মীর রাকিব হাসান, ঢাকা
হলিউডের সিনেমা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মুক্তি পায় না, আবার বলিউডের সিনেমাও কেবল ভারতেই আটকে নেই। হলিউডের অনেক সিনেমা আগে মুক্তি দেওয়া হয় চীনে। আবার বলিউডের কোনো কোনো সিনেমা মধ্যপ্রাচ্যে আগে মুক্তি দেয়। এর কারণ, চীনে হলিউড সিনেমার বিশাল দর্শক আছে। দুবাইয়ে ভারতীয় সিনেমা মুক্তি দেওয়ার কারণ, অসংখ্য ভারতীয় দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করেন। বলিউড কিংবা হলিউডের মতো বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিতে পারে বাংলাদেশের সিনেমাও। তার জন্য নিতে হবে যথাযথ উদ্যোগ।
এক সময় ব্যক্তি উদ্যোগে মিলনায়তন ভাড়া করে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি সিনেমার প্রদর্শনী হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে চিত্র পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশি সিনেমা পরিবেশকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। দেশে ক্রমাগত যখন হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রযোজকদের ভরসার জায়গা হতে যাচ্ছে বিশ্ববাজারে সিনেমা মুক্তি। বিদেশে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিবেশনার কাজ করছে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো, বঙ্গজ ফিল্ম, দেশি ইভেন্টস, রিভেরি ফিল্মস, বায়োস্কোপ ফিল্মস, রাদুগাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববাজারে সম্ভাবনা
কানাডায় এখন প্রচুর বাংলাদেশির বসবাস, যার সিংহভাগ থাকে টরন্টোতে। নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। সারা বিশ্বে যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন, তাঁদের সিংহভাগই থাকেন মধ্যপ্রাচ্যে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ পর্যন্ত সৌদি আরব গিয়েছেন প্রায় ৪১ লাখ বাংলাদেশি। এ ছাড়া কাতার, ওমান, দুবাই, কুয়েত, আরব আমিরাতে প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছেন। কোরিয়া, মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার অনেক দেশ, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। এই বিশাল বাংলাদেশি প্রবাসীর সঙ্গে ভারতীয় বাঙালিদের নিয়ে তৈরি হতে পারে বাংলাদেশি সিনেমার বড় এক বাজার। ইউটিউবে বাংলাদেশের নাটক সিনেমার ভিউ প্রবাসীদের কাছ থেকেই বেশি আসে।
বিএমইটির পরিসংখান বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাই সিনেমাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সিনেমার জন্য উন্মুক্ত হতে পারে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকার বিশ্ববাজার।
কানাডায় স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো
বাংলাদেশের সিনেমা বিদেশে রপ্তানিতে পরিচিতি পেয়েছে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মো. অলিউল্লাহ সজীব থাকেন কানাডায়। বর্তমানে কানাডা, দুবাই, ওমান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে বাংলা সিনেমার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করছে তারা। জানা যায়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিদেশের হলে বাংলা সিনেমা মুক্তি দেওয়া শুরু করে স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো। সজীব বলেন, ‘কানাডায় আগে এক দুইটা হল কিংবা অডিটোরিয়াম ভাড়া করে সিনেমা দেখানো হতো। আমরাই প্রথম ২০১৬ সালে টরন্টোতে সবচেয়ে বড় সিনেমা চেইন “সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট”-এ অনন্য মামুনের “অস্তিত্ব” সিনেমাটি মুক্তি দিই। আমরা ২৪টি শো পাই। মাত্র ১টা হল থেকে ১০ দিনে ৯ হাজার ডলারের মতো আয় হয়, যা প্রথম সিনেমা হিসেবে সন্তোষজনক ছিল।’ এরপর মুসাফির, শিকারি, আয়নাবাজি কানাডায় মুক্তি পায়। আয়নাবাজি ব্যাপক ব্যবসা করে। কানাডায় সিনেমা মুক্তি দিতে এখন আর আগের মতো বেগ পেতে হয় না। সজীব জানান, আয়নাবাজি চলেছে টানা চার সপ্তাহ। সর্বশেষ ‘পাপ পুণ্য’ প্রায় ১০০টি হলে মুক্তি পেয়েছে। ‘হাওয়া’ সিনেমাটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২০টি হলে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এখন বাংলা সিনেমাকে ভারতীয় সিনেমার মতোই গুরুত্ব দেয় কানাডার সিনেপ্লেক্সগুলো।
অস্ট্রেলিয়ায় বঙ্গজ ফিল্মস
২০১৭ সাল থেকে দেশের বাইরের পরিবেশনার কাজ করছে বঙ্গজ ফিল্ম। অস্ট্রেলিয়ায় ‘রিকশা গার্ল’, ‘পাপ পুণ্য’, ‘শান’ সিনেমাগুলো মুক্তির ব্যবস্থা করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা তানিম মান্নান বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে একটা বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছি। এখন বড় বড় চেইন থিয়েটার হলে সিনেমা মুক্তি দিতে পারছি আমরা। সিনেমার তথ্যও তাদের ওয়েবসাইটে স্থান পাচ্ছে। যদিও দেশের বাইরে বাংলা সিনেমার ব্যবসা এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। ধীরে ধীরে দর্শকের অংশগ্রহণ বাড়ছে।’
মুক্তির প্রক্রিয়া
বিদেশে সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বপ্ন স্কয়ারক্রোর সজীব বলেন, ‘মিনিমাম টু কে রেজল্যুশনের ক্যামেরায় সিনেমাটি শুট করা হতে হবে। সাবটাইটেল থাকতে হবে। এসব গোছানো হলেই আমাদের যেসব মাল্টিপ্লেক্স রয়েছে, সেখানে সিনেমাটি পাঠাই আমরা। হলগুলোতে সিনেমা পাঠানো, সেন্সর করানো, এর প্রচার-প্রচারণার সব খরচ আমরাই বহন করি। প্রযোজককে শুধু ভার্চুয়াল প্রিন্ট ফি (ভিপিএফ) দিতে হয়।’
প্রযোজকের মুনাফা সম্পর্কে সজীব জানিয়েছেন, রেনট্র্যাক (কমস্কোর) নামের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কে সারা পৃথিবীর বক্স অফিস ডেটাবেইস আছে, যেখানে সব মাল্টিপ্লেক্স রিপোর্ট করে। এখান থেকেই জানা যায় কোন সিনেমা কত টাকা আয় করেছে।
গ্রস বক্স অফিস আয় থেকে ১৩-১৫ শতাংশ (কানাডা ও আমেরিকায় ১৩ শতাংশ। তবে কিছু কিছু দেশে ১৪ এবং ১৫ শতাংশ) ট্যাক্স কেটে রাখার পর যে আয়টা থাকে, সেটাই নিট আয়। তার থেকে কোনো কোনো দেশের মাল্টিপ্লেক্স ৫০ শতাংশ নেয়, কোনো দেশে নেয় ৫৫ শতাংশ। মাল্টিপ্লেক্স তার ভাগ নেওয়ার পর যেটা থাকে, সেটার ফিফটি ফিফটি পরিবেশক ও প্রযোজকের মধ্যে ভাগ হয়। এটা খুবই সহজ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। সিনেমা ভালো চললে ২-৪ শতাংশ বোনাসও দেয় কেউ। সজীব জানান, ‘আয়নাবাজি’ চালিয়ে কানাডার ‘সিনেপ্লেক্স’ থেকে ২ শতাংশ বোনাস পেয়েছিলেন তাঁরা।বঙ্গজ ফিল্মস জানিয়েছে, টিকিট থেকে যা আয় হচ্ছে তার অর্ধেক বা কখনো কখনো অর্ধেকের বেশি প্রযোজককে দিচ্ছেন তাঁরা।
যা প্রয়োজন
আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো করার সবচেয়ে বড় উপায় হলো প্রচার-প্রচারণা। দরকার দূতাবাসগুলোর আন্তরিকতা। পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য, ভালো গল্পের ভালো সিনেমা হলে বাজার বাড়বে সহজে। সে জন্য চাই এমন গল্প, যা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। যে সিনেমা দেখে প্রবাসীরা অনুভব করে, এটি বাংলাদেশের সিনেমা। বাজার বড় হলে সিনেমার বাজেটও বড় হবে নিশ্চিত।
হলিউডের সিনেমা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মুক্তি পায় না, আবার বলিউডের সিনেমাও কেবল ভারতেই আটকে নেই। হলিউডের অনেক সিনেমা আগে মুক্তি দেওয়া হয় চীনে। আবার বলিউডের কোনো কোনো সিনেমা মধ্যপ্রাচ্যে আগে মুক্তি দেয়। এর কারণ, চীনে হলিউড সিনেমার বিশাল দর্শক আছে। দুবাইয়ে ভারতীয় সিনেমা মুক্তি দেওয়ার কারণ, অসংখ্য ভারতীয় দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করেন। বলিউড কিংবা হলিউডের মতো বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিতে পারে বাংলাদেশের সিনেমাও। তার জন্য নিতে হবে যথাযথ উদ্যোগ।
এক সময় ব্যক্তি উদ্যোগে মিলনায়তন ভাড়া করে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি সিনেমার প্রদর্শনী হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে চিত্র পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশি সিনেমা পরিবেশকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। দেশে ক্রমাগত যখন হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রযোজকদের ভরসার জায়গা হতে যাচ্ছে বিশ্ববাজারে সিনেমা মুক্তি। বিদেশে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিবেশনার কাজ করছে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো, বঙ্গজ ফিল্ম, দেশি ইভেন্টস, রিভেরি ফিল্মস, বায়োস্কোপ ফিল্মস, রাদুগাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববাজারে সম্ভাবনা
কানাডায় এখন প্রচুর বাংলাদেশির বসবাস, যার সিংহভাগ থাকে টরন্টোতে। নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। সারা বিশ্বে যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন, তাঁদের সিংহভাগই থাকেন মধ্যপ্রাচ্যে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ পর্যন্ত সৌদি আরব গিয়েছেন প্রায় ৪১ লাখ বাংলাদেশি। এ ছাড়া কাতার, ওমান, দুবাই, কুয়েত, আরব আমিরাতে প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছেন। কোরিয়া, মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার অনেক দেশ, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। এই বিশাল বাংলাদেশি প্রবাসীর সঙ্গে ভারতীয় বাঙালিদের নিয়ে তৈরি হতে পারে বাংলাদেশি সিনেমার বড় এক বাজার। ইউটিউবে বাংলাদেশের নাটক সিনেমার ভিউ প্রবাসীদের কাছ থেকেই বেশি আসে।
বিএমইটির পরিসংখান বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাই সিনেমাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সিনেমার জন্য উন্মুক্ত হতে পারে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকার বিশ্ববাজার।
কানাডায় স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো
বাংলাদেশের সিনেমা বিদেশে রপ্তানিতে পরিচিতি পেয়েছে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মো. অলিউল্লাহ সজীব থাকেন কানাডায়। বর্তমানে কানাডা, দুবাই, ওমান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে বাংলা সিনেমার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করছে তারা। জানা যায়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিদেশের হলে বাংলা সিনেমা মুক্তি দেওয়া শুরু করে স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো। সজীব বলেন, ‘কানাডায় আগে এক দুইটা হল কিংবা অডিটোরিয়াম ভাড়া করে সিনেমা দেখানো হতো। আমরাই প্রথম ২০১৬ সালে টরন্টোতে সবচেয়ে বড় সিনেমা চেইন “সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট”-এ অনন্য মামুনের “অস্তিত্ব” সিনেমাটি মুক্তি দিই। আমরা ২৪টি শো পাই। মাত্র ১টা হল থেকে ১০ দিনে ৯ হাজার ডলারের মতো আয় হয়, যা প্রথম সিনেমা হিসেবে সন্তোষজনক ছিল।’ এরপর মুসাফির, শিকারি, আয়নাবাজি কানাডায় মুক্তি পায়। আয়নাবাজি ব্যাপক ব্যবসা করে। কানাডায় সিনেমা মুক্তি দিতে এখন আর আগের মতো বেগ পেতে হয় না। সজীব জানান, আয়নাবাজি চলেছে টানা চার সপ্তাহ। সর্বশেষ ‘পাপ পুণ্য’ প্রায় ১০০টি হলে মুক্তি পেয়েছে। ‘হাওয়া’ সিনেমাটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২০টি হলে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এখন বাংলা সিনেমাকে ভারতীয় সিনেমার মতোই গুরুত্ব দেয় কানাডার সিনেপ্লেক্সগুলো।
অস্ট্রেলিয়ায় বঙ্গজ ফিল্মস
২০১৭ সাল থেকে দেশের বাইরের পরিবেশনার কাজ করছে বঙ্গজ ফিল্ম। অস্ট্রেলিয়ায় ‘রিকশা গার্ল’, ‘পাপ পুণ্য’, ‘শান’ সিনেমাগুলো মুক্তির ব্যবস্থা করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা তানিম মান্নান বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে একটা বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছি। এখন বড় বড় চেইন থিয়েটার হলে সিনেমা মুক্তি দিতে পারছি আমরা। সিনেমার তথ্যও তাদের ওয়েবসাইটে স্থান পাচ্ছে। যদিও দেশের বাইরে বাংলা সিনেমার ব্যবসা এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। ধীরে ধীরে দর্শকের অংশগ্রহণ বাড়ছে।’
মুক্তির প্রক্রিয়া
বিদেশে সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বপ্ন স্কয়ারক্রোর সজীব বলেন, ‘মিনিমাম টু কে রেজল্যুশনের ক্যামেরায় সিনেমাটি শুট করা হতে হবে। সাবটাইটেল থাকতে হবে। এসব গোছানো হলেই আমাদের যেসব মাল্টিপ্লেক্স রয়েছে, সেখানে সিনেমাটি পাঠাই আমরা। হলগুলোতে সিনেমা পাঠানো, সেন্সর করানো, এর প্রচার-প্রচারণার সব খরচ আমরাই বহন করি। প্রযোজককে শুধু ভার্চুয়াল প্রিন্ট ফি (ভিপিএফ) দিতে হয়।’
প্রযোজকের মুনাফা সম্পর্কে সজীব জানিয়েছেন, রেনট্র্যাক (কমস্কোর) নামের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কে সারা পৃথিবীর বক্স অফিস ডেটাবেইস আছে, যেখানে সব মাল্টিপ্লেক্স রিপোর্ট করে। এখান থেকেই জানা যায় কোন সিনেমা কত টাকা আয় করেছে।
গ্রস বক্স অফিস আয় থেকে ১৩-১৫ শতাংশ (কানাডা ও আমেরিকায় ১৩ শতাংশ। তবে কিছু কিছু দেশে ১৪ এবং ১৫ শতাংশ) ট্যাক্স কেটে রাখার পর যে আয়টা থাকে, সেটাই নিট আয়। তার থেকে কোনো কোনো দেশের মাল্টিপ্লেক্স ৫০ শতাংশ নেয়, কোনো দেশে নেয় ৫৫ শতাংশ। মাল্টিপ্লেক্স তার ভাগ নেওয়ার পর যেটা থাকে, সেটার ফিফটি ফিফটি পরিবেশক ও প্রযোজকের মধ্যে ভাগ হয়। এটা খুবই সহজ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। সিনেমা ভালো চললে ২-৪ শতাংশ বোনাসও দেয় কেউ। সজীব জানান, ‘আয়নাবাজি’ চালিয়ে কানাডার ‘সিনেপ্লেক্স’ থেকে ২ শতাংশ বোনাস পেয়েছিলেন তাঁরা।বঙ্গজ ফিল্মস জানিয়েছে, টিকিট থেকে যা আয় হচ্ছে তার অর্ধেক বা কখনো কখনো অর্ধেকের বেশি প্রযোজককে দিচ্ছেন তাঁরা।
যা প্রয়োজন
আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো করার সবচেয়ে বড় উপায় হলো প্রচার-প্রচারণা। দরকার দূতাবাসগুলোর আন্তরিকতা। পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য, ভালো গল্পের ভালো সিনেমা হলে বাজার বাড়বে সহজে। সে জন্য চাই এমন গল্প, যা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। যে সিনেমা দেখে প্রবাসীরা অনুভব করে, এটি বাংলাদেশের সিনেমা। বাজার বড় হলে সিনেমার বাজেটও বড় হবে নিশ্চিত।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে