সম্পাদকীয়
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় বাংলা ভাষায় আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাসচর্চার প্রবক্তা। তিনি একাধারে একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, সুসাহিত্যিক, নাট্যানুরাগী, সম্পাদক, সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি নওগাঁ জেলার গৌরনাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী জেলার নেতৃস্থানীয় আইনজীবী ছিলেন অক্ষকুমার মৈত্রেয়।
ব্রিটিশ ঐতিহাসিকেরা নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নির্দয়, উদ্ধত, স্বেচ্ছাচারী হিসেবে তুলে ধরে তাঁকে কলঙ্কিত করেছিলেন। তিনি তাঁর ‘সিরাজউদ্দৌলা’ গ্রন্থে তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে ইংরেজ ঐতিহাসিকদের মতকে খণ্ডন করেন।
ইংরেজ শাসনামলে বাঙালিকে ‘অসামরিক জাতি’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীতে তাদের অন্তর্ভুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাঙালির প্রবল সামাজিক আন্দোলনের ফলস্বরূপ গঠিত হয় ‘বাঙালি পল্টন’। যেসব বাঙালি নেতার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার ফলে বাঙালি পল্টন গঠন হয়েছিল, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
বাংলা ভাষায় আধুনিক ইতিহাসচর্চার প্রয়াস শুরু হয় ইংরেজ আমলা ও ইতিহাসবিদদের হাত ধরে। তবে কেবল ইতিহাসকে বিষয় করে কোনো পত্রিকার তখন পর্যন্ত প্রকাশ ঘটেনি। এ ব্যাপারে প্রথম এগিয়ে আসেন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, তাঁর ‘ঐতিহাসিক চিত্র’ ত্রৈমাসিক পত্রিকা নিয়ে। তাঁর অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় ‘সূচনা’ নামে ভূমিকা লিখে দেন। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক চিত্রই ইতিহাসভিত্তিক বাংলার প্রথম পত্রিকা। ১৮৯৯ সালের ৫ জানুয়ারি এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
বিখ্যাত ছড়াকার ও শিল্পী উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন এই পত্রিকার প্রচ্ছদশিল্পী। তিনি এ পত্রিকায় সিরাজউদ্দৌলা, মীর কাসিম, রানী ভবানী, সীতারাম, ফিরিঙ্গি বণিক প্রমুখ ব্যক্তিকে নিয়ে লেখা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করতেন।
তিনি ১৯০৪ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি এবং ১৯১১ সালে বিশিষ্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে আধুনিক বাংলা লেখকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় গণ্য করতেন।
মহান এই ঐতিহাসিক ১৯৩০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় বাংলা ভাষায় আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাসচর্চার প্রবক্তা। তিনি একাধারে একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, সুসাহিত্যিক, নাট্যানুরাগী, সম্পাদক, সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি নওগাঁ জেলার গৌরনাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী জেলার নেতৃস্থানীয় আইনজীবী ছিলেন অক্ষকুমার মৈত্রেয়।
ব্রিটিশ ঐতিহাসিকেরা নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নির্দয়, উদ্ধত, স্বেচ্ছাচারী হিসেবে তুলে ধরে তাঁকে কলঙ্কিত করেছিলেন। তিনি তাঁর ‘সিরাজউদ্দৌলা’ গ্রন্থে তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে ইংরেজ ঐতিহাসিকদের মতকে খণ্ডন করেন।
ইংরেজ শাসনামলে বাঙালিকে ‘অসামরিক জাতি’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীতে তাদের অন্তর্ভুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাঙালির প্রবল সামাজিক আন্দোলনের ফলস্বরূপ গঠিত হয় ‘বাঙালি পল্টন’। যেসব বাঙালি নেতার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার ফলে বাঙালি পল্টন গঠন হয়েছিল, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
বাংলা ভাষায় আধুনিক ইতিহাসচর্চার প্রয়াস শুরু হয় ইংরেজ আমলা ও ইতিহাসবিদদের হাত ধরে। তবে কেবল ইতিহাসকে বিষয় করে কোনো পত্রিকার তখন পর্যন্ত প্রকাশ ঘটেনি। এ ব্যাপারে প্রথম এগিয়ে আসেন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, তাঁর ‘ঐতিহাসিক চিত্র’ ত্রৈমাসিক পত্রিকা নিয়ে। তাঁর অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় ‘সূচনা’ নামে ভূমিকা লিখে দেন। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক চিত্রই ইতিহাসভিত্তিক বাংলার প্রথম পত্রিকা। ১৮৯৯ সালের ৫ জানুয়ারি এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
বিখ্যাত ছড়াকার ও শিল্পী উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন এই পত্রিকার প্রচ্ছদশিল্পী। তিনি এ পত্রিকায় সিরাজউদ্দৌলা, মীর কাসিম, রানী ভবানী, সীতারাম, ফিরিঙ্গি বণিক প্রমুখ ব্যক্তিকে নিয়ে লেখা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করতেন।
তিনি ১৯০৪ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি এবং ১৯১১ সালে বিশিষ্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে আধুনিক বাংলা লেখকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় গণ্য করতেন।
মহান এই ঐতিহাসিক ১৯৩০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪