব আড়ত বর্তমানে খালি। মাত্র তিন-চারটি আড়তে পেঁয়াজ রয়েছে। তাও ৫০-৬০ বস্তা করে। এখানে পাইকারিতে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। বিকল্প বাজার থেকে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানি ও দেশীয় পেঁয়াজ আসার আগ পর্যন্ত বাজার চড়া থাকবে। দেশীয় পেঁয়াজ আসতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।
একই বাজারের ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী মেসার্স গ্রামীণ বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বলয় কুমার পোদ্দার বলেন, খাতুনগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ বেচাবিক্রি হয়। কিন্তু পেঁয়াজের মজুত না থাকায় বিক্রি ৩-৪ ট্রাকে নেমে এসেছে।
খাতুনগঞ্জের বাজার থেকে পেঁয়াজ উধাও হওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সোনা মসজিদ বন্দরে আটকে থাকা ২৬ ট্রাক পেঁয়াজ ছাড়াতে তিনি সহায়তা করেছেন। ৯০ টাকার পেঁয়াজ সেখান থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। খাতুনগঞ্জ বাজারের পেঁয়াজ গেল কৈ?
উত্তরাঞ্চলে পেঁয়াজের অন্যতম বড় বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ। মূলত সোনা মসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ শিবগঞ্জের আড়তগুলোয় বিক্রি হয়। গতকাল শিবগঞ্জের এসব আড়ত থেকেও পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে। যদিও স্থলবন্দর গিয়ে গত শনিবারও ভারত থেকে ২৭ ট্রাকে ৭৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে এই বাজারে।
শিবগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী ও ফুরকনি এন্টারপ্রাইজের মালিক জহুরুল ইসলাম গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজ নেই। কোন কোন আড়তে অল্প পেঁয়াজ আছে, যা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে।
দেশের পেঁয়াজের চাহিদার এক চতুর্থাংশ উৎপাদন হয় পাবনায়। ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে একদিনের ব্যবধানে সেখানেও অস্বাভাবিক বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রশাসনের অভিযানেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার।
কৃষক, পাইকার আর খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুদিন ধরেই অস্থির পাবনার পেঁয়াজের বাজার। পাইকারিতে প্রতিমণ পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার টাকা, আর নতুন পেঁয়াজ বিকোচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। অন্যদিকে খুচরা বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর মুড়ি কাটা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
পাবনা জেলা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। ভারত কেন্দ্রিক আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে সরকারকে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা করতে হবে।
ভোক্তা অধিকারে অভিযান:
বাজারে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলায় গোয়েন্দারা মাঠে কাজ শুরু করেছে। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গোয়েন্দারা মাঠে কাজ শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন সোর্স থেকে অবৈধ মজুতের তথ্য সংগ্রহ করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও মাঠ থেকে অবৈধ মজুতের তথ্য সংগ্রহ করছে। সেই সঙ্গে বাজারে অভিযানও চালাচ্ছে অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ দল। গতকাল সারা দিনে সারা দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ৪৩টি দল অভিযানে ছিল। সেসব অভিযানে দাম বেশি রাখা ও অবৈধ মজুতের দায়ে ৮০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরী, নারায়ণগঞ্জের দ্বিগুবাবুর বাজার, চাঁদপুরে পুরাণ বাজার, বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজার, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। গতকাল আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভবনে ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল, আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেল! এটা কি ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ? লাভ ছাড়া তো ব্যবসা করবেন না। কিন্তু যে পণ্যের মূল্য ১২০ টাকা, এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কীভাবে হয়? ভারত রফতানি বন্ধ মাত্রই ঘোষণা দিয়েছে, সে কারণে পরদিনই দাম বাড়তে পাড়ে না।’
এলসির সব পেঁয়াজ দ্রুত আনার উদ্যোগ:
ভারত পেঁয়াজের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের আমদানিকারকেরা দেশটি থেকে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানির এলসি খুলেছে। এলসিগুলোর বিপরীতে ওই পরিমাণ পণ্য দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে চিঠি দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ও দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে চিঠিটি পাঠিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী এ কথা জানান।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে—গত ৮ ডিসেম্বর এ খবর পাওয়ার পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব পড়তে শুরু করে বাজারে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম। একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হতে শুরু করে পেঁয়াজ, একপর্যায়ে দাম গিয়ে ঠেকে কেজিতে ২৫০ টাকায়। এই সুযোগে শুরু হয়ে যায় সুযোগ-সন্ধানী মজুতদারদের খেলা। রাতারাতি বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় পেঁয়াজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঢাকার শ্যামপুর, এমনকি ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো হয়ে পড়েছে পেঁয়াজশূন্য।
পেঁয়াজ উৎপাদনকারী, বেপারি, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত রয়েছে তা দিয়ে অন্তত এক মাস চালানো সম্ভব। কিন্তু বেশি মুনাফার লোভে মজুতদারেরা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। দাম আরও বাড়তে পারে সে আশায় কৃষকেরাও এখন পেঁয়াজ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ফলে বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।
ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো থেকে পেঁয়াজ গায়েব হয়ে গেছে। একই অবস্থা চট্টগ্রামের অন্য দুই পাইকারি বাজার পাহাড়তলী ও চাকতাইয়েও। গতকাল খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকটা আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দাম ছিল কেজিতে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের কাঁচা পণ্যের কমিশন এজেন্ট সৌমিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, খাতুনগঞ্জে ৭০ টির মতো আড়ত রয়েছে। এসব আড়ত বর্তমানে খালি। মাত্র তিন-চারটি আড়তে পেঁয়াজ রয়েছে। তাও ৫০-৬০ বস্তা করে। এখানে পাইকারিতে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। বিকল্প বাজার থেকে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানি ও দেশীয় পেঁয়াজ আসার আগ পর্যন্ত বাজার চড়া থাকবে। দেশীয় পেঁয়াজ আসতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।
একই বাজারের ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী মেসার্স গ্রামীণ বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বলয় কুমার পোদ্দার বলেন, খাতুনগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ বেচাবিক্রি হয়। কিন্তু পেঁয়াজের মজুত না থাকায় বিক্রি ৩-৪ ট্রাকে নেমে এসেছে।
খাতুনগঞ্জের বাজার থেকে পেঁয়াজ উধাও হওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সোনা মসজিদ বন্দরে আটকে থাকা ২৬ ট্রাক পেঁয়াজ ছাড়াতে তিনি সহায়তা করেছেন। ৯০ টাকার পেঁয়াজ সেখান থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। খাতুনগঞ্জ বাজারের পেঁয়াজ গেল কৈ?
উত্তরাঞ্চলে পেঁয়াজের অন্যতম বড় বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ। মূলত সোনা মসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ শিবগঞ্জের আড়তগুলোয় বিক্রি হয়। গতকাল শিবগঞ্জের এসব আড়ত থেকেও পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে। যদিও স্থলবন্দর গিয়ে গত শনিবারও ভারত থেকে ২৭ ট্রাকে ৭৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে এই বাজারে।
শিবগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী ও ফুরকনি এন্টারপ্রাইজের মালিক জহুরুল ইসলাম গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজ নেই। কোন কোন আড়তে অল্প পেঁয়াজ আছে, যা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে।
দেশের পেঁয়াজের চাহিদার এক চতুর্থাংশ উৎপাদন হয় পাবনায়। ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে একদিনের ব্যবধানে সেখানেও অস্বাভাবিক বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রশাসনের অভিযানেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার।
কৃষক, পাইকার আর খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুদিন ধরেই অস্থির পাবনার পেঁয়াজের বাজার। পাইকারিতে প্রতিমণ পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার টাকা, আর নতুন পেঁয়াজ বিকোচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। অন্যদিকে খুচরা বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর মুড়ি কাটা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
পাবনা জেলা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। ভারত কেন্দ্রিক আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে সরকারকে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা করতে হবে।
ভোক্তা অধিকারে অভিযান:
বাজারে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলায় গোয়েন্দারা মাঠে কাজ শুরু করেছে। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গোয়েন্দারা মাঠে কাজ শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন সোর্স থেকে অবৈধ মজুতের তথ্য সংগ্রহ করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও মাঠ থেকে অবৈধ মজুতের তথ্য সংগ্রহ করছে। সেই সঙ্গে বাজারে অভিযানও চালাচ্ছে অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ দল। গতকাল সারা দিনে সারা দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ৪৩টি দল অভিযানে ছিল। সেসব অভিযানে দাম বেশি রাখা ও অবৈধ মজুতের দায়ে ৮০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরী, নারায়ণগঞ্জের দ্বিগুবাবুর বাজার, চাঁদপুরে পুরাণ বাজার, বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজার, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। গতকাল আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভবনে ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল, আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেল! এটা কি ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ? লাভ ছাড়া তো ব্যবসা করবেন না। কিন্তু যে পণ্যের মূল্য ১২০ টাকা, এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কীভাবে হয়? ভারত রফতানি বন্ধ মাত্রই ঘোষণা দিয়েছে, সে কারণে পরদিনই দাম বাড়তে পাড়ে না।’
এলসির সব পেঁয়াজ দ্রুত আনার উদ্যোগ:
ভারত পেঁয়াজের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের আমদানিকারকেরা দেশটি থেকে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানির এলসি খুলেছে। এলসিগুলোর বিপরীতে ওই পরিমাণ পণ্য দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে চিঠি দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ও দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে চিঠিটি পাঠিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী এ কথা জানান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে