উপল বড়ুয়া, ঢাকা
কান্না বড় সংক্রামক। একজনের কান্না আরেকজনকে ছুঁয়ে যাবে—এর চেয়ে আবেগের ভালো বহিঃপ্রকাশ আর কি হতে পারে? রজার ফেদেরার কাঁদছেন, সেই কান্না স্পর্শ করে যাচ্ছে তাঁরই পাশে বসা আরেক টেনিস মহাতারকা রাফায়েল নাদালকে। পাশাপাশি বসা দুই কিংবদন্তির ভেজা চোখ শুধু টেনিসেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেটা ছুঁয়ে গেছে পুরো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকে। একটা আইকনিক ছবির জন্মও হয়ে গেল ‘রাজা’র বিদায়ে।
ফেদেরারের বিদায় উৎসবে কোনো মাতম নয়; পরশু রাতে সেন্টার কোর্টে বেজেছে আনন্দ আর বিষাদের বিউগল। ব্রিটিশ গায়িকা এলি গোল্ডিংয়ের সুরের মূর্ছনা যেন আরও দ্যোতনা দিয়েছিল ‘টেনিসের রাজা’র বিদায়ের ক্ষণকে।
এক সপ্তাহ আগে পেশাদার টেনিস থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন ফেদেরার। জানিয়েছিলেন, রড লেভার কাপই হতে যাচ্ছে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। সুইস মহাতারকাকে বিদায় দিতে লন্ডনে বসেছিল তারার হাট। লম্বা সময় পর একসঙ্গে দেখা গেল টেনিসের ‘বিগ ফোর’কে। টিম ইউরোপের হয়ে খেলতে এলেন রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ আর অ্যান্ডি মারে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগ থেকেই আলোচনায় তাঁরা। একসঙ্গে একই পোশাকে নৈশভোজ থেকে ফটোসেশন—হাস্যোজ্জ্বল মুখে সবার মধ্যমণি হয়ে থাকলেন ফেদেরার।
কিন্তু চিরচেনা সেই হাসি ছাপিয়ে কান্নার জলই যেন বাধ ভেঙে পড়ল ওটু অ্যারেনায়। ফেদেরারের বিদায়ে কে কাঁদেনি? ৪১ বছর বয়সী কিংবদন্তির র্যাকেট হাতে শেষবারের মতো দেখতে আসা হাজার দর্শকের অশ্রুভেজা চোখ খুঁজে নিচ্ছিল ক্যামেরা। নাদাল, জোকোভিচ, সিৎসিফাসসহ কাছে থাকা সবাইকে গলায় জড়িয়ে কাঁদলেন ‘ফেডেক্স’। বিদায়ের কথা বলতে গিয়ে কান্না লুকোতে পারেননি তিনি, ‘এটা অসাধারণ দিন। আমি খুশি, খারাপ লাগছে না।’ বলতে বলতে কান্নার বেগ আরও বেড়ে গেল তাঁর।
২৫ বছরের ক্যারিয়ারে সিঙ্গেল ও ডাবলস মিলিয়ে ১৭৫০টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা হলো ফেদেরারের। তবে গত এক বছর কোনো লড়াইয়ে দেখা যায়নি তাঁকে। বিদায় টুর্নামেন্টে তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নাদালের সঙ্গে জুটি বেঁধে কোর্টে নামবেন। টিম ইউরোপের হয়ে খেলতে নেমে ‘ফেদেল’ জুটি অবশ্য ৪-৬, ৭-৬ (৭-২), ১১-৯ গেমে হেরেছে টিম ওয়ার্ল্ডের জ্যাক সক ও ফ্রান্সিস তিয়াফোর কাছে। তবে লেভার কাপের উদ্বোধনী দিনে দুই কিংবদন্তির বিপক্ষে তাঁদের এই জয়ও মলিন হয়ে গেল মুহূর্তেই। রঙবেরঙের সব আলো তখন ঠিকরে পড়েছে ফেদেরারের ওপর। দর্শকেরা দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানালেন রাজাকে। ঘুরে ঘুরে হাত নাড়লেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।
কান্না চেপে রাখতে পারেননি নাদালও। হারের চেয়েও স্প্যানিশ তারকার কষ্টের কারণ, বন্ধুর বিদায়। কোর্টে তাঁদের পরিচয় দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। ২০০৪-২০১৯ পর্যন্ত দুজনে ৪০ বার মুখোমুখি হয়েছেন। তবে দিন শেষে যে ফেদেরারের বন্ধু তিনি। বন্ধুর বিদায়ের পর লেভার কাপ থেকে নিজেকেও সরিয়ে নিয়েছেন নাদাল। বন্ধুকে নিয়ে বলতে গিয়ে চোখের জল আটকাতে পারেননি সর্বোচ্চ ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক, ‘রজারের অবসর মানে আমার জীবন থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের অবসান। এটা আবেগের, অবিস্মরণীয়, দুঃখের ও অবর্ণনীয়।’
ফেদেরারের বিদায়ের ঘোষণা ছুঁয়ে গিয়েছিল ক্রীড়া বিশ্বের মহাতারকাদের। আর ফেদেরার-নাদালের কান্না দেখে আপ্লুত বিরাট কোহলি-বাবর আজমদের মতো ক্রিকেট তারকারা। তাঁর বিদায় যেন সবাইকে এক সুতোয় বেঁধে দিল। এ যেন বিদায় নয়, ইতিহাসের এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। তবে সমাপ্তি কি হচ্ছে শেষ পর্যন্ত? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পের মতো কিছুটা রহস্য রেখে দিলেন ফেদেরার, ‘সবকিছু এখানে শেষ নয়। জীবন জীবনের মতো চলে যায়। এটা সময়ের একটি মুহূর্ত মাত্র।’
যাঁরা ভাবছেন ফেদেরার অবসর ভেঙে ফিরবেন, তাঁদের আশা হয়তো পূরণ হবে না। তবে পেশাদারি টেনিসকে বিদায় জানালেও তিনি মাঝেমধ্যে কোর্টে নামার বার্তা দিয়েছেন। হয়তো এমন কোথাও গিয়ে খেলবেন যেখানে আগে কখনো তাঁর পদচিহ্ন পড়েনি।
কান্না বড় সংক্রামক। একজনের কান্না আরেকজনকে ছুঁয়ে যাবে—এর চেয়ে আবেগের ভালো বহিঃপ্রকাশ আর কি হতে পারে? রজার ফেদেরার কাঁদছেন, সেই কান্না স্পর্শ করে যাচ্ছে তাঁরই পাশে বসা আরেক টেনিস মহাতারকা রাফায়েল নাদালকে। পাশাপাশি বসা দুই কিংবদন্তির ভেজা চোখ শুধু টেনিসেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেটা ছুঁয়ে গেছে পুরো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকে। একটা আইকনিক ছবির জন্মও হয়ে গেল ‘রাজা’র বিদায়ে।
ফেদেরারের বিদায় উৎসবে কোনো মাতম নয়; পরশু রাতে সেন্টার কোর্টে বেজেছে আনন্দ আর বিষাদের বিউগল। ব্রিটিশ গায়িকা এলি গোল্ডিংয়ের সুরের মূর্ছনা যেন আরও দ্যোতনা দিয়েছিল ‘টেনিসের রাজা’র বিদায়ের ক্ষণকে।
এক সপ্তাহ আগে পেশাদার টেনিস থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন ফেদেরার। জানিয়েছিলেন, রড লেভার কাপই হতে যাচ্ছে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। সুইস মহাতারকাকে বিদায় দিতে লন্ডনে বসেছিল তারার হাট। লম্বা সময় পর একসঙ্গে দেখা গেল টেনিসের ‘বিগ ফোর’কে। টিম ইউরোপের হয়ে খেলতে এলেন রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ আর অ্যান্ডি মারে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগ থেকেই আলোচনায় তাঁরা। একসঙ্গে একই পোশাকে নৈশভোজ থেকে ফটোসেশন—হাস্যোজ্জ্বল মুখে সবার মধ্যমণি হয়ে থাকলেন ফেদেরার।
কিন্তু চিরচেনা সেই হাসি ছাপিয়ে কান্নার জলই যেন বাধ ভেঙে পড়ল ওটু অ্যারেনায়। ফেদেরারের বিদায়ে কে কাঁদেনি? ৪১ বছর বয়সী কিংবদন্তির র্যাকেট হাতে শেষবারের মতো দেখতে আসা হাজার দর্শকের অশ্রুভেজা চোখ খুঁজে নিচ্ছিল ক্যামেরা। নাদাল, জোকোভিচ, সিৎসিফাসসহ কাছে থাকা সবাইকে গলায় জড়িয়ে কাঁদলেন ‘ফেডেক্স’। বিদায়ের কথা বলতে গিয়ে কান্না লুকোতে পারেননি তিনি, ‘এটা অসাধারণ দিন। আমি খুশি, খারাপ লাগছে না।’ বলতে বলতে কান্নার বেগ আরও বেড়ে গেল তাঁর।
২৫ বছরের ক্যারিয়ারে সিঙ্গেল ও ডাবলস মিলিয়ে ১৭৫০টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা হলো ফেদেরারের। তবে গত এক বছর কোনো লড়াইয়ে দেখা যায়নি তাঁকে। বিদায় টুর্নামেন্টে তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নাদালের সঙ্গে জুটি বেঁধে কোর্টে নামবেন। টিম ইউরোপের হয়ে খেলতে নেমে ‘ফেদেল’ জুটি অবশ্য ৪-৬, ৭-৬ (৭-২), ১১-৯ গেমে হেরেছে টিম ওয়ার্ল্ডের জ্যাক সক ও ফ্রান্সিস তিয়াফোর কাছে। তবে লেভার কাপের উদ্বোধনী দিনে দুই কিংবদন্তির বিপক্ষে তাঁদের এই জয়ও মলিন হয়ে গেল মুহূর্তেই। রঙবেরঙের সব আলো তখন ঠিকরে পড়েছে ফেদেরারের ওপর। দর্শকেরা দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানালেন রাজাকে। ঘুরে ঘুরে হাত নাড়লেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।
কান্না চেপে রাখতে পারেননি নাদালও। হারের চেয়েও স্প্যানিশ তারকার কষ্টের কারণ, বন্ধুর বিদায়। কোর্টে তাঁদের পরিচয় দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। ২০০৪-২০১৯ পর্যন্ত দুজনে ৪০ বার মুখোমুখি হয়েছেন। তবে দিন শেষে যে ফেদেরারের বন্ধু তিনি। বন্ধুর বিদায়ের পর লেভার কাপ থেকে নিজেকেও সরিয়ে নিয়েছেন নাদাল। বন্ধুকে নিয়ে বলতে গিয়ে চোখের জল আটকাতে পারেননি সর্বোচ্চ ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক, ‘রজারের অবসর মানে আমার জীবন থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের অবসান। এটা আবেগের, অবিস্মরণীয়, দুঃখের ও অবর্ণনীয়।’
ফেদেরারের বিদায়ের ঘোষণা ছুঁয়ে গিয়েছিল ক্রীড়া বিশ্বের মহাতারকাদের। আর ফেদেরার-নাদালের কান্না দেখে আপ্লুত বিরাট কোহলি-বাবর আজমদের মতো ক্রিকেট তারকারা। তাঁর বিদায় যেন সবাইকে এক সুতোয় বেঁধে দিল। এ যেন বিদায় নয়, ইতিহাসের এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। তবে সমাপ্তি কি হচ্ছে শেষ পর্যন্ত? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পের মতো কিছুটা রহস্য রেখে দিলেন ফেদেরার, ‘সবকিছু এখানে শেষ নয়। জীবন জীবনের মতো চলে যায়। এটা সময়ের একটি মুহূর্ত মাত্র।’
যাঁরা ভাবছেন ফেদেরার অবসর ভেঙে ফিরবেন, তাঁদের আশা হয়তো পূরণ হবে না। তবে পেশাদারি টেনিসকে বিদায় জানালেও তিনি মাঝেমধ্যে কোর্টে নামার বার্তা দিয়েছেন। হয়তো এমন কোথাও গিয়ে খেলবেন যেখানে আগে কখনো তাঁর পদচিহ্ন পড়েনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪