গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পানির অভাবে আমনখেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পানির জন্য কৃষকেরা হাহাকার করছেন। এ বছর কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ দেওয়াও যাচ্ছে না। কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টি না হলে বা সেচের মাধ্যমে সময়মতো আমনের খেতে পানি দিতে না পারলে ধানের চারা মরে যাবে। ব্যাহত হবে ফসল উৎপাদন।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, আমন মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষককে সেচের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে লোডশেডিংয়ে কারণেও সেচ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। পানির অভাবে বাকি রোপণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির পানির অভাবে অধিকাংশ জমিই সেচের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমনের চারা রোপণের পর খেতে এখন পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। কোথাও জমিতে রোপণ করা ধানের চারা রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় শত শত একর জমি শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। একদিকে লোডশেডিং, অন্যদিকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেচ দিতে বিপত্তিতে পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, জমি চাষ, শ্রমিক খরচ, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। ফলে ধান চাষ করে লাভবান হতে পারবেন না তাঁরা। ভাদ্র মাসের শুরুতেই চৈত্রের মতো খরা। রোপণ করা জমির ধান বাঁচাতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন কৃষক।
এই অবস্থায় কৃষকেরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ডিজেল শ্যালো মেশিন ও বিদ্যুচ্চালিত সেচের ওপর ভরসা করে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের কৃষক শামছুদ্দিন শেখ বলেন, ‘শ্রাবণ গেল, বৃষ্টির দেখা নাই, সেচ দিয়ে চারা রোপণ করেছি। এখন আবার পানির অভাবে খেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে।’
গফরগাঁও ইউনিয়নের উথুরী গ্রামের কৃষক আলিমউদ্দিন বলেন, ‘জীবনভর দেখলাম, শ্রাবণ-ভাদ্র মাস আমন রোপণের সময় জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সেই পানিতেই আমন আবাদ করি। এবার মেঘ নাই, বিদ্যুৎ নেই, জমি আর বীজতলা তৈরি থাকলেও চারা লাগাইতে পারতাছি না।’
সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, ‘জমি চাষ দিয়া বৃষ্টির আশায় বইসা আছি। ডিজেল, বিদ্যুৎ খরচ দিয়া পোষাইতে পারুম না বইলা খেত ফালাইয়া রাখছি।’
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গফরগাঁও জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহিনা আক্তার বলেন, ‘সারা দেশেই বিদ্যুতের সমস্যা চলছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘটতি রয়েছে। আমরা গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি। তারপরও আমন মৌসুমে কৃষকের কথা চিন্তা করে সেচকাজে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমন মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষককে সেচের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তা ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণেও সেচের কাজ বিঘ্নিত হয়েছে। তারপরও রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রার ৮০ ভাগ রোপণ হয়ে গেছে। খরা থাকলেও বাকিটুকু শিগগিরই পূরণ হয়ে যাবে।’
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পানির অভাবে আমনখেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পানির জন্য কৃষকেরা হাহাকার করছেন। এ বছর কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ দেওয়াও যাচ্ছে না। কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টি না হলে বা সেচের মাধ্যমে সময়মতো আমনের খেতে পানি দিতে না পারলে ধানের চারা মরে যাবে। ব্যাহত হবে ফসল উৎপাদন।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, আমন মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষককে সেচের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে লোডশেডিংয়ে কারণেও সেচ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। পানির অভাবে বাকি রোপণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির পানির অভাবে অধিকাংশ জমিই সেচের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমনের চারা রোপণের পর খেতে এখন পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। কোথাও জমিতে রোপণ করা ধানের চারা রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় শত শত একর জমি শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। একদিকে লোডশেডিং, অন্যদিকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেচ দিতে বিপত্তিতে পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, জমি চাষ, শ্রমিক খরচ, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। ফলে ধান চাষ করে লাভবান হতে পারবেন না তাঁরা। ভাদ্র মাসের শুরুতেই চৈত্রের মতো খরা। রোপণ করা জমির ধান বাঁচাতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন কৃষক।
এই অবস্থায় কৃষকেরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ডিজেল শ্যালো মেশিন ও বিদ্যুচ্চালিত সেচের ওপর ভরসা করে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের কৃষক শামছুদ্দিন শেখ বলেন, ‘শ্রাবণ গেল, বৃষ্টির দেখা নাই, সেচ দিয়ে চারা রোপণ করেছি। এখন আবার পানির অভাবে খেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে।’
গফরগাঁও ইউনিয়নের উথুরী গ্রামের কৃষক আলিমউদ্দিন বলেন, ‘জীবনভর দেখলাম, শ্রাবণ-ভাদ্র মাস আমন রোপণের সময় জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সেই পানিতেই আমন আবাদ করি। এবার মেঘ নাই, বিদ্যুৎ নেই, জমি আর বীজতলা তৈরি থাকলেও চারা লাগাইতে পারতাছি না।’
সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, ‘জমি চাষ দিয়া বৃষ্টির আশায় বইসা আছি। ডিজেল, বিদ্যুৎ খরচ দিয়া পোষাইতে পারুম না বইলা খেত ফালাইয়া রাখছি।’
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গফরগাঁও জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহিনা আক্তার বলেন, ‘সারা দেশেই বিদ্যুতের সমস্যা চলছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘটতি রয়েছে। আমরা গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি। তারপরও আমন মৌসুমে কৃষকের কথা চিন্তা করে সেচকাজে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমন মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষককে সেচের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তা ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণেও সেচের কাজ বিঘ্নিত হয়েছে। তারপরও রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রার ৮০ ভাগ রোপণ হয়ে গেছে। খরা থাকলেও বাকিটুকু শিগগিরই পূরণ হয়ে যাবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে