খান রফিক, বরিশাল
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আতঙ্কে ছিলেন মো. আনোয়ার হোসেন (৮৮)। অংশ নিয়েছেন বহু সম্মুখ সমরে। কিন্তু নানা জটিলতায় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা পাননি আজও। আর্থিক অনটনে শেষ বয়সে এসে দুর্দশায় কাটছে তাঁর দিন।
বরিশাল নগরীর লালদিঘির পারে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন আনোয়ার হোসেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন ইপিআরের সদস্য। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার পর ঢাকা থেকে হেঁটে রওনা দেন বরিশালে। টানা ৭ দিন হেঁটে তিনি ফেরেন আমতলীর বাড়িতে। বাড়ি ফিরে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার রাতে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, খুপরি একটি ঘর। গায়ে ময়লা গেঞ্জি, খালি পায়ে বসে আছেন তিনি। একাত্তরের গল্প জানতে চাইলে বলেন, সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল ও মঞ্জু ভারতে যাওয়ার সময় তাঁকে নলছিটি, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল সদর থানা এলাকার দায়িত্ব দেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর ১৮ জন যোদ্ধা নিয়ে নলছিটির দপদপিয়ায় ঘাঁটি স্থাপন করেন। সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তিনি এপ্রিলের শুরুতে ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সাব সেক্টর কমান্ডার ব্যারিস্টার শাজাহান ওমরের (বীর উত্তম) অধীন বরিশাল, নলছিটি, লেবুখালী, ঘোপেরহাট যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন তিনি ও তাঁর অনুসারীরা।
আনোয়ার জানান, এখন মধু বিক্রি করে সংসার চালান। কিন্তু এই বয়সে আর কুলায় না। এর মধ্যে একবার স্ট্রোকও করেছেন।
স্বাধীনতার ৫১ বছরে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হয়েও আজও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি বলে জানান আনোয়ার। এখনো মুক্তিযোদ্ধা ‘ক’ তালিকায় পড়ে আছে তাঁর নাম। যদিও বঙ্গবন্ধু তাঁকে বিরত্বগাথা চিঠিও দিয়েছিলেন।
শেষ বয়সে মানবেতর জীবনযাপন করা এই বীর যোদ্ধার কথা সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে বরিশালে। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার গত ১০ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারের খোঁজখবর নিতে তাঁর বাসায় যান। এ সময় তাঁকে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর ও জমি দেওয়ার আশ্বাসও দেন জেলা প্রশাসক।
বরিশালের নৌ-কমান্ডার সৈয়দ আবুল বাশার বলেন, আনোয়ার ছিলেন তাঁর সহযোদ্ধা। নলছিটির দপদপিয়াসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বেপরোয়া যোদ্ধা আনু এত বছরেও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাননি শুনে আক্ষেপ করে বলেন, তাঁর মানবেতর জীবন মেনে নেওয়া যায় না।
জানতে চাইলে বরিশালের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনোয়ার হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির জন্য আমরা কাজ করছি। তাঁকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আতঙ্কে ছিলেন মো. আনোয়ার হোসেন (৮৮)। অংশ নিয়েছেন বহু সম্মুখ সমরে। কিন্তু নানা জটিলতায় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা পাননি আজও। আর্থিক অনটনে শেষ বয়সে এসে দুর্দশায় কাটছে তাঁর দিন।
বরিশাল নগরীর লালদিঘির পারে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন আনোয়ার হোসেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন ইপিআরের সদস্য। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার পর ঢাকা থেকে হেঁটে রওনা দেন বরিশালে। টানা ৭ দিন হেঁটে তিনি ফেরেন আমতলীর বাড়িতে। বাড়ি ফিরে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার রাতে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, খুপরি একটি ঘর। গায়ে ময়লা গেঞ্জি, খালি পায়ে বসে আছেন তিনি। একাত্তরের গল্প জানতে চাইলে বলেন, সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল ও মঞ্জু ভারতে যাওয়ার সময় তাঁকে নলছিটি, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল সদর থানা এলাকার দায়িত্ব দেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর ১৮ জন যোদ্ধা নিয়ে নলছিটির দপদপিয়ায় ঘাঁটি স্থাপন করেন। সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তিনি এপ্রিলের শুরুতে ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সাব সেক্টর কমান্ডার ব্যারিস্টার শাজাহান ওমরের (বীর উত্তম) অধীন বরিশাল, নলছিটি, লেবুখালী, ঘোপেরহাট যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন তিনি ও তাঁর অনুসারীরা।
আনোয়ার জানান, এখন মধু বিক্রি করে সংসার চালান। কিন্তু এই বয়সে আর কুলায় না। এর মধ্যে একবার স্ট্রোকও করেছেন।
স্বাধীনতার ৫১ বছরে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হয়েও আজও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি বলে জানান আনোয়ার। এখনো মুক্তিযোদ্ধা ‘ক’ তালিকায় পড়ে আছে তাঁর নাম। যদিও বঙ্গবন্ধু তাঁকে বিরত্বগাথা চিঠিও দিয়েছিলেন।
শেষ বয়সে মানবেতর জীবনযাপন করা এই বীর যোদ্ধার কথা সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে বরিশালে। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার গত ১০ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারের খোঁজখবর নিতে তাঁর বাসায় যান। এ সময় তাঁকে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর ও জমি দেওয়ার আশ্বাসও দেন জেলা প্রশাসক।
বরিশালের নৌ-কমান্ডার সৈয়দ আবুল বাশার বলেন, আনোয়ার ছিলেন তাঁর সহযোদ্ধা। নলছিটির দপদপিয়াসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বেপরোয়া যোদ্ধা আনু এত বছরেও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাননি শুনে আক্ষেপ করে বলেন, তাঁর মানবেতর জীবন মেনে নেওয়া যায় না।
জানতে চাইলে বরিশালের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনোয়ার হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির জন্য আমরা কাজ করছি। তাঁকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে