শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মীরগাং, মহিন্দ্রশীল ও বিলাটি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শুঁটকি তৈরির খটি। আর এসব খটিতে দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অনুমোদনহীন এসব শুঁটকির খটিতে কাঠ পোড়ানোর কারণে কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা খটিতে কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে বারবার অনুরোধ করে আসলেও মালিকেরা তা শুনছেন না। কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনেরও নেই কোনো নজরদারি। ফলে কাঠ পোড়ানো অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশের ক্ষতি করে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এসব মাছ শুকানোর খটি। সেখানে প্রতিনিয়ত কাঠ জ্বালিয়ে কাঁচা মাছ শুকানোর কাজ চলছে। কাঠ জ্বালিয়ে মাছ শুকানোর কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। একই সঙ্গে পথচারীরা অভিযোগ করেছেন কাঠের ধোঁয়ায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা রীতিমতো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মহিন্দ্রশীল এলাকায় রাস্তার পাশে ৪টি, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বিলাটি গ্রামে ৩টিসহ মীরগাং এলাকায় আরও ২টি শুঁটকির খটি গড়ে তোলা হয়েছে।
খটিগুলোতে পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন থেকে শিকার করে নিয়ে আসা মাছ শুকানো হচ্ছে। মূলত খটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় মাচা তৈরি করে দিয়ে তার নিচে কাঠে আগুন ধরিয়ে ওই তাপে মাছ শুকানো হচ্ছে। আর মাছ শুকানোর কাজে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত কাঠের পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুন্দরবনের কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, পাইকগাছার অসীম বিশ্বাস ও ঝাঁপা গ্রামের বাবুল মণ্ডলসহ স্থানীয় কয়েকজন এসব খটি পরিচালনা করছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই পরিচালিত প্রতিটি খটি চলছে। অবৈধভাবে এসব খটিতে প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, খটিগুলোতে প্রতি গোণে প্রায় ৩-৪ হাজার কেজি চিংড়ি মাছ শুকানো হয় কাঁচা কাঠ পুড়িয়ে। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই তাঁদের।
আবুল হাসান নামের এক গ্রামবাসী বলেন, ‘বাড়ির পাশে প্রতিদিন কাঠের ধোঁয়া দিয়ে মাছ শুকানোয় বসবাস করা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। পথচারীরা পর্যন্ত ধোয়ার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে নানা অভিযোগ তোলে।’
আমেনা বেগমের নামের স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, ‘খটিতে হাজার হাজার মণ কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানোর সময়ে সৃষ্ট ধোঁয়ায় বড়দের থেকে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ছে।’
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা লির্ডাসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিন যেভাবে কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকাচ্ছে, এতে করে এলাকায় পরিবেশের খুব সমস্যা দেখা দেবে। এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি এসেছে সেগুলো দিয়ে মাছ শুকানো যায়। তা না করে কাঠ পোড়ানোর কারণে জলবায়ুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’
মাছের খুঁটির মালিক অসীম বিশ্বাসের কাছে কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানোর কোনো অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে মাছ শুকানো হয়। এর বাইরে কোনো কাগজপত্র নেই।
শ্যামনগর উপজেলার সরকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ‘কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। এ ব্যাপারে নেওয়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মীরগাং, মহিন্দ্রশীল ও বিলাটি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শুঁটকি তৈরির খটি। আর এসব খটিতে দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অনুমোদনহীন এসব শুঁটকির খটিতে কাঠ পোড়ানোর কারণে কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা খটিতে কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে বারবার অনুরোধ করে আসলেও মালিকেরা তা শুনছেন না। কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনেরও নেই কোনো নজরদারি। ফলে কাঠ পোড়ানো অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশের ক্ষতি করে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এসব মাছ শুকানোর খটি। সেখানে প্রতিনিয়ত কাঠ জ্বালিয়ে কাঁচা মাছ শুকানোর কাজ চলছে। কাঠ জ্বালিয়ে মাছ শুকানোর কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। একই সঙ্গে পথচারীরা অভিযোগ করেছেন কাঠের ধোঁয়ায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা রীতিমতো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মহিন্দ্রশীল এলাকায় রাস্তার পাশে ৪টি, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বিলাটি গ্রামে ৩টিসহ মীরগাং এলাকায় আরও ২টি শুঁটকির খটি গড়ে তোলা হয়েছে।
খটিগুলোতে পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন থেকে শিকার করে নিয়ে আসা মাছ শুকানো হচ্ছে। মূলত খটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় মাচা তৈরি করে দিয়ে তার নিচে কাঠে আগুন ধরিয়ে ওই তাপে মাছ শুকানো হচ্ছে। আর মাছ শুকানোর কাজে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত কাঠের পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুন্দরবনের কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, পাইকগাছার অসীম বিশ্বাস ও ঝাঁপা গ্রামের বাবুল মণ্ডলসহ স্থানীয় কয়েকজন এসব খটি পরিচালনা করছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই পরিচালিত প্রতিটি খটি চলছে। অবৈধভাবে এসব খটিতে প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, খটিগুলোতে প্রতি গোণে প্রায় ৩-৪ হাজার কেজি চিংড়ি মাছ শুকানো হয় কাঁচা কাঠ পুড়িয়ে। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই তাঁদের।
আবুল হাসান নামের এক গ্রামবাসী বলেন, ‘বাড়ির পাশে প্রতিদিন কাঠের ধোঁয়া দিয়ে মাছ শুকানোয় বসবাস করা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। পথচারীরা পর্যন্ত ধোয়ার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে নানা অভিযোগ তোলে।’
আমেনা বেগমের নামের স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, ‘খটিতে হাজার হাজার মণ কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানোর সময়ে সৃষ্ট ধোঁয়ায় বড়দের থেকে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ছে।’
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা লির্ডাসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিন যেভাবে কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকাচ্ছে, এতে করে এলাকায় পরিবেশের খুব সমস্যা দেখা দেবে। এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি এসেছে সেগুলো দিয়ে মাছ শুকানো যায়। তা না করে কাঠ পোড়ানোর কারণে জলবায়ুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’
মাছের খুঁটির মালিক অসীম বিশ্বাসের কাছে কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানোর কোনো অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে মাছ শুকানো হয়। এর বাইরে কোনো কাগজপত্র নেই।
শ্যামনগর উপজেলার সরকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ‘কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। এ ব্যাপারে নেওয়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে