সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যমান সংবিধান নিয়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো বলছে, বিদ্যমান সংবিধানের কারণে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পেরেছেন। তাই ফ্যাসিস্ট-ব্যবস্থা বিলোপে বিদ্যমান সংবিধানের পুনর্লিখন, সংশোধন প্রয়োজন। তবে নতুন সংবিধান কীভাবে প্রণয়ন করা হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে মতবিরোধ। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অন্যতম জোট গণতন্ত্র মঞ্চেও এ নিয়ে চলছে সংকট।
গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছে ৬টি দল ও সংগঠন নিয়ে—নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। মঞ্চটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে। বিশেষত, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন হবে, নাকি পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন নয়; বরং সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের প্রস্তাব, নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন করতে হবে। সেখানেই নতুন সংবিধান অনুমোদন করা হবে।
একই সুরে কথা বলছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সংশোধনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। আর সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ বা সংবিধান সভা নির্বাচন প্রয়োজন।
এ নিয়ে রাস্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ শপথ নেয় সংবিধান রক্ষা করার জন্য। সংবিধানের কোনো মৌলিক সংস্কার তারা করতে পারে না। সংবিধানের কোনো পরিবর্তন যদি সংশোধনের নামে কেউ করে, তাহলে আদালত বা পরের সংসদ এটা বাতিল করে দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবর্তিত বিষয়গুলো যেন টেকসই হয়, তাই গণপরিষদ বা সংবিধান সংস্কার সভা চাই। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য সংবিধান সভার নির্বাচন লাগে। এই পদ্ধতির যারা বিরোধিতা করে, তারা অনেকে পদ্ধতিগত জায়গাটা সম্পর্কে স্পষ্টই নয়। স্পষ্ট হওয়ার পরেও যারা করে, তাদের আসলে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমরা চাই, সংস্কার যেন জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে হয়। এটাকে প্রধান করেই যেন আগামী নির্বাচনটা হয়। ফলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠাই হবে আগামী নির্বাচনের প্রধান লক্ষ্য।’ এ জন্য সংস্কার সভার নির্বাচন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
সাকি আরও বলেন, ‘সংস্কারের প্রশ্নে জনগণের ম্যান্ডেট থাকলে জন-অভিপ্রায় হিসেবে সংবিধান দাঁড়াবে। সেটা আদালত কর্তৃক সংশোধন হিসেবে গৃহীত হবে না। কিন্তু জনগণের অভিপ্রায়ের সংবিধানের ভিত্তি দিতে গেলে গণপরিষদ বা সংস্কার সভা হিসেবে জনগণ থেকে ম্যান্ডেট নিতে হবে।’
এদিকে একেবারে নতুন সংবিধান তৈরির প্রেক্ষাপট এই মুহূর্তে নেই বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য হওয়া কঠিন।’ তবে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন বা সংস্কারের পর সেই গণপরিষদ সংসদ হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে জানান তিনি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটা বিষয় নিয়েই বিতর্ক আছে। গণপরিষদের প্রশ্নে যাওয়া মানে সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান পুনর্লিখন। নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে পাকিস্তানের পাঁচ বছর লেগেছিল। বাংলাদেশের নতুন সংবিধান করতে এখন কত বছর লাগবে? এই সময় কি পাওয়া যাবে? যে সকল সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো সংশোধনীর মাধ্যমে ধীরে ধীরে করা যেতে পারে। তাই আমরা সংবিধান সভার কথা বলি না।’
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধান সংস্কার করবে—এমনটাই চান গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংবিধান নিয়ে আলোচনা করবে। কোথায় ঐকমত্যের জায়গা আছে, খুঁজে বের করবেন। সংবিধান সভার নির্বাচনের বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত নয়। সরকার সেখানেই দাঁড়াবে, যেখানে ঐকমত্য আছে।’
সংবিধান কীভাবে সংস্কার হবে, সেই সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ নেবে বলে জানিয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, তা পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। যদি সংবিধান পুনর্লিখন প্রয়োজন হয়, তবে তারা গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তা করবে। যদি মনে করে, সংশোধনের মাধ্যমেই সংস্কার সম্ভব, তবে তা-ই করবে।’
দলগুলোর নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সংস্কার পদ্ধতি প্রশ্নে মতবিরোধের কারণে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। একই সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে দূরত্ব। মতভিন্নতার বিষয়টি উঠে এসেছে নেতৃবৃন্দের আলোচনায়ও। তবে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে মঞ্চ ভাঙার অথবা একাধিক দল মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই সংবিধান প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। গত ৩০ ডিসেম্বর মঞ্চের সর্বশেষ মিটিংয়েও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ২৫ জানুয়ারি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আবারও মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছেন নেতা-কর্মীরা।
মতভিন্নতা প্রসঙ্গে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘সংস্কার কীভাবে হবে, তার পদ্ধতি নিয়ে মঞ্চের দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত আছে। আমরা আশা করি, শিগগির সেটা একটা জায়গায় পৌঁছাবে।’
সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এটা মতবিরোধ নয়। যার যার মত থাকতে পারে। আমরা চেষ্টা করব ঐকমত্যে পৌঁছাতে। শেষ পর্যন্ত না হলে যার যার রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা প্রচার করবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না মতভিন্নতা প্রসঙ্গে বলেন, দুটি দল ভিন্ন কথা বলছে। একটা দল বলছে, সংবিধান সভা ছাড়া হবেই না। আরেকটা দল বলছে, তারা ভাবছে, কী করা যায়।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, টানাপোড়েন আছে, এটা সত্য। তবে মোর্চা ভেঙে যাওয়া বা দুই ভাগ হওয়ার মতো পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সবারই একটা আন্তরিক চেষ্টা আছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যমান সংবিধান নিয়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো বলছে, বিদ্যমান সংবিধানের কারণে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পেরেছেন। তাই ফ্যাসিস্ট-ব্যবস্থা বিলোপে বিদ্যমান সংবিধানের পুনর্লিখন, সংশোধন প্রয়োজন। তবে নতুন সংবিধান কীভাবে প্রণয়ন করা হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে মতবিরোধ। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অন্যতম জোট গণতন্ত্র মঞ্চেও এ নিয়ে চলছে সংকট।
গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছে ৬টি দল ও সংগঠন নিয়ে—নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। মঞ্চটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে। বিশেষত, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন হবে, নাকি পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন নয়; বরং সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের প্রস্তাব, নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন করতে হবে। সেখানেই নতুন সংবিধান অনুমোদন করা হবে।
একই সুরে কথা বলছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সংশোধনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। আর সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ বা সংবিধান সভা নির্বাচন প্রয়োজন।
এ নিয়ে রাস্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ শপথ নেয় সংবিধান রক্ষা করার জন্য। সংবিধানের কোনো মৌলিক সংস্কার তারা করতে পারে না। সংবিধানের কোনো পরিবর্তন যদি সংশোধনের নামে কেউ করে, তাহলে আদালত বা পরের সংসদ এটা বাতিল করে দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবর্তিত বিষয়গুলো যেন টেকসই হয়, তাই গণপরিষদ বা সংবিধান সংস্কার সভা চাই। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য সংবিধান সভার নির্বাচন লাগে। এই পদ্ধতির যারা বিরোধিতা করে, তারা অনেকে পদ্ধতিগত জায়গাটা সম্পর্কে স্পষ্টই নয়। স্পষ্ট হওয়ার পরেও যারা করে, তাদের আসলে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমরা চাই, সংস্কার যেন জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে হয়। এটাকে প্রধান করেই যেন আগামী নির্বাচনটা হয়। ফলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠাই হবে আগামী নির্বাচনের প্রধান লক্ষ্য।’ এ জন্য সংস্কার সভার নির্বাচন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
সাকি আরও বলেন, ‘সংস্কারের প্রশ্নে জনগণের ম্যান্ডেট থাকলে জন-অভিপ্রায় হিসেবে সংবিধান দাঁড়াবে। সেটা আদালত কর্তৃক সংশোধন হিসেবে গৃহীত হবে না। কিন্তু জনগণের অভিপ্রায়ের সংবিধানের ভিত্তি দিতে গেলে গণপরিষদ বা সংস্কার সভা হিসেবে জনগণ থেকে ম্যান্ডেট নিতে হবে।’
এদিকে একেবারে নতুন সংবিধান তৈরির প্রেক্ষাপট এই মুহূর্তে নেই বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য হওয়া কঠিন।’ তবে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন বা সংস্কারের পর সেই গণপরিষদ সংসদ হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে জানান তিনি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটা বিষয় নিয়েই বিতর্ক আছে। গণপরিষদের প্রশ্নে যাওয়া মানে সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান পুনর্লিখন। নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে পাকিস্তানের পাঁচ বছর লেগেছিল। বাংলাদেশের নতুন সংবিধান করতে এখন কত বছর লাগবে? এই সময় কি পাওয়া যাবে? যে সকল সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো সংশোধনীর মাধ্যমে ধীরে ধীরে করা যেতে পারে। তাই আমরা সংবিধান সভার কথা বলি না।’
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধান সংস্কার করবে—এমনটাই চান গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংবিধান নিয়ে আলোচনা করবে। কোথায় ঐকমত্যের জায়গা আছে, খুঁজে বের করবেন। সংবিধান সভার নির্বাচনের বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত নয়। সরকার সেখানেই দাঁড়াবে, যেখানে ঐকমত্য আছে।’
সংবিধান কীভাবে সংস্কার হবে, সেই সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ নেবে বলে জানিয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, তা পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। যদি সংবিধান পুনর্লিখন প্রয়োজন হয়, তবে তারা গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তা করবে। যদি মনে করে, সংশোধনের মাধ্যমেই সংস্কার সম্ভব, তবে তা-ই করবে।’
দলগুলোর নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সংস্কার পদ্ধতি প্রশ্নে মতবিরোধের কারণে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। একই সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে দূরত্ব। মতভিন্নতার বিষয়টি উঠে এসেছে নেতৃবৃন্দের আলোচনায়ও। তবে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে মঞ্চ ভাঙার অথবা একাধিক দল মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই সংবিধান প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। গত ৩০ ডিসেম্বর মঞ্চের সর্বশেষ মিটিংয়েও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ২৫ জানুয়ারি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আবারও মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছেন নেতা-কর্মীরা।
মতভিন্নতা প্রসঙ্গে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘সংস্কার কীভাবে হবে, তার পদ্ধতি নিয়ে মঞ্চের দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত আছে। আমরা আশা করি, শিগগির সেটা একটা জায়গায় পৌঁছাবে।’
সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এটা মতবিরোধ নয়। যার যার মত থাকতে পারে। আমরা চেষ্টা করব ঐকমত্যে পৌঁছাতে। শেষ পর্যন্ত না হলে যার যার রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা প্রচার করবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না মতভিন্নতা প্রসঙ্গে বলেন, দুটি দল ভিন্ন কথা বলছে। একটা দল বলছে, সংবিধান সভা ছাড়া হবেই না। আরেকটা দল বলছে, তারা ভাবছে, কী করা যায়।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, টানাপোড়েন আছে, এটা সত্য। তবে মোর্চা ভেঙে যাওয়া বা দুই ভাগ হওয়ার মতো পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সবারই একটা আন্তরিক চেষ্টা আছে।
অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে ভ্যাট আরোপ, টিসিবির ট্রাকসেল বন্ধ ও ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল করার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গতকাল শুক্রবার দলটি বলেছে, ‘স্বৈরাচারী সরকারের মতো জনগণের পকেট কাটার নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।’
৮ ঘণ্টা আগেকেউ যদি এটা নিয়ে মনগড়া কথা বলে, এটা তাদের সমস্যা। এখানে মাইনাস টুর কথা যারা বলে, এটা তাদের আশা। এই আশা জীবনে পূরণ হবে না...
১১ ঘণ্টা আগেস্বৈরাচারের সহযোগীদের কোনো রাজনৈতিক দলে প্রবেশ করানো হলে, সেই দলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
১৪ ঘণ্টা আগেএমন কোনো দূরত্বের কিছু নাই। তারাও (জামায়াত) গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়। তারাও মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি। কিন্তু যদি কেউ কখনো বলে যে তারাই শুধু দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবেই। কথাটা ঠিক না। আমরা সবাই দেশপ্রেমিক...
১৪ ঘণ্টা আগে