কোরবানির অসামান্য ফজিলত

মুফতি আবু দারদা
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ১৩: ৩৫
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ১৬: ৩৬

কোরবানি শব্দটি ফারসি। এর আরবি প্রতিশব্দ উদহিয়্যাহ। অর্থ উৎসর্গ করা। জিলহজ মাসের নির্ধারিত দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাইকে ইসলামে কোরবানি বলা হয়। জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে কোরবানি করা আবশ্যক। হাদিসে কোরবানির অসামান্য সব ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি ফজিলতের কথা তুলে ধরা হলো:

হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরবানির ঈদের দিন মানুষের নেক আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানি করা। জবাই করা জন্তু কেয়ামতের ময়দানে শিং, লোম, খুরসহ এসে হাজির হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা খুশি মনে আনন্দচিত্তে কোরবানি করো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩১২৬)

প্রতি পশমে সওয়াব: হাদিসে বলা হয়েছে, কোরবানির সওয়াব সম্পর্কে সাহাবিদের জিজ্ঞাসার জবাবে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে সওয়াব দেওয়া হবে।’ সাহাবায়ে-কেরাম আরজ করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পশমের বিনিময়েও কি এত পরিমাণ সওয়াব আছে?’ রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে সওয়াব দেওয়া হবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩২৪৭)

গুনাহের ক্ষমা: হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ফাতিমা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি তোমার কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থানে উপস্থিত থাকো। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমার অতীতের সব গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন।…’ (মুস্তাদরাক হাকিম: ৭৬৩৩)

জাহান্নাম থেকে মুক্তি: হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি খুশি মনে সওয়াবের আশায় পশু কোরবানি করবে, ওই জবাই করা পশু কোরবানিদাতার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে।’ (আল-মুজামুল কাবির: ২৬৭০) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত