আজাদুল আদনান, ঢাকা
দেশে বর্তমানে কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি সমস্যায় ভুগছে। প্রতিবছর নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে আরও প্রায় দুই লাখ। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়ছে। নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা। কিন্তু তা হওয়ার নয়!
কারণ, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ও কিডনি প্রতিস্থাপনের যে সুবিধা আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় ভয়াবহ রকমের কম। কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বছরে মাত্র ১০ শতাংশ রোগীর ডায়ালাইসিস করা যায়। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ রোগীকে ডায়ালাইসিসের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়। এমন দুরবস্থার মধ্যেই ‘সকলের জন্য কিডনি সেবা’ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস।
কিডনি প্রতিস্থাপনের অবস্থা আরও খারাপ। করোনায় তা আরও কমেছে। গত এক বছরে দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রতিস্থাপনযোগ্য রোগীদের মধ্যে কিডনি সংযোজন হয়েছে সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের। অথচ দেশে বছরে পাঁচ হাজারের বেশি কিডনি প্রতিস্থাপনের চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সাল থেকে স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ঢাকার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট (এনকেআই) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস দেওয়া শুরু করে।
এই যৌথ উদ্যোগে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি ডায়ালাইসিসে খরচ হয় ৫১০ টাকা। আর ভর্তুকি ছাড়া ২ হাজার ৭৯৬ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে এই ব্যয় ৭-৮ গুণ বেশি।
এক যুগ ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন ঝিনাইদহের বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম (৬৭)। দুটি কিডনিই এখন বিকল। বর্তমানে রাজধানীর জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও ইউরোলজি (নিকডু) স্যানডোরে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করছেন তিনি। সপ্তাহে দুবার করে ডায়ালাইসিস করতে হতো তাঁকে।
আজকের পত্রিকাকে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগেও ডায়ালাইসিস বাবদ মাসে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় হলেও এখন ১০ হাজারের বেশি খরচ হয়। ওষুধ আর অন্য খরচসহ মাসে ডায়ালাইসিস বাবদ তার ৪০ হাজারের টাকার বেশি খবর হয়। এ চিকিৎসা করতে গিয়ে পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রোগীর তুলনায় কিডনি রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা যথেষ্ট অপর্যাপ্ত। সমন্বয়হীনতা, প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সরকারি হাসপাতালে কিডনি চিকিৎসা অপ্রতুল বলে জানান তিনি।
রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতাল সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির (সিকেডি) প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে বছরে পাঁচ-ছয় হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করা দরকার। অথচ হয় ২৫০-এর মতো। এখন পর্যন্ত দেশে যত কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে, তার ৭৩ ভাগই বেসরকারি আর মাত্র ২৭ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরকারি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের সংখ্যা নামমাত্র হলেও খরচ তুলনামূলক কম। এতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ব্যয় হয় দেড় লাখ টাকার মতো। আর বেসরকারিতে তা সর্বনিম্ন আড়াই থেকে তিন লাখ।
দেশে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের কিডনি সমস্যা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। মোট আক্রান্তের ৪০-৪৫ ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউয়ের শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম।
এ অবস্থায় সরকার এগিয়ে না এলে অধিকাংশ কিডনি রোগী চিকিৎসার বাইরে থেকে যাবেন। তাই সাধারণ মানুষ যেন সুলভে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারেন, সে জন্য সরকারকেই বড় দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে বর্তমানে কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি সমস্যায় ভুগছে। প্রতিবছর নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে আরও প্রায় দুই লাখ। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়ছে। নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা। কিন্তু তা হওয়ার নয়!
কারণ, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ও কিডনি প্রতিস্থাপনের যে সুবিধা আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় ভয়াবহ রকমের কম। কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বছরে মাত্র ১০ শতাংশ রোগীর ডায়ালাইসিস করা যায়। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ রোগীকে ডায়ালাইসিসের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়। এমন দুরবস্থার মধ্যেই ‘সকলের জন্য কিডনি সেবা’ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস।
কিডনি প্রতিস্থাপনের অবস্থা আরও খারাপ। করোনায় তা আরও কমেছে। গত এক বছরে দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রতিস্থাপনযোগ্য রোগীদের মধ্যে কিডনি সংযোজন হয়েছে সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের। অথচ দেশে বছরে পাঁচ হাজারের বেশি কিডনি প্রতিস্থাপনের চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সাল থেকে স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ঢাকার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট (এনকেআই) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস দেওয়া শুরু করে।
এই যৌথ উদ্যোগে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি ডায়ালাইসিসে খরচ হয় ৫১০ টাকা। আর ভর্তুকি ছাড়া ২ হাজার ৭৯৬ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে এই ব্যয় ৭-৮ গুণ বেশি।
এক যুগ ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন ঝিনাইদহের বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম (৬৭)। দুটি কিডনিই এখন বিকল। বর্তমানে রাজধানীর জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও ইউরোলজি (নিকডু) স্যানডোরে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করছেন তিনি। সপ্তাহে দুবার করে ডায়ালাইসিস করতে হতো তাঁকে।
আজকের পত্রিকাকে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগেও ডায়ালাইসিস বাবদ মাসে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় হলেও এখন ১০ হাজারের বেশি খরচ হয়। ওষুধ আর অন্য খরচসহ মাসে ডায়ালাইসিস বাবদ তার ৪০ হাজারের টাকার বেশি খবর হয়। এ চিকিৎসা করতে গিয়ে পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রোগীর তুলনায় কিডনি রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা যথেষ্ট অপর্যাপ্ত। সমন্বয়হীনতা, প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সরকারি হাসপাতালে কিডনি চিকিৎসা অপ্রতুল বলে জানান তিনি।
রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতাল সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির (সিকেডি) প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে বছরে পাঁচ-ছয় হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করা দরকার। অথচ হয় ২৫০-এর মতো। এখন পর্যন্ত দেশে যত কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে, তার ৭৩ ভাগই বেসরকারি আর মাত্র ২৭ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরকারি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের সংখ্যা নামমাত্র হলেও খরচ তুলনামূলক কম। এতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ব্যয় হয় দেড় লাখ টাকার মতো। আর বেসরকারিতে তা সর্বনিম্ন আড়াই থেকে তিন লাখ।
দেশে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের কিডনি সমস্যা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। মোট আক্রান্তের ৪০-৪৫ ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউয়ের শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম।
এ অবস্থায় সরকার এগিয়ে না এলে অধিকাংশ কিডনি রোগী চিকিৎসার বাইরে থেকে যাবেন। তাই সাধারণ মানুষ যেন সুলভে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারেন, সে জন্য সরকারকেই বড় দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে