কমতির দিকে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ৪৯

চট্টগ্রামে ছয় মাসে কয়েক দফায় বাড়ার পর চালের দাম কমতে শুরু করেছে। ১০ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এক সপ্তাহ আগেও যেখানে জিরাশাইল চালের ৫০ কেজির প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, সেখানে এখন প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায়।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি জিরাশাইল চালের দাম কমেছে ১০০ টাকা।

নগরীর পাহাড়তলী বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চালের দাম আরও কিছুটা কমবে। বাজারে এখন সরবরাহের তুলনায় চালের চাহিদা কম। তাই দামও কমেছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু চাহিদা কমে যাওয়ায় চালের দাম কমছে না, চালের দাম কমে যাওয়ার পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে।

একাধিক চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত তিন কারণে এখন চালের দাম কমছে। প্রথমত, চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে চালের মজুত বাড়ছে। অন্যদিকে সরকার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সারা দেশে চাল বিক্রি করায় বাজারে এখন চালের চাহিদা একটু কম। এ ছাড়া আমন ধানের মৌসুম আসছে, তাই চালকল এবং বড় ব্যবসায়ীরা মজুত চাল বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। এসব কারণে চালের দাম কিছুটা কমতির দিকে।

এর আগে গত জুন মাসের দিকে বোরো মৌসুমের শুরুতে বাজারে বাড়তে শুরু করে চালের দাম। এরপর গত ছয় মাসে অন্তত তিন দফায় চালের দাম বেড়েছে। তিন দফায় ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ওই দাম বৃদ্ধির বিপরীতে এখন বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে।

গত বুধবার পাহাড়তলী বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা স্বর্ণা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এই চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এ ছাড়া বস্তায় ৫০ টাকা কমে পাইজাম সিদ্ধ প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। ১০০ টাকা কমে মিনিকেট সিদ্ধ প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। ১৫০ টাকা কমে মোটা সিদ্ধ চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। ১৫০ টাকা কমে নাজিরশাইল প্রতি বস্তা ৩ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা নুরজাহান সিদ্ধ চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৭০ টাকায়। অন্যদিকে ১০০ টাকা কমে ইরি আতপ প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকা। ১০০ টাকা কমে বেতী আতপ ২ হাজার ৩০০ টাকা, মিনিকেট আতপ ২ হাজার ৫০০, পাইজাম আতপ ২ হাজার ৫০০ এবং কাটারি আতপ ৩ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সব ধরনের চালের দাম কিছুটা কমলেও চিনিগুঁড়া চালের দাম এখনো আগের মতো আছে।

পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।

পাহাড়তলী বাজারের মেসার্স তোফায়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক তোফায়েল আহমেদ খোকা বলেন, ‘এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে বাজার কিছুটা নিম্নমুখী।

আরও কমবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত