আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে চলতি মৌসুমে উৎপাদিত আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। বাড়িতে আলু স্তূপাকারে রাখা হলেও মিলছে না পাইকার। লাভ তো হচ্ছেই না বরং উৎপাদন খরচ তোলা নিয়েই সংশয়ে রয়েছেন হাজারো কৃষক। এ অবস্থায় অবিক্রীত আলু সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। সংরক্ষণ করা অনেকের আলুতে পচনও ধরেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। এবার মৌসুমের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের আলুতে সিরাজদিখান উপজেলার হিমাগারগুলো ভরে যাওয়ায় এই উপজেলার বেশির ভাগ কৃষক আলু হিমাগারে রাখতে পারেননি। সংরক্ষণ করতে না পারায় অনেকের আলুতে পচন ধরতে শুরু করেছে। পাইকার না পাওয়ায় আলু বিক্রি নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তাঁরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। এ বছর ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ২৫০ হেক্টর কম আবাদ হয়।
জানা যায়, উপজেলার হিমাগারগুলোতে উত্তরবঙ্গের আলু মজুত করায় এই উপজেলার উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না কৃষকেরা। আলুর উৎপাদন খরচ মণপ্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা হলেও বর্তমানে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে না। আবার পাইকার না পাওয়ায় উৎপাদিত আলু এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছর সিরাজদিখানে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। দ্বিতীয়বার যে আলু রোপণ করা হয়, সে বীজের মানও খারাপ ছিল। এতেই বিপাকে পড়েন কৃষকেরা।
গোবরদী গ্রামের কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, ‘আমি এবার ৩০ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করছি। দুইবারে আমার খরচ হয়েছে ২১ লাখ টাকার মতো। এবার যে পরিমাণ আলু হয়েছে তাতে আমার এই টাকা উঠবে না। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে আলুতে পচন ধরেছে। আমি ২২৫ বস্তা আলু ৩০০ টাকা দরে প্রতি মণ (৪০ কেজি) বিক্রি করেছি। কিন্তু এতে আমার ২০০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। ৫০০ টাকার ওপরে আমাদের খরচ হয়েছে। দুইবারে আলু রোপণ করতে হয়েছে। এতে করে এবারও অনেক টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’
আরেক কৃষক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পাশের এক কৃষকের আলুতে পচন ধরেছে, এটা দেখে আমার আলু বিক্রি করে ফেলেছি। আমি ৩০০ টাকা দরে আলু বিক্রি করেছি। আমার অনেক টাকার লোকসান হলো। এবার কী হবে আমাদের, আল্লাহই ভালো জানেন।’
আরও কয়েকজন কৃষক জানান, মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টিতে আলু নষ্ট হলে দ্বিতীয় দফায় ধারদেনা করে আবাদ করেন। এতে উৎপাদন খরচ হয় দ্বিগুণ। উপরন্তু আলুর ফলন কম ও মান ভালো না হওয়ায় উভয়সংকটে পড়েন তাঁরা। আলু চাষাবাদ করে তাঁরা এবার লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আলু আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিচ্ছি লাভজনক ভুট্টা, হাইব্রিড বোরো ধান ও শাকসবজি চাষ করতে। এ ছাড়া ডাল ও তেলজাতীয় ফসল চাষ করার বিষয়ে প্রশিক্ষণের কথা আমরা বলি। কিন্তু আলু মুন্সিগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী ফসল। কৃষক লাভ-লোকসানটাকে কিছুই মনে করেন না। তাঁরা মনে করেন ঐতিহ্যটা ধরে রাখবেন।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে চলতি মৌসুমে উৎপাদিত আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। বাড়িতে আলু স্তূপাকারে রাখা হলেও মিলছে না পাইকার। লাভ তো হচ্ছেই না বরং উৎপাদন খরচ তোলা নিয়েই সংশয়ে রয়েছেন হাজারো কৃষক। এ অবস্থায় অবিক্রীত আলু সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। সংরক্ষণ করা অনেকের আলুতে পচনও ধরেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। এবার মৌসুমের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের আলুতে সিরাজদিখান উপজেলার হিমাগারগুলো ভরে যাওয়ায় এই উপজেলার বেশির ভাগ কৃষক আলু হিমাগারে রাখতে পারেননি। সংরক্ষণ করতে না পারায় অনেকের আলুতে পচন ধরতে শুরু করেছে। পাইকার না পাওয়ায় আলু বিক্রি নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তাঁরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। এ বছর ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ২৫০ হেক্টর কম আবাদ হয়।
জানা যায়, উপজেলার হিমাগারগুলোতে উত্তরবঙ্গের আলু মজুত করায় এই উপজেলার উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না কৃষকেরা। আলুর উৎপাদন খরচ মণপ্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা হলেও বর্তমানে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে না। আবার পাইকার না পাওয়ায় উৎপাদিত আলু এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছর সিরাজদিখানে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। দ্বিতীয়বার যে আলু রোপণ করা হয়, সে বীজের মানও খারাপ ছিল। এতেই বিপাকে পড়েন কৃষকেরা।
গোবরদী গ্রামের কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, ‘আমি এবার ৩০ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করছি। দুইবারে আমার খরচ হয়েছে ২১ লাখ টাকার মতো। এবার যে পরিমাণ আলু হয়েছে তাতে আমার এই টাকা উঠবে না। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে আলুতে পচন ধরেছে। আমি ২২৫ বস্তা আলু ৩০০ টাকা দরে প্রতি মণ (৪০ কেজি) বিক্রি করেছি। কিন্তু এতে আমার ২০০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। ৫০০ টাকার ওপরে আমাদের খরচ হয়েছে। দুইবারে আলু রোপণ করতে হয়েছে। এতে করে এবারও অনেক টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’
আরেক কৃষক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পাশের এক কৃষকের আলুতে পচন ধরেছে, এটা দেখে আমার আলু বিক্রি করে ফেলেছি। আমি ৩০০ টাকা দরে আলু বিক্রি করেছি। আমার অনেক টাকার লোকসান হলো। এবার কী হবে আমাদের, আল্লাহই ভালো জানেন।’
আরও কয়েকজন কৃষক জানান, মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টিতে আলু নষ্ট হলে দ্বিতীয় দফায় ধারদেনা করে আবাদ করেন। এতে উৎপাদন খরচ হয় দ্বিগুণ। উপরন্তু আলুর ফলন কম ও মান ভালো না হওয়ায় উভয়সংকটে পড়েন তাঁরা। আলু চাষাবাদ করে তাঁরা এবার লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আলু আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিচ্ছি লাভজনক ভুট্টা, হাইব্রিড বোরো ধান ও শাকসবজি চাষ করতে। এ ছাড়া ডাল ও তেলজাতীয় ফসল চাষ করার বিষয়ে প্রশিক্ষণের কথা আমরা বলি। কিন্তু আলু মুন্সিগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী ফসল। কৃষক লাভ-লোকসানটাকে কিছুই মনে করেন না। তাঁরা মনে করেন ঐতিহ্যটা ধরে রাখবেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে