শৈলেন্দ্র যশবন্ত
ভারতে সাধারণ নির্বাচন (লোকসভা) আসন্ন। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে নির্বাচন হওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ আত্মতুষ্টি ও হঠকারিতার কারণে সবাই একটা ফুটন্ত কড়াইয়ে আছে। এ কারণে এমনটাও ঘটতে পারে যেমনটা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের নভি মুম্বাইয়ে; প্রচণ্ড রোদে খোলা আকাশের নিচে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোকে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এটা বেশি দিন আগের কথা না। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের।
তবে সুখবর হলো, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জাতীয় জলবায়ু-সংক্রান্ত তথ্য একেবারে গ্রাম-পঞ্চায়েত পর্যায় থেকে নিতে শুরু করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে জলবায়ু সেবাবিষয়ক জাতীয় অবকাঠামো (এনএফসিএস)।
এই ‘মৌসামগ্রাম’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি প্রতিটি এলাকার জন্য আগামী ১০ দিনের এক ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা এবং ছয় ঘণ্টা অন্তর আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাবেন। নির্বাচনী প্রচার চলার সময়ে জনসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে এসব তথ্য কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হবে।
খারাপ খবর হলো, নির্বাচনী প্রচারে কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল দাবদাহ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব বা কারণ নিয়ে খুব কমই কথা বলছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা তাঁদের রাজনৈতিক বক্তব্যে মানবজাতির জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংকটকে উপেক্ষা করে চলেছেন।
দুঃখজনকভাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ভোটারদের অ্যাজেন্ডায়ও নেই। কেউই কাজের সুযোগ, বিদ্যুৎ এবং উন্নত অর্থনীতির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘটে চলা এবং আসন্ন দুর্যোগের বিপদের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে তা তুলে ধরতে রাজি নন। এমনকি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে নামেমাত্র উল্লেখ ছিল। কংগ্রেসের ৫৫ পৃষ্ঠার, ২২ হাজার ৯৯৭ শব্দের ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মাত্র ১ হাজার ৪৩টি শব্দ (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ছিল, যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ৪৫ পৃষ্ঠার, ১৮ হাজার ৩২৭ শব্দের ইশতেহারে জলবায়ুবিষয়ক মাত্র ১১৬টি শব্দ ছিল (শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ) ছিল। আশ্চর্যের বিষয়, উভয় ইশতেহারেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির কোনো উল্লেখই ছিল না।
নির্বাচনী প্রচারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চুপ থাকা পুরো বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে। এ বছর ৬০টির বেশি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো বড় বড় দূষণকারী দেশও রয়েছে। কিন্তু সাধারণ ভোটারদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন এখনো তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাঁদের তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক সমস্যার চেয়ে এটাকে কম জরুরি বলে মনে হচ্ছে। আশ্চর্যজনকভাবে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে পরিচিত ইউরোপীয় ইউনিয়নেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কম কাজ করা দলগুলোর দিকে ভোটারদের সমর্থন বাড়ছে, যা ইউরোপের জলবায়ু নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) পূর্বাভাস দিয়েছে যে ‘২০২৪ সালটি ২০২৩ সালের চেয়েও উষ্ণ হতে পারে।’ এ বছর গড় তাপমাত্রা সম্ভবত শিল্পবিপ্লবের আগের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হবে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসটি ১৯৪০-এর দশকের পর সবচেয়ে গরম ফেব্রুয়ারি হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট এল নিনো এবং প্রধানত জীবাশ্ম জ্বালানি জ্বালানোর কারণে টানা নয় মাস ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড হচ্ছে।
জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা জার্নাল ‘ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সট্রিমস’-এ প্রকাশিত ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুসারে, পাঁচ দশকে ভারতে সম্ভবত ৭০০টির বেশি দাবদাহ দেখা দিয়েছে, যাতে কমপক্ষে ১৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। সত্যি কথা হলো, ভারত পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দাবদাহের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য চরমভাবে অপ্রস্তুত। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাপকভাবে প্রচারিত রাজ্যের দাবদাহ প্রতিরোধবিষয়ক কর্মসূচিগুলো অপ্রতুল, অনুপযুক্ত এবং অনেক ক্ষেত্রে অকার্যকর। জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতই হবে প্রথম সেই জায়গা, যেখানে তাপমাত্রা এতটাই বাড়বে যে তা মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল, অনেক এলাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও নির্বাচনের আগে জনগণের মাঝে এসব নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। জনগণ জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে অস্বাভাবিক রকমের চুপচাপ। সাধারণ মানুষ বা নির্বাচনের প্রার্থী কেউই এগিয়ে এসে বলছেন না যে আসন্ন বিপর্যয়ের জন্য আমরা কতটা অপ্রস্তুত।
এই পরিস্থিতি বদলাতেই হবে। নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন রোধের পদক্ষেপগুলো অন্তর্ভুক্ত করার এবং ভোটারদের সব প্রতিশ্রুতি জলবায়ু পরিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করার সময় এসেছে। কারণ, এই নির্বাচনের শীর্ষ পাঁচটি অগ্রাধিকার—মূল্যস্ফীতি কমানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা দান, সমতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন—সবই জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
ভোটাররা যেন হঠাৎ করে ফুটন্ত কড়াইয়ে না পড়েন, তা দেখার দায়িত্ব আমাদেরই। নির্বাচনই হলো সেই সঠিক সময়, যখন আমরা জানতে পারি রাজনীতিবিদেরা ভবিষ্যতের জন্য কী কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাঁদের প্রতিশ্রুতিগুলো ফাঁপা হলেও কর্মসূচি ঠিক করে নেওয়ার এখনই সময়। আসলে যে কর্মসূচিতে থাকবে—পরিবেশ সহায়ক কর্মসংস্থান, পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো এবং সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো, পরবর্তী দাবদাহ থেকে রাজনীতিকেরা আমাদের কীভাবে বাঁচাবেন তার পন্থা নির্ধারণ।
শৈলেন্দ্র যশবন্ত
জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা, ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক, সাউথ এশিয়া
(ডেকান হেরাল্ডে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
ভারতে সাধারণ নির্বাচন (লোকসভা) আসন্ন। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে নির্বাচন হওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ আত্মতুষ্টি ও হঠকারিতার কারণে সবাই একটা ফুটন্ত কড়াইয়ে আছে। এ কারণে এমনটাও ঘটতে পারে যেমনটা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের নভি মুম্বাইয়ে; প্রচণ্ড রোদে খোলা আকাশের নিচে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোকে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এটা বেশি দিন আগের কথা না। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের।
তবে সুখবর হলো, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জাতীয় জলবায়ু-সংক্রান্ত তথ্য একেবারে গ্রাম-পঞ্চায়েত পর্যায় থেকে নিতে শুরু করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে জলবায়ু সেবাবিষয়ক জাতীয় অবকাঠামো (এনএফসিএস)।
এই ‘মৌসামগ্রাম’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি প্রতিটি এলাকার জন্য আগামী ১০ দিনের এক ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা এবং ছয় ঘণ্টা অন্তর আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাবেন। নির্বাচনী প্রচার চলার সময়ে জনসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে এসব তথ্য কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হবে।
খারাপ খবর হলো, নির্বাচনী প্রচারে কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল দাবদাহ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব বা কারণ নিয়ে খুব কমই কথা বলছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা তাঁদের রাজনৈতিক বক্তব্যে মানবজাতির জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংকটকে উপেক্ষা করে চলেছেন।
দুঃখজনকভাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ভোটারদের অ্যাজেন্ডায়ও নেই। কেউই কাজের সুযোগ, বিদ্যুৎ এবং উন্নত অর্থনীতির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘটে চলা এবং আসন্ন দুর্যোগের বিপদের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে তা তুলে ধরতে রাজি নন। এমনকি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে নামেমাত্র উল্লেখ ছিল। কংগ্রেসের ৫৫ পৃষ্ঠার, ২২ হাজার ৯৯৭ শব্দের ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মাত্র ১ হাজার ৪৩টি শব্দ (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ছিল, যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ৪৫ পৃষ্ঠার, ১৮ হাজার ৩২৭ শব্দের ইশতেহারে জলবায়ুবিষয়ক মাত্র ১১৬টি শব্দ ছিল (শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ) ছিল। আশ্চর্যের বিষয়, উভয় ইশতেহারেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির কোনো উল্লেখই ছিল না।
নির্বাচনী প্রচারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চুপ থাকা পুরো বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে। এ বছর ৬০টির বেশি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো বড় বড় দূষণকারী দেশও রয়েছে। কিন্তু সাধারণ ভোটারদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন এখনো তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাঁদের তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক সমস্যার চেয়ে এটাকে কম জরুরি বলে মনে হচ্ছে। আশ্চর্যজনকভাবে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে পরিচিত ইউরোপীয় ইউনিয়নেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কম কাজ করা দলগুলোর দিকে ভোটারদের সমর্থন বাড়ছে, যা ইউরোপের জলবায়ু নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) পূর্বাভাস দিয়েছে যে ‘২০২৪ সালটি ২০২৩ সালের চেয়েও উষ্ণ হতে পারে।’ এ বছর গড় তাপমাত্রা সম্ভবত শিল্পবিপ্লবের আগের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হবে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসটি ১৯৪০-এর দশকের পর সবচেয়ে গরম ফেব্রুয়ারি হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট এল নিনো এবং প্রধানত জীবাশ্ম জ্বালানি জ্বালানোর কারণে টানা নয় মাস ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড হচ্ছে।
জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা জার্নাল ‘ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সট্রিমস’-এ প্রকাশিত ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুসারে, পাঁচ দশকে ভারতে সম্ভবত ৭০০টির বেশি দাবদাহ দেখা দিয়েছে, যাতে কমপক্ষে ১৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। সত্যি কথা হলো, ভারত পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দাবদাহের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য চরমভাবে অপ্রস্তুত। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাপকভাবে প্রচারিত রাজ্যের দাবদাহ প্রতিরোধবিষয়ক কর্মসূচিগুলো অপ্রতুল, অনুপযুক্ত এবং অনেক ক্ষেত্রে অকার্যকর। জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতই হবে প্রথম সেই জায়গা, যেখানে তাপমাত্রা এতটাই বাড়বে যে তা মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল, অনেক এলাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও নির্বাচনের আগে জনগণের মাঝে এসব নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। জনগণ জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে অস্বাভাবিক রকমের চুপচাপ। সাধারণ মানুষ বা নির্বাচনের প্রার্থী কেউই এগিয়ে এসে বলছেন না যে আসন্ন বিপর্যয়ের জন্য আমরা কতটা অপ্রস্তুত।
এই পরিস্থিতি বদলাতেই হবে। নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন রোধের পদক্ষেপগুলো অন্তর্ভুক্ত করার এবং ভোটারদের সব প্রতিশ্রুতি জলবায়ু পরিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করার সময় এসেছে। কারণ, এই নির্বাচনের শীর্ষ পাঁচটি অগ্রাধিকার—মূল্যস্ফীতি কমানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা দান, সমতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন—সবই জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
ভোটাররা যেন হঠাৎ করে ফুটন্ত কড়াইয়ে না পড়েন, তা দেখার দায়িত্ব আমাদেরই। নির্বাচনই হলো সেই সঠিক সময়, যখন আমরা জানতে পারি রাজনীতিবিদেরা ভবিষ্যতের জন্য কী কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাঁদের প্রতিশ্রুতিগুলো ফাঁপা হলেও কর্মসূচি ঠিক করে নেওয়ার এখনই সময়। আসলে যে কর্মসূচিতে থাকবে—পরিবেশ সহায়ক কর্মসংস্থান, পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো এবং সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো, পরবর্তী দাবদাহ থেকে রাজনীতিকেরা আমাদের কীভাবে বাঁচাবেন তার পন্থা নির্ধারণ।
শৈলেন্দ্র যশবন্ত
জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা, ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক, সাউথ এশিয়া
(ডেকান হেরাল্ডে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে