চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেছেন। মানছেন না আচরণবিধি। প্রতিদিনই এলাকায় প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করছেন। নানান আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর শুক্কুর বলেন, এখনো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। প্রার্থীরা অতি উৎসাহী হয়ে আগাম প্রচারে নেমেছেন। সবাইকে নিয়ে ৭ ডিসেম্বর বৈঠক করা হবে। সেদিন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তারপর থেকে ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রচার করতে পারবেন প্রার্থীরা। যদি কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, কর্ণফুলীর পাঁচ ইউপির মধ্যে বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় দিদারুল আলম একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউপিতে শুধু সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

শিকলবাহা, জুলধা ও চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ছুটছেন। প্রায় প্রতিদিনই এলাকার সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করছেন।

এর মধ্যে উপজেলার শিকলবাহা ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল করিম ফেরকান, চরলক্ষ্যার আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলাইমান তালুকদার, জুলধার আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল হকসহ প্রার্থীরা নানান আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের।

ভোটাররা বলছেন, পুরোনোরাই সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে এমন ব্যক্তিকে চান, যাঁর মধ্যে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়ম নেই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে মাঠপর্যায়েও কিছুটা সমস্যা হয়। সাধারণ মানুষের সমর্থন বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কম নেই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করব। দলের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত।’

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর শুক্কুর আরও বলেন, কর্ণফুলীর তিন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ২৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।