বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। অভিযোগ রয়েছে, দালাল চক্র আর অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে অতিরিক্ত টাকা নিয়েই কেবল পাসপোর্ট দেওয়া হয়। দালালদের বাইরে গিয়ে শর্ত মোতাবেক ফি পরিশোধ করলেও কেউই এখান থেকে পাসপোর্ট নিতে পারেন না। বরং নানা অজুহাতে তাঁদের পোহাতে হয় ভোগান্তি।
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৫০টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে বেশির ভাগ আবেদন জমা হয় ‘ঘুষ চ্যানেলে’।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অফিসে আবেদন জমা পড়লেই টাকার গন্ধ খোঁজেন একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁরা ঘুষের টাকা নেন ফাইল গুনে গুনে। দালালচক্রের সঙ্গে গোপনে হাত মিলিয়ে এরা গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী এক সিন্ডিকেট। এই চক্রের হাতে জিম্মি থাকায় কেউই এখান থেকে ঘুষ না দিয়ে পাসপোর্ট পান না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, অফিসের বাইরে নির্দিষ্ট কয়েকজন দালাল অপেক্ষমাণ থাকেন। পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পর দালালেরা যোগাযোগ করে ঘুষের বিনিময়ে পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার ‘কন্টাক্ট’ নেন। এরপর ওই দালালেরাই আবেদন ফরমের সবকিছু ঠিকঠাক করে আবেদনে ‘বিশেষ সংকেত’ ব্যবহার করে ফাইল ফ্রন্ট ডেস্কে জমা না দিয়ে পাসপোর্ট অফিসের দ্বিতীয় তলার ২০৪ নম্বর কক্ষে পাঠান। সেখানে সংকেতসহ আবেদন জমা হয় পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার ইকবাল হোসেনের কাছে। ইকবাল হোসেন সংকেত দেখে ফাইল জমা নিয়ে ছবি, ফিঙ্গার ও সই নিয়ে আবেদন সম্পন্ন করেন। এ কার্যক্রম বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলমান রাখে বরগুনা পাসপোর্ট অফিস। এ প্রক্রিয়ার বাইরে গেলেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় আবেদনকারীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি জানান, সরাসরি অফিসে আবেদন জমা দিলেই শুরু হয় বিড়ম্বনা। বাবা মায়ের আইডি কার্ডের সঙ্গে আবেদনকারীর আইডি কার্ডে মিল না থাকলেই চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় তাদের। খুঁত ধরতে ধরতে বিরক্ত করে ফেলা হয়। একপর্যায়ে বিড়ম্বনা এড়াতে আবেদনকারীকে দালালদের দ্বারস্থ হতে হয়। নির্দিষ্ট ঘুষ দিলে দালালেরা নিজ হাতে আবেদন ফরম পূরণ করে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে সব কাজ করে দেন। এমনকি ছবি ও আবেদন ফরমের সত্যায়িত করার কাজটিও এই দালালেরা করেন।
ভুক্তভোগীদের একজন বরগুনার খালিদ আদনান শাকিল। তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী আবেদন করার পর ফরম জমা দিয়ে গোটা দিন অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আমার ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য ডাক পড়েনি। কিন্তু পরে আবেদন দিয়েও আমার আগেই অনেকে কাজ শেষ করে ফিরেছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ঘুষ না দেওয়ায় আমার আবেদন ফেলে রাখা হয়েছে। ঘুষ দিলে কোনোপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়া হয়।’
বরগুনা পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার ইকবাল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আইয়ুব আলীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ সত্য নয়। এটা তারাই বলে যারা সঠিক নিয়মে আবেদন জমা দেন না।’
বরিশালের বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ঘুষের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কারও সংশ্লিষ্টতা আছে এমন অভিযোগ পেলে আমরা বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। অভিযোগ রয়েছে, দালাল চক্র আর অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে অতিরিক্ত টাকা নিয়েই কেবল পাসপোর্ট দেওয়া হয়। দালালদের বাইরে গিয়ে শর্ত মোতাবেক ফি পরিশোধ করলেও কেউই এখান থেকে পাসপোর্ট নিতে পারেন না। বরং নানা অজুহাতে তাঁদের পোহাতে হয় ভোগান্তি।
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৫০টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে বেশির ভাগ আবেদন জমা হয় ‘ঘুষ চ্যানেলে’।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অফিসে আবেদন জমা পড়লেই টাকার গন্ধ খোঁজেন একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁরা ঘুষের টাকা নেন ফাইল গুনে গুনে। দালালচক্রের সঙ্গে গোপনে হাত মিলিয়ে এরা গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী এক সিন্ডিকেট। এই চক্রের হাতে জিম্মি থাকায় কেউই এখান থেকে ঘুষ না দিয়ে পাসপোর্ট পান না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, অফিসের বাইরে নির্দিষ্ট কয়েকজন দালাল অপেক্ষমাণ থাকেন। পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পর দালালেরা যোগাযোগ করে ঘুষের বিনিময়ে পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার ‘কন্টাক্ট’ নেন। এরপর ওই দালালেরাই আবেদন ফরমের সবকিছু ঠিকঠাক করে আবেদনে ‘বিশেষ সংকেত’ ব্যবহার করে ফাইল ফ্রন্ট ডেস্কে জমা না দিয়ে পাসপোর্ট অফিসের দ্বিতীয় তলার ২০৪ নম্বর কক্ষে পাঠান। সেখানে সংকেতসহ আবেদন জমা হয় পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার ইকবাল হোসেনের কাছে। ইকবাল হোসেন সংকেত দেখে ফাইল জমা নিয়ে ছবি, ফিঙ্গার ও সই নিয়ে আবেদন সম্পন্ন করেন। এ কার্যক্রম বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলমান রাখে বরগুনা পাসপোর্ট অফিস। এ প্রক্রিয়ার বাইরে গেলেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় আবেদনকারীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি জানান, সরাসরি অফিসে আবেদন জমা দিলেই শুরু হয় বিড়ম্বনা। বাবা মায়ের আইডি কার্ডের সঙ্গে আবেদনকারীর আইডি কার্ডে মিল না থাকলেই চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় তাদের। খুঁত ধরতে ধরতে বিরক্ত করে ফেলা হয়। একপর্যায়ে বিড়ম্বনা এড়াতে আবেদনকারীকে দালালদের দ্বারস্থ হতে হয়। নির্দিষ্ট ঘুষ দিলে দালালেরা নিজ হাতে আবেদন ফরম পূরণ করে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে সব কাজ করে দেন। এমনকি ছবি ও আবেদন ফরমের সত্যায়িত করার কাজটিও এই দালালেরা করেন।
ভুক্তভোগীদের একজন বরগুনার খালিদ আদনান শাকিল। তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী আবেদন করার পর ফরম জমা দিয়ে গোটা দিন অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আমার ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য ডাক পড়েনি। কিন্তু পরে আবেদন দিয়েও আমার আগেই অনেকে কাজ শেষ করে ফিরেছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ঘুষ না দেওয়ায় আমার আবেদন ফেলে রাখা হয়েছে। ঘুষ দিলে কোনোপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়া হয়।’
বরগুনা পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার ইকবাল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আইয়ুব আলীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ সত্য নয়। এটা তারাই বলে যারা সঠিক নিয়মে আবেদন জমা দেন না।’
বরিশালের বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ঘুষের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কারও সংশ্লিষ্টতা আছে এমন অভিযোগ পেলে আমরা বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪