ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে প্রচণ্ড গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে রিচার্জেবল লাইট, ফ্যানসহ আইপিএসের চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের বাড়তি দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ধনী-গরিব কমবেশি সবাই এক-দুটি চার্জার লাইট এবং ফ্যান কিনছেন। বিভিন্ন আকার ও বৈশিষ্ট্যের এসব ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়। ফিয়াট, ডিফেন্ডার, ওসাকা, নোভা, কেনেডি, সানকা, সিবেক, কোনিওন, ওয়ালটনসহ নানা ব্র্যান্ডের ফ্যান বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আর লাইট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, একবার চার্জ দিলে টানা ৩-৪ ঘণ্টা চলবে এসব পণ্য।
জাতীয় পাওয়ার গ্রিড থেকে সরবরাহ কম থাকায় ২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা। সেখানে ফেনীতে লোডশেডিং হচ্ছে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা। স্থানভেদে তা ৮-১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। দিনে পাঁচ-সাতবার লোডশেডিং ও দীর্ঘ সময়েও বিদ্যুৎ আসে না। উপজেলা সদরের চেয়ে গ্রামগুলোতে বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, চাহিদার তুলনায় গ্রিড থেকে কম পাচ্ছে। তাই গুরুত্ব অনুযায়ী রোটেশন করে লোডশেডিং চলছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ওপর বেশি প্রভাব পড়ছে। অতিরিক্ত গরম ও অন্ধকার থেকে একটু স্বস্তির জন্য মানুষ ঝুঁকছে রিচার্জেবল লাইট, ফ্যানসহ আইপিএসের দিকে। এ সুযোগে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের শিকার হচ্ছেন জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ।
শহরের কলেজ রোডের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, কিছুদিন ধরে ইলেকট্রিক পণ্যের দাম অস্থির। আগে রিচার্জিং সিস্টেমের ইলেকট্রিক ফ্যান কেনা পড়ত সাড়ে ৩ হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে ৪ হাজার ২০০ টাকা পড়ছে। তাই ক্রেতাদের থেকেও বাড়তি দাম নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইলেকট্রিক পণ্য কিনতে আসা সোহেল রানা বলেন, পণ্য সীমিত থাকার অজুহাত দেখিয়ে দাম হাঁকাচ্ছেন দোকানিরা। ফলে নিরুপায় হয়ে সে দামেই কিনছেন ক্রেতারা।
দাগনভূঞা উপজেলার বেলাল হোসেন বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে শিশুদের চিৎকার শোনা যায়। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম বিপাকে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির মোটরসহ বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার পথে।’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় জাতীয় গ্রিড থেকে বরাদ্দের অর্ধেকের চেয়েও কম পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে ১৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেখানে গ্রিড থেকে পাচ্ছেন ৪৫ মেগাওয়াট। ফলে বাণিজ্যিক ও গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়, স্থাপনা ছাড়া অন্য স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।’
ফেনীতে প্রচণ্ড গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে রিচার্জেবল লাইট, ফ্যানসহ আইপিএসের চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের বাড়তি দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ধনী-গরিব কমবেশি সবাই এক-দুটি চার্জার লাইট এবং ফ্যান কিনছেন। বিভিন্ন আকার ও বৈশিষ্ট্যের এসব ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়। ফিয়াট, ডিফেন্ডার, ওসাকা, নোভা, কেনেডি, সানকা, সিবেক, কোনিওন, ওয়ালটনসহ নানা ব্র্যান্ডের ফ্যান বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আর লাইট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, একবার চার্জ দিলে টানা ৩-৪ ঘণ্টা চলবে এসব পণ্য।
জাতীয় পাওয়ার গ্রিড থেকে সরবরাহ কম থাকায় ২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা। সেখানে ফেনীতে লোডশেডিং হচ্ছে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা। স্থানভেদে তা ৮-১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। দিনে পাঁচ-সাতবার লোডশেডিং ও দীর্ঘ সময়েও বিদ্যুৎ আসে না। উপজেলা সদরের চেয়ে গ্রামগুলোতে বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, চাহিদার তুলনায় গ্রিড থেকে কম পাচ্ছে। তাই গুরুত্ব অনুযায়ী রোটেশন করে লোডশেডিং চলছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ওপর বেশি প্রভাব পড়ছে। অতিরিক্ত গরম ও অন্ধকার থেকে একটু স্বস্তির জন্য মানুষ ঝুঁকছে রিচার্জেবল লাইট, ফ্যানসহ আইপিএসের দিকে। এ সুযোগে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের শিকার হচ্ছেন জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ।
শহরের কলেজ রোডের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, কিছুদিন ধরে ইলেকট্রিক পণ্যের দাম অস্থির। আগে রিচার্জিং সিস্টেমের ইলেকট্রিক ফ্যান কেনা পড়ত সাড়ে ৩ হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে ৪ হাজার ২০০ টাকা পড়ছে। তাই ক্রেতাদের থেকেও বাড়তি দাম নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইলেকট্রিক পণ্য কিনতে আসা সোহেল রানা বলেন, পণ্য সীমিত থাকার অজুহাত দেখিয়ে দাম হাঁকাচ্ছেন দোকানিরা। ফলে নিরুপায় হয়ে সে দামেই কিনছেন ক্রেতারা।
দাগনভূঞা উপজেলার বেলাল হোসেন বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে শিশুদের চিৎকার শোনা যায়। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম বিপাকে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির মোটরসহ বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার পথে।’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় জাতীয় গ্রিড থেকে বরাদ্দের অর্ধেকের চেয়েও কম পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে ১৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেখানে গ্রিড থেকে পাচ্ছেন ৪৫ মেগাওয়াট। ফলে বাণিজ্যিক ও গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়, স্থাপনা ছাড়া অন্য স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে