আলআমিন আহমেদ সিয়াম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমে বিবিএ ও এমবিএ করেছি। আমার ভাইভা হয়েছিল ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ক্যাডার পছন্দ ছিল যথাক্রমে প্রশাসন, পুলিশ, কাস্টমস, শিক্ষা প্রভৃতি। ৪০তম বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতার আলোকে একটি নমুনা ভাইভা তুলে ধরা হলো:
আমি: অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করে সবাইকে সালাম দিলাম। (বিজ্ঞ সদস্যবৃন্দ বসতে বললে ধন্যবাদ দিয়ে চেয়ারে বসি)
চেয়ারম্যান: আপনার টেবিলের ওপরে রাখা কী কী জিনিস দেখতে পাচ্ছেন?
আমি: কয়েকটি পেপার কাটিং এবং ছবি।
চেয়ারম্যান: বাঁ পাশে রাখা পেপার কাটিংয়ে থাকা কবিতাটি পড়ুন।
আমি: একটু লাউডলি কবিতাটি আবৃত্তি করলাম। (কবিতায় অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং জহির রায়হানের নাম উল্লেখ ছিল)
চেয়ারম্যান: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং জহির রায়হান কারা?
আমি: শহীদ বুদ্ধিজীবী। (কবিতাটির প্রেক্ষাপট এবং ভাইভার তারিখ বিবেচনায় আমি তাঁদের বুদ্ধিজীবী হিসেবেই উল্লেখ করলাম।)
চেয়ারম্যান: জহির রায়হানও কি বুদ্ধিজীবী? উনি তো স্বাধীনতার অনেক পরে নিখোঁজ হন।
আমি: জি স্যার, উনি ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী তালিকাভুক্তির সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭১ পর্যন্ত করা হয়েছে। তাই তিনিও একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী।
চেয়ারম্যান: ধন্যবাদ। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর পরিচয় বলুন, উনি কোথায় এবং কোন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন?
আমি: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর পরিচয় বললাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। (যদিও আমার উত্তরটি ভুল ছিল, উনি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন)
চেয়ারম্যান: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ভাই এবং বাবা সম্পর্কে বলুন। উনারাও স্বনামধন্য অধ্যাপক ছিলেন।
আমি: স্যরি স্যার। (প্রশ্নের উত্তরটি মোটেই জানা ছিল না)
চেয়ারম্যান: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর একজন বোন আছে, যিনি একজন প্রসিদ্ধ নাট্যব্যক্তিত্ব? তাঁর সম্পর্কে বলুন।
আমি: ফেরদৌসী মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার স্যারের সহধর্মিণী। (এই প্রশ্নের উত্তরও ওই মুহূর্তে মনে ছিল না। কিন্তু ফরচুনেটলি বোর্ডের একজন বিজ্ঞ ম্যাম সদস্য খুব মৃদুস্বরে বললেন, ‘মনে করার চেষ্টা করুন, নামের শেষে মজুমদার আছে।’ তখন আমার মনে পড়ে)।
চেয়ারম্যান: (এরপর বোর্ডের সবাই হেসে বললেন, ওই দিকের পরিচয়ে চেনেন, এদিকের পরিচয়ে চেনেন না কেন?) মুনীর চৌধুরীর লেখা কয়েকটি রচনা এবং চরিত্রের নাম বলুন।
আমি: উত্তর দিলাম। (চেয়ারম্যান স্যার এবং অন্য দুজন সম্মানিত মেম্বার আমার উত্তরগুলো আংশিক শুদ্ধ হলেও উনারা নিজেরা টেনে নিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্পূর্ণ করেছেন।)
চেয়ারম্যান: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প-সিনেমা সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন? এসব নিয়ে আগ্রহ আছে? কোন কোন বই পড়েছেন?
আমি: জি স্যার। ইতিহাস এবং সমাজসচেতন প্রত্যেক নাগরিকের এটি নিয়ে আগ্রহ থাকা উচিত। (আমি আগুনের পরশমণিসহ কয়েকটি রচনার নাম উল্লেখ করলাম)।
চেয়ারম্যান: হুমায়ূন আহমেদ কবে মারা গিয়েছেন? কোথায় মারা গিয়েছেন?
আমি: নিউইয়র্কের বেলভ্যু হসপিটালে ২০১৩ সালের জুনে। (স্থান ঠিক থাকলেও তারিখটি পুরোপুরি ভুল ছিল, কিন্তু বোর্ড চেয়ারম্যান আশ্চর্যজনকভাবে আমার ভুল উত্তরও শুধরে না দিয়ে, কিংবা ভুল না ধরিয়ে দিয়ে উত্তরগুলো স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছিলেন)।
এক্সটার্নাল-১: আপনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে আছেন। এখানকার কর্মপরিবেশ কেমন? এটি কি লাভজনক প্রতিষ্ঠান?
আমি: এখানকার কর্মপরিবেশ বেশ ভালো, তবে প্রতিষ্ঠানটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করায় এখনো লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি।
এক্সটার্নাল-১: আপনার শাখার কী কী বিষয় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত? আপনি কখনো উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছেন?
আমি: উপজেলা কৃষিঋণ কমিটির সঙ্গে এটি কাজ করে। এ ছাড়া সার্টিফিকেট মামলা পরিচালনায় এটি ইউএনও স্যারকে সহায়তা করে থাকে।
এক্সটার্নাল-১: আপনার শাখার খেলাপি ঋণ আদায়ে ‘সার্টিফিকেট’ মামলা দায়েরের শর্তগুলো বলুন?
আমি: ঋণ তামাদিতে বারিত হওয়ার পূর্বেই এ মামলা দায়ের করতে হয় এবং তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত খেলাপির বিরুদ্ধে এ মামলা রুজু করা হয়।
চেয়ারম্যান: খেলাপি ঋণ আদায়ে আপনার গৃহীত পদক্ষেপগুলো কী?
আমি: ঋণ আদায়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা, তাগিদ দেওয়া, নোটিশ ইস্যু করা, ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় করা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
চেয়ারম্যান: আইনি পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রে সময়সাপেক্ষ। আচ্ছা, পিডিআর অ্যাক্ট কী এবং কত সালে এটি প্রণয়ন করা হয়?
আমি: Public Demand Recovery Act বা সরকারি পাওনা আদায় আইন, ১৯১৩ সালে।
চেয়ারম্যান: আপনি আইনটি পড়েছেন?
আমি: দুঃখিত স্যার, আমার পড়া হয়নি। (চেয়ারম্যান স্যার মাথা নেড়ে বিড়বিড় করে বললেন, পড়া উচিত ছিল)
চেয়ারম্যান: কয়দিন আগে আপনাদের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়। বিষয়টি আপনি জানেন? কারা করেছে।
আমি: জি স্যার। টার্কিশ হ্যাকাররা এটির দায় স্বীকার করে। (এ প্রশ্ন করায় আমি বেশ অবাক হই। ভাইভার দুদিন আগে ঘটনাটি ঘটে, এটি তেমন কোনো পত্রিকার খবরেও আসেনি)।
এক্সটার্নাল-২: ব্যাংকের কাজ কি উপভোগ করেন?
আমি: জি, উপভোগ করি। তবে এখানে কাজের পরিধি এবং ধরনের জন্য ডাইভার্সিটি তুলনামূলক কম।
এক্সটার্নাল-১: ডিসি মহোদয়ের অনুরূপ পদকে ভারতে কী নামে আখ্যায়িত করা হয়? ডিসি মহোদয় সাধারণত কী কাজ করে থাকেন?
আমি: ডিসি মহোদয়ের অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে বললাম। সেখান থেকে আরও কয়েকটি সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দিলাম, কিন্তু ভারতে ডিসি মহোদয়কে কী নামে ডাকা হয়, সেটি বলতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করলাম।
এক্সটার্নাল-১: প্রশাসনের পদক্রমগুলো বলুন।
আমি: সিনিয়র সচিব > সচিব > অতিরিক্ত সচিব > যুগ্ম সচিব > উপসচিব> সিনিয়র সহকারী সচিব >সহকারী সচিব
এক্সটার্নাল-১: করোনাকালীন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আপনার মতামত কী। এটি কি ইতিবাচক ছিল?
আমি: কেন্দ্রীয় প্রশাসন এবং সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনের নিবিড় তদারকি বেশ ইতিবাচক। বিশেষ করে এমন সংকটপূর্ণ মুহূর্তেও নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি উপেক্ষা করেও ফ্রন্টলাইনার হিসেবে সর্বমহলেই উনারা বেশ প্রশংসা কুড়ান। তবে দু-চারটি ঘটনা যা বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জন্ম দেয়, সেটিকে আমি ‘বিক্ষিপ্ত এবং হিউম্যান-এরর’ বলব।
শিক্ষা ক্যাডার, ৪০তম বিসিএস
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমে বিবিএ ও এমবিএ করেছি। আমার ভাইভা হয়েছিল ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ক্যাডার পছন্দ ছিল যথাক্রমে প্রশাসন, পুলিশ, কাস্টমস, শিক্ষা প্রভৃতি। ৪০তম বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতার আলোকে একটি নমুনা ভাইভা তুলে ধরা হলো:
আমি: অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করে সবাইকে সালাম দিলাম। (বিজ্ঞ সদস্যবৃন্দ বসতে বললে ধন্যবাদ দিয়ে চেয়ারে বসি)
চেয়ারম্যান: আপনার টেবিলের ওপরে রাখা কী কী জিনিস দেখতে পাচ্ছেন?
আমি: কয়েকটি পেপার কাটিং এবং ছবি।
চেয়ারম্যান: বাঁ পাশে রাখা পেপার কাটিংয়ে থাকা কবিতাটি পড়ুন।
আমি: একটু লাউডলি কবিতাটি আবৃত্তি করলাম। (কবিতায় অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং জহির রায়হানের নাম উল্লেখ ছিল)
চেয়ারম্যান: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং জহির রায়হান কারা?
আমি: শহীদ বুদ্ধিজীবী। (কবিতাটির প্রেক্ষাপট এবং ভাইভার তারিখ বিবেচনায় আমি তাঁদের বুদ্ধিজীবী হিসেবেই উল্লেখ করলাম।)
চেয়ারম্যান: জহির রায়হানও কি বুদ্ধিজীবী? উনি তো স্বাধীনতার অনেক পরে নিখোঁজ হন।
আমি: জি স্যার, উনি ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী তালিকাভুক্তির সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭১ পর্যন্ত করা হয়েছে। তাই তিনিও একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী।
চেয়ারম্যান: ধন্যবাদ। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর পরিচয় বলুন, উনি কোথায় এবং কোন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন?
আমি: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর পরিচয় বললাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। (যদিও আমার উত্তরটি ভুল ছিল, উনি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন)
চেয়ারম্যান: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ভাই এবং বাবা সম্পর্কে বলুন। উনারাও স্বনামধন্য অধ্যাপক ছিলেন।
আমি: স্যরি স্যার। (প্রশ্নের উত্তরটি মোটেই জানা ছিল না)
চেয়ারম্যান: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর একজন বোন আছে, যিনি একজন প্রসিদ্ধ নাট্যব্যক্তিত্ব? তাঁর সম্পর্কে বলুন।
আমি: ফেরদৌসী মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার স্যারের সহধর্মিণী। (এই প্রশ্নের উত্তরও ওই মুহূর্তে মনে ছিল না। কিন্তু ফরচুনেটলি বোর্ডের একজন বিজ্ঞ ম্যাম সদস্য খুব মৃদুস্বরে বললেন, ‘মনে করার চেষ্টা করুন, নামের শেষে মজুমদার আছে।’ তখন আমার মনে পড়ে)।
চেয়ারম্যান: (এরপর বোর্ডের সবাই হেসে বললেন, ওই দিকের পরিচয়ে চেনেন, এদিকের পরিচয়ে চেনেন না কেন?) মুনীর চৌধুরীর লেখা কয়েকটি রচনা এবং চরিত্রের নাম বলুন।
আমি: উত্তর দিলাম। (চেয়ারম্যান স্যার এবং অন্য দুজন সম্মানিত মেম্বার আমার উত্তরগুলো আংশিক শুদ্ধ হলেও উনারা নিজেরা টেনে নিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্পূর্ণ করেছেন।)
চেয়ারম্যান: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প-সিনেমা সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন? এসব নিয়ে আগ্রহ আছে? কোন কোন বই পড়েছেন?
আমি: জি স্যার। ইতিহাস এবং সমাজসচেতন প্রত্যেক নাগরিকের এটি নিয়ে আগ্রহ থাকা উচিত। (আমি আগুনের পরশমণিসহ কয়েকটি রচনার নাম উল্লেখ করলাম)।
চেয়ারম্যান: হুমায়ূন আহমেদ কবে মারা গিয়েছেন? কোথায় মারা গিয়েছেন?
আমি: নিউইয়র্কের বেলভ্যু হসপিটালে ২০১৩ সালের জুনে। (স্থান ঠিক থাকলেও তারিখটি পুরোপুরি ভুল ছিল, কিন্তু বোর্ড চেয়ারম্যান আশ্চর্যজনকভাবে আমার ভুল উত্তরও শুধরে না দিয়ে, কিংবা ভুল না ধরিয়ে দিয়ে উত্তরগুলো স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছিলেন)।
এক্সটার্নাল-১: আপনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে আছেন। এখানকার কর্মপরিবেশ কেমন? এটি কি লাভজনক প্রতিষ্ঠান?
আমি: এখানকার কর্মপরিবেশ বেশ ভালো, তবে প্রতিষ্ঠানটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করায় এখনো লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি।
এক্সটার্নাল-১: আপনার শাখার কী কী বিষয় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত? আপনি কখনো উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছেন?
আমি: উপজেলা কৃষিঋণ কমিটির সঙ্গে এটি কাজ করে। এ ছাড়া সার্টিফিকেট মামলা পরিচালনায় এটি ইউএনও স্যারকে সহায়তা করে থাকে।
এক্সটার্নাল-১: আপনার শাখার খেলাপি ঋণ আদায়ে ‘সার্টিফিকেট’ মামলা দায়েরের শর্তগুলো বলুন?
আমি: ঋণ তামাদিতে বারিত হওয়ার পূর্বেই এ মামলা দায়ের করতে হয় এবং তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত খেলাপির বিরুদ্ধে এ মামলা রুজু করা হয়।
চেয়ারম্যান: খেলাপি ঋণ আদায়ে আপনার গৃহীত পদক্ষেপগুলো কী?
আমি: ঋণ আদায়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা, তাগিদ দেওয়া, নোটিশ ইস্যু করা, ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় করা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
চেয়ারম্যান: আইনি পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রে সময়সাপেক্ষ। আচ্ছা, পিডিআর অ্যাক্ট কী এবং কত সালে এটি প্রণয়ন করা হয়?
আমি: Public Demand Recovery Act বা সরকারি পাওনা আদায় আইন, ১৯১৩ সালে।
চেয়ারম্যান: আপনি আইনটি পড়েছেন?
আমি: দুঃখিত স্যার, আমার পড়া হয়নি। (চেয়ারম্যান স্যার মাথা নেড়ে বিড়বিড় করে বললেন, পড়া উচিত ছিল)
চেয়ারম্যান: কয়দিন আগে আপনাদের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়। বিষয়টি আপনি জানেন? কারা করেছে।
আমি: জি স্যার। টার্কিশ হ্যাকাররা এটির দায় স্বীকার করে। (এ প্রশ্ন করায় আমি বেশ অবাক হই। ভাইভার দুদিন আগে ঘটনাটি ঘটে, এটি তেমন কোনো পত্রিকার খবরেও আসেনি)।
এক্সটার্নাল-২: ব্যাংকের কাজ কি উপভোগ করেন?
আমি: জি, উপভোগ করি। তবে এখানে কাজের পরিধি এবং ধরনের জন্য ডাইভার্সিটি তুলনামূলক কম।
এক্সটার্নাল-১: ডিসি মহোদয়ের অনুরূপ পদকে ভারতে কী নামে আখ্যায়িত করা হয়? ডিসি মহোদয় সাধারণত কী কাজ করে থাকেন?
আমি: ডিসি মহোদয়ের অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে বললাম। সেখান থেকে আরও কয়েকটি সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দিলাম, কিন্তু ভারতে ডিসি মহোদয়কে কী নামে ডাকা হয়, সেটি বলতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করলাম।
এক্সটার্নাল-১: প্রশাসনের পদক্রমগুলো বলুন।
আমি: সিনিয়র সচিব > সচিব > অতিরিক্ত সচিব > যুগ্ম সচিব > উপসচিব> সিনিয়র সহকারী সচিব >সহকারী সচিব
এক্সটার্নাল-১: করোনাকালীন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আপনার মতামত কী। এটি কি ইতিবাচক ছিল?
আমি: কেন্দ্রীয় প্রশাসন এবং সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনের নিবিড় তদারকি বেশ ইতিবাচক। বিশেষ করে এমন সংকটপূর্ণ মুহূর্তেও নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি উপেক্ষা করেও ফ্রন্টলাইনার হিসেবে সর্বমহলেই উনারা বেশ প্রশংসা কুড়ান। তবে দু-চারটি ঘটনা যা বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জন্ম দেয়, সেটিকে আমি ‘বিক্ষিপ্ত এবং হিউম্যান-এরর’ বলব।
শিক্ষা ক্যাডার, ৪০তম বিসিএস
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে