নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিল বকেয়া থাকায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শিগগির বিল পরিশোধ করা না হলে সামনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশে বেড়েছে লোডশেডিং। গতকাল সোমবার সারা দেশে লোডশেডিং করা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত।
সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল। সেখানে গতকাল সরবরাহ নেমে এসেছে ৫০০ মেগাওয়াটে। দেশে বর্তমানে গড়ে ১২-১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমার বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদানি আমাদের জানিয়েছে, কয়লা সরবরাহকারী কয়লা না দেওয়ায় তারা বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।’
আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে গেলেও বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন সমস্যা হবে না দাবি করে ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘আমরা এস আলম ও মাতারবাড়ী থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু বিদ্যুৎ পাচ্ছি। এইগুলো দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।’
পিডিবি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারতের ঝাড়খন্ডে স্থাপিত আদানি গ্রুপের এই কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের বিদ্যুৎ দিয়েছে। প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাব করলে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে ৭ কোটি ডলার বা ৭৭০ কোটি টাকা। ফলে এখনো বকেয়া ৩ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে আদানি ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছে তারা।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যে দেখা যায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ৫০০ মেগাওয়াট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গতকাল সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে।
গতকাল পিজিসিবির প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যায়, গত রোববার সকাল ১০টা ২৯ মিনিটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ রাখার ব্যাখ্যায় বলা হয়, কয়লা-সংকটের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রথম ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমেছে ৭৫০ মেগাওয়াট। পরে ওই দিন সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনও কমিয়ে আনা হয় ৫০০ মেগাওয়াটে।
পিডিবি এক কর্মকর্তা বলেন, বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য আদানি গ্রুপ বারবার চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু ডলার-সংকটের কারণে ঠিকমতো বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বারবার সময় দেওয়ার পরও বিল পরিশোধ না করায় আদানি এখন নিজের টাকায় আর কয়লা কিনছে না। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে একটি ইউনিটের উৎপাদন। বকেয়া বিল শিগগির পরিশোধ না করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পুরো সরবরাহ।
বিল বকেয়া থাকায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শিগগির বিল পরিশোধ করা না হলে সামনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশে বেড়েছে লোডশেডিং। গতকাল সোমবার সারা দেশে লোডশেডিং করা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত।
সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল। সেখানে গতকাল সরবরাহ নেমে এসেছে ৫০০ মেগাওয়াটে। দেশে বর্তমানে গড়ে ১২-১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমার বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদানি আমাদের জানিয়েছে, কয়লা সরবরাহকারী কয়লা না দেওয়ায় তারা বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।’
আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে গেলেও বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন সমস্যা হবে না দাবি করে ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘আমরা এস আলম ও মাতারবাড়ী থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু বিদ্যুৎ পাচ্ছি। এইগুলো দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।’
পিডিবি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারতের ঝাড়খন্ডে স্থাপিত আদানি গ্রুপের এই কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের বিদ্যুৎ দিয়েছে। প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাব করলে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে ৭ কোটি ডলার বা ৭৭০ কোটি টাকা। ফলে এখনো বকেয়া ৩ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে আদানি ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছে তারা।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যে দেখা যায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ৫০০ মেগাওয়াট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গতকাল সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে।
গতকাল পিজিসিবির প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যায়, গত রোববার সকাল ১০টা ২৯ মিনিটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ রাখার ব্যাখ্যায় বলা হয়, কয়লা-সংকটের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রথম ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমেছে ৭৫০ মেগাওয়াট। পরে ওই দিন সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনও কমিয়ে আনা হয় ৫০০ মেগাওয়াটে।
পিডিবি এক কর্মকর্তা বলেন, বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য আদানি গ্রুপ বারবার চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু ডলার-সংকটের কারণে ঠিকমতো বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বারবার সময় দেওয়ার পরও বিল পরিশোধ না করায় আদানি এখন নিজের টাকায় আর কয়লা কিনছে না। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে একটি ইউনিটের উৎপাদন। বকেয়া বিল শিগগির পরিশোধ না করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পুরো সরবরাহ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪