মোনায়েম সরকার
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ২৬ মার্চ সূচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের দামাল মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। এই দিনেই ৯৫ হাজার পাকিস্তানি সেনাসদস্য তাদের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে রমনা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই রেসকোর্স ময়দানেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জনসভায় বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
বলদর্পী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে ২৫ মার্চ গভীর রাতে বাঙালি জনগণের ওপর অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু চূড়ান্ত ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে ওই রাতেই গ্রেপ্তারের আগে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
শবাসীকে যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করার আহ্বান জানান এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানান। বাঙালি জাতি অসম সাহসে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশী ভারত মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে। সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অনেক দেশ বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের প্রতি নানাভাবে সাহায্যের হাত প্রসারিত করে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে ধারাবাহিক রাজনৈতিক যুদ্ধ, তার চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে বাঙালি জাতিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।
প্রতিবছর বাঙালি জাতির সামনে বিজয় দিবস নতুন জিজ্ঞাসা ও বাস্তবতা নিয়ে হাজির হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা প্রবল হয়ে ওঠে।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেনাছাউনিতে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলতে থাকল। বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের পর শেষ পর্যন্ত চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন। কিন্তু প্রথম দিকে তিনি নিজেকে কিছুটা আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ খুনিরা আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমদকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করে। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য যোগ দেন বা অস্ত্রের মুখে যোগ দিতে বাধ্য হন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক অবস্থায় আওয়ামী লীগের চারজন বিশিষ্ট নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং কামারুজ্জামান—যাঁরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাই জেলখানায় এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত আরেক সামরিক অভ্যুত্থানে মোশতাক গদিচ্যুত হন। এরপর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতির আসনে বসানো হয়। স্বল্পকাল ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের হাতে হস্তান্তর করে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর এই প্রচেষ্টা বিফল হয়ে যায় এবং তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রকৃত ঘটনা হলো, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে তাঁর নিজের অবস্থান সংহত করার পর পর্দার আড়ালে থেকে বেরিয়ে এসে নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে ক্রমাগত চাপের মুখে বিচারপতি সায়েম তাঁর সামনে পেশকৃত পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে তৎক্ষণাৎ বঙ্গভবন ত্যাগ করে নিজের বাসায় চলে যান।
১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিচারপতি সায়েম পদত্যাগ করার পরপরই জেনারেল জিয়াউর রহমান তাঁর আকাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রপতির পদে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। এরপর নজিরবিহীন কায়দায় এক গণভোটের ব্যবস্থা করা হলো। এই ব্যবস্থায় শতকরা ৯৮ ভাগ ভোট জিয়ার পক্ষে পড়েছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জিয়া বুঝতে পারলেন যে, বিশ্বজনমত এই ধোঁকাবাজিতে বিশ্বাস করে না, বহির্বিশ্বের জনগণ সামরিক সরকার পছন্দ করেন না। তখন তিনি তাঁর নিযুক্ত উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সাহায্য নিয়ে তাঁর সরকারকে বেসামরিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে সামরিক ক্ষমতাকে আবার পর্দার আড়ালে সরিয়ে রাখলেন। বিচারপতি সাত্তারের সহায়তায় জিয়া ক্যান্টনমেন্টে থেকেই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন, যার নাম দিলেন বিএনপি (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি)। অল্প দিনের মধ্যেই কিছুসংখ্যক উচ্চাভিলাষী সাবেক সামরিক অফিসার, ক্ষমতালোভী আমলা, ভাগ্যান্বেষী ব্যবসায়ী এবং খুদে রাজনীতিবিদ বিএনপিতে ভিড় জমালেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অচিরে বিএনপি একটি ‘বড়’ দলে পরিণত হয়। জেনারেল জিয়ার নিজস্ব কোনো রাজনৈতিক দর্শন ছিল না। তিনি দৈবচক্রে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন তিনি তাঁর একান্ত অনুগত ছিলেন। জিয়া বাকশালে যোগ দিতে দ্বিধা করেননি।
১৯৭৭ সালে নিজেকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করার পর ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার জন্য তিনি শক্তিশালী সমর্থক খুঁজতে লাগলেন। আওয়ামী লীগ তাঁকে সমর্থন করবে না—এ কথা তিনি জানতেন। তাই তিনি আওয়ামী লীগবিরোধী, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র থেকে বাছাই করে কিছু লোককে বিএনপিতে নিয়ে আসেন এবং মন্ত্রিসভায় নিযুক্ত করলেন। এইভাবে জেনারেল জিয়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। একই সঙ্গে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্য, সংগঠক ও নেতাদের ব্যাপকভাবে পুনর্বাসিত করা শুরু হলো। জিয়ার আমলেই জামায়াত নেতা কুখ্যাত গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তির ওপর জিয়া চরম আঘাত হানলেন। যে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের ওপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল, সেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় শাসনতন্ত্রকে ইসলামীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করলেন জিয়াউর রহমান। ফলে দেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ ও হতাশা দেখা দিল। যে ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে এই দেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই জাতীয় ঐক্যে ফাটল দেখা দিল। জিয়ার এই নীতির ফলে জাতি সম্প্রদায়গতভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ল।
জিয়ার মৃত্যুর পর এইচ এম এরশাদ ও তাঁর পতনের পর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও জিয়ার আওয়ামী লীগবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক ধারায়ই দেশ শাসন করতে থাকেন।
জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতকে হেয় করার জন্য ‘নন্দ ঘোষ’ বানানো হয়েছিল। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে ট্রেনিং, অস্ত্র ও অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা করার অনুমতি দিয়ে, ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। যে ভারত মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস বাংলাদেশের ১ কোটি শরণার্থীকে অতুলনীয় সহযোগিতা করেছে, মুক্তিবাহিনীর লাখ লাখ সদস্যকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিয়ে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবিলা করতে সক্ষম করে গড়ে তুলেছে, তাদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব ও আচরণ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমরা এ কথা ভুলে যাই যে, ইতিহাস বদলানো গেলেও ভূগোল বদলানো যায় না। আমরা যদি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে কারণে-অকারণে শত্রুর পর্যায়ে ঠেলে দিই, তাহলে নিজেদের উন্নতি করার সময় ও সুযোগ কীভাবে পাব? ভারত একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, এটা বাস্তবতা। তার অর্থনৈতিক অবস্থান এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম। তার সামরিক শক্তি বিশ্ব সামরিক শক্তির উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার সঙ্গে পাকিস্তানের মতো গায়ে পড়ে বিবাদে লিপ্ত হওয়া কি বাংলাদেশের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ? ভারতের ভূত দেখতে দেখতে পাকিস্তানের আজ কী হাল হয়েছে, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
এবারের এই বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত জনগণের সামনে এই সত্য নতুনভাবে তুলে ধরা দরকার যে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাস্তবতা উপলব্ধি করে শান্তি, সহিষ্ণুতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথেই আমাদের পথ চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানি নীতি-আদর্শের প্রতি অনুগত দল, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।
এখন ক্ষমতায় আছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা। সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার রয়েছে অসামান্য দক্ষতা ও নৈপুণ্য। তিনি শুধু বাংলাদেশের নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রীই নন; তিনি বিশ্ববরেণ্য এক জননেত্রী।
উন্নয়ন অভিযাত্রা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ তিনি মনে-প্রাণে গ্রহণ করেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়নমুখী যেসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। নগরীতে চালু হয়েছে মেট্রোরেল, স্থাপিত হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। চালু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলীর তলদেশে দৃষ্টিনন্দন টানেল। ঢাকা থেকে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সড়কপথে যাওয়া আজ মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার। শহর বা গ্রাম; চোখ মেললেই দেখা যায় সার্বিক উন্নয়নের দীপ্ত স্বাক্ষর। জীবনযাপনের ধারা এবং মানেও এসেছে ইতিবাচক বিরাট পরিবর্তন। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শেখ হাসিনা ও তাঁর পরীক্ষিত নেতৃত্বে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে আবার উন্নয়নের ধারা চলমান রাখবে—এটাই এবারের বিজয় দিবসে জাতির প্রত্যাশা।
মোনায়েম সরকার, রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ২৬ মার্চ সূচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের দামাল মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। এই দিনেই ৯৫ হাজার পাকিস্তানি সেনাসদস্য তাদের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে রমনা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই রেসকোর্স ময়দানেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জনসভায় বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
বলদর্পী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে ২৫ মার্চ গভীর রাতে বাঙালি জনগণের ওপর অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু চূড়ান্ত ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে ওই রাতেই গ্রেপ্তারের আগে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
শবাসীকে যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করার আহ্বান জানান এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানান। বাঙালি জাতি অসম সাহসে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশী ভারত মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে। সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অনেক দেশ বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের প্রতি নানাভাবে সাহায্যের হাত প্রসারিত করে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে ধারাবাহিক রাজনৈতিক যুদ্ধ, তার চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে বাঙালি জাতিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।
প্রতিবছর বাঙালি জাতির সামনে বিজয় দিবস নতুন জিজ্ঞাসা ও বাস্তবতা নিয়ে হাজির হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা প্রবল হয়ে ওঠে।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেনাছাউনিতে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলতে থাকল। বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের পর শেষ পর্যন্ত চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন। কিন্তু প্রথম দিকে তিনি নিজেকে কিছুটা আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ খুনিরা আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমদকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করে। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য যোগ দেন বা অস্ত্রের মুখে যোগ দিতে বাধ্য হন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক অবস্থায় আওয়ামী লীগের চারজন বিশিষ্ট নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং কামারুজ্জামান—যাঁরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাই জেলখানায় এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত আরেক সামরিক অভ্যুত্থানে মোশতাক গদিচ্যুত হন। এরপর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতির আসনে বসানো হয়। স্বল্পকাল ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের হাতে হস্তান্তর করে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর এই প্রচেষ্টা বিফল হয়ে যায় এবং তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রকৃত ঘটনা হলো, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে তাঁর নিজের অবস্থান সংহত করার পর পর্দার আড়ালে থেকে বেরিয়ে এসে নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে ক্রমাগত চাপের মুখে বিচারপতি সায়েম তাঁর সামনে পেশকৃত পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে তৎক্ষণাৎ বঙ্গভবন ত্যাগ করে নিজের বাসায় চলে যান।
১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিচারপতি সায়েম পদত্যাগ করার পরপরই জেনারেল জিয়াউর রহমান তাঁর আকাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রপতির পদে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। এরপর নজিরবিহীন কায়দায় এক গণভোটের ব্যবস্থা করা হলো। এই ব্যবস্থায় শতকরা ৯৮ ভাগ ভোট জিয়ার পক্ষে পড়েছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জিয়া বুঝতে পারলেন যে, বিশ্বজনমত এই ধোঁকাবাজিতে বিশ্বাস করে না, বহির্বিশ্বের জনগণ সামরিক সরকার পছন্দ করেন না। তখন তিনি তাঁর নিযুক্ত উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সাহায্য নিয়ে তাঁর সরকারকে বেসামরিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে সামরিক ক্ষমতাকে আবার পর্দার আড়ালে সরিয়ে রাখলেন। বিচারপতি সাত্তারের সহায়তায় জিয়া ক্যান্টনমেন্টে থেকেই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন, যার নাম দিলেন বিএনপি (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি)। অল্প দিনের মধ্যেই কিছুসংখ্যক উচ্চাভিলাষী সাবেক সামরিক অফিসার, ক্ষমতালোভী আমলা, ভাগ্যান্বেষী ব্যবসায়ী এবং খুদে রাজনীতিবিদ বিএনপিতে ভিড় জমালেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অচিরে বিএনপি একটি ‘বড়’ দলে পরিণত হয়। জেনারেল জিয়ার নিজস্ব কোনো রাজনৈতিক দর্শন ছিল না। তিনি দৈবচক্রে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন তিনি তাঁর একান্ত অনুগত ছিলেন। জিয়া বাকশালে যোগ দিতে দ্বিধা করেননি।
১৯৭৭ সালে নিজেকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করার পর ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার জন্য তিনি শক্তিশালী সমর্থক খুঁজতে লাগলেন। আওয়ামী লীগ তাঁকে সমর্থন করবে না—এ কথা তিনি জানতেন। তাই তিনি আওয়ামী লীগবিরোধী, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র থেকে বাছাই করে কিছু লোককে বিএনপিতে নিয়ে আসেন এবং মন্ত্রিসভায় নিযুক্ত করলেন। এইভাবে জেনারেল জিয়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। একই সঙ্গে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্য, সংগঠক ও নেতাদের ব্যাপকভাবে পুনর্বাসিত করা শুরু হলো। জিয়ার আমলেই জামায়াত নেতা কুখ্যাত গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তির ওপর জিয়া চরম আঘাত হানলেন। যে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের ওপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল, সেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় শাসনতন্ত্রকে ইসলামীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করলেন জিয়াউর রহমান। ফলে দেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ ও হতাশা দেখা দিল। যে ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে এই দেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই জাতীয় ঐক্যে ফাটল দেখা দিল। জিয়ার এই নীতির ফলে জাতি সম্প্রদায়গতভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ল।
জিয়ার মৃত্যুর পর এইচ এম এরশাদ ও তাঁর পতনের পর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও জিয়ার আওয়ামী লীগবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক ধারায়ই দেশ শাসন করতে থাকেন।
জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতকে হেয় করার জন্য ‘নন্দ ঘোষ’ বানানো হয়েছিল। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে ট্রেনিং, অস্ত্র ও অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা করার অনুমতি দিয়ে, ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। যে ভারত মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস বাংলাদেশের ১ কোটি শরণার্থীকে অতুলনীয় সহযোগিতা করেছে, মুক্তিবাহিনীর লাখ লাখ সদস্যকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিয়ে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবিলা করতে সক্ষম করে গড়ে তুলেছে, তাদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব ও আচরণ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আমরা এ কথা ভুলে যাই যে, ইতিহাস বদলানো গেলেও ভূগোল বদলানো যায় না। আমরা যদি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে কারণে-অকারণে শত্রুর পর্যায়ে ঠেলে দিই, তাহলে নিজেদের উন্নতি করার সময় ও সুযোগ কীভাবে পাব? ভারত একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, এটা বাস্তবতা। তার অর্থনৈতিক অবস্থান এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম। তার সামরিক শক্তি বিশ্ব সামরিক শক্তির উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার সঙ্গে পাকিস্তানের মতো গায়ে পড়ে বিবাদে লিপ্ত হওয়া কি বাংলাদেশের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ? ভারতের ভূত দেখতে দেখতে পাকিস্তানের আজ কী হাল হয়েছে, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
এবারের এই বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত জনগণের সামনে এই সত্য নতুনভাবে তুলে ধরা দরকার যে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাস্তবতা উপলব্ধি করে শান্তি, সহিষ্ণুতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথেই আমাদের পথ চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানি নীতি-আদর্শের প্রতি অনুগত দল, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।
এখন ক্ষমতায় আছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা। সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার রয়েছে অসামান্য দক্ষতা ও নৈপুণ্য। তিনি শুধু বাংলাদেশের নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রীই নন; তিনি বিশ্ববরেণ্য এক জননেত্রী।
উন্নয়ন অভিযাত্রা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ তিনি মনে-প্রাণে গ্রহণ করেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়নমুখী যেসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। নগরীতে চালু হয়েছে মেট্রোরেল, স্থাপিত হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। চালু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলীর তলদেশে দৃষ্টিনন্দন টানেল। ঢাকা থেকে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সড়কপথে যাওয়া আজ মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার। শহর বা গ্রাম; চোখ মেললেই দেখা যায় সার্বিক উন্নয়নের দীপ্ত স্বাক্ষর। জীবনযাপনের ধারা এবং মানেও এসেছে ইতিবাচক বিরাট পরিবর্তন। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শেখ হাসিনা ও তাঁর পরীক্ষিত নেতৃত্বে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে আবার উন্নয়নের ধারা চলমান রাখবে—এটাই এবারের বিজয় দিবসে জাতির প্রত্যাশা।
মোনায়েম সরকার, রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে