মোমেনুর রশিদ সাগর, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)
একটা সময় মানুষের ব্যবহার্য পণ্যের প্রায় সবটাই ছিল মৃৎশিল্পনির্ভর। সময়ের ব্যবধানে সে স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের দ্রব্য। তারপরেও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পলাশবাড়ীর পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে পৌরশহরের হিজলগাড়ী গ্রামে দেখা যায়, পৈত্রিক পেশা-ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে দিন-রাত লড়াই করে যাচ্ছেন পালপাড়ার প্রতিটি বাড়ির মৃৎশিল্পী নারী-পুরুষেরা। কেউ ব্লেড দিয়ে মাটি কেটে পানি মিশে ছানছেন, কেউবা সেই মাটি দিয়ে যান্ত্রিক মেশিনে তৈরি করছেন বিভিন্ন পণ্য, কেউবা সেগুলো রোদে শুকাতে ব্যস্ত, কেউ রঙে রাঙিয়ে তোলার কাজ করছেন, আবার কেউ সেগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী রূপান্তরের লক্ষ্যে আগুনে পুড়ছেন।
এদেরই একজন ষাটোর্ধ্ব পুলিন চন্দ্র পাল। এ বয়সে বিদ্যুৎচালিত মেশিনে বসে তৈরি করছেন ফুলদানিসহ পূজাকেন্দ্রিক বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী। পাশেই রঙের কাজে ব্যস্ত তাঁর স্ত্রী মধু রানী। অন্যদিকে স্ত্রী ঝর্ণা রানীকে নিয়ে রং করা পণ্যগুলো আগুনে পোড়াচ্ছেন ওই দম্পতির ছেলে খোকন চন্দ্র পাল। শেবেন চন্দ্র পাল নামে এ দম্পতির আরও এক ছেলেসহ পরিবারের সদস্যসংখ্যা ১০ জন। এ পেশাতেই মিটছে পরিবারটির মৌলিক চাহিদা।
পুলিন চন্দ্র বলেন, ‘আগে ভাঁড়ে মাটির তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে গ্রামে-গ্রামে বিক্রি করতাম। এর মধ্যে ছিল মাটির হাঁড়ি, কলসি, বাসন, সানকি, পাতিল, মিষ্টি-দইয়ের পাতিল, বাটি, মাটির ব্যাংক, ফুলদানি, ছাইদনি, কলমদানি, ধুপদানি ও পুতুলসহ নানা খেলনাসামগ্রী। বর্তমানে এসব সামগ্রীর পুরোটাই দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি দ্রব্যাদি।’
ছেলে খোকন চন্দ্র পাল জানান, ‘প্রথমে পণ্য তৈরির উপযুক্ত মাটি সংগ্রহ করতে হয়। এরপর ভালোভাবে কেটে ও ছানার পর তা দিয়ে নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরি করতে হয়। এরপর আকাশ মেঘলা না থাকলে শুকানোর জন্য দুদিনের রোদ যথেষ্ট। এরপর শুরু হয় রং করার পালা। শেষে টানা তিন ঘণ্টা আগুনে পুড়িয়ে তা ব্যবহারের উপযুক্ত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ফুলের টব আকার ভেদে ৬ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে নার্সারি মালিকদের ক্ষেত্রে হাজার প্রতি দাম কম রাখা হয়। এ ছাড়া দইয়ের খুঁটি প্রতি হাজার ১৬শ টাকা এবং দইয়ের প্রতিটি সরা (বড় খুঁটি) ৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান নয়ন জানান, মৃৎশিল্পীরা চাইলে তাদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া করোনার সময় তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছে।
একটা সময় মানুষের ব্যবহার্য পণ্যের প্রায় সবটাই ছিল মৃৎশিল্পনির্ভর। সময়ের ব্যবধানে সে স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের দ্রব্য। তারপরেও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পলাশবাড়ীর পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে পৌরশহরের হিজলগাড়ী গ্রামে দেখা যায়, পৈত্রিক পেশা-ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে দিন-রাত লড়াই করে যাচ্ছেন পালপাড়ার প্রতিটি বাড়ির মৃৎশিল্পী নারী-পুরুষেরা। কেউ ব্লেড দিয়ে মাটি কেটে পানি মিশে ছানছেন, কেউবা সেই মাটি দিয়ে যান্ত্রিক মেশিনে তৈরি করছেন বিভিন্ন পণ্য, কেউবা সেগুলো রোদে শুকাতে ব্যস্ত, কেউ রঙে রাঙিয়ে তোলার কাজ করছেন, আবার কেউ সেগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী রূপান্তরের লক্ষ্যে আগুনে পুড়ছেন।
এদেরই একজন ষাটোর্ধ্ব পুলিন চন্দ্র পাল। এ বয়সে বিদ্যুৎচালিত মেশিনে বসে তৈরি করছেন ফুলদানিসহ পূজাকেন্দ্রিক বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী। পাশেই রঙের কাজে ব্যস্ত তাঁর স্ত্রী মধু রানী। অন্যদিকে স্ত্রী ঝর্ণা রানীকে নিয়ে রং করা পণ্যগুলো আগুনে পোড়াচ্ছেন ওই দম্পতির ছেলে খোকন চন্দ্র পাল। শেবেন চন্দ্র পাল নামে এ দম্পতির আরও এক ছেলেসহ পরিবারের সদস্যসংখ্যা ১০ জন। এ পেশাতেই মিটছে পরিবারটির মৌলিক চাহিদা।
পুলিন চন্দ্র বলেন, ‘আগে ভাঁড়ে মাটির তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে গ্রামে-গ্রামে বিক্রি করতাম। এর মধ্যে ছিল মাটির হাঁড়ি, কলসি, বাসন, সানকি, পাতিল, মিষ্টি-দইয়ের পাতিল, বাটি, মাটির ব্যাংক, ফুলদানি, ছাইদনি, কলমদানি, ধুপদানি ও পুতুলসহ নানা খেলনাসামগ্রী। বর্তমানে এসব সামগ্রীর পুরোটাই দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি দ্রব্যাদি।’
ছেলে খোকন চন্দ্র পাল জানান, ‘প্রথমে পণ্য তৈরির উপযুক্ত মাটি সংগ্রহ করতে হয়। এরপর ভালোভাবে কেটে ও ছানার পর তা দিয়ে নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরি করতে হয়। এরপর আকাশ মেঘলা না থাকলে শুকানোর জন্য দুদিনের রোদ যথেষ্ট। এরপর শুরু হয় রং করার পালা। শেষে টানা তিন ঘণ্টা আগুনে পুড়িয়ে তা ব্যবহারের উপযুক্ত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ফুলের টব আকার ভেদে ৬ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে নার্সারি মালিকদের ক্ষেত্রে হাজার প্রতি দাম কম রাখা হয়। এ ছাড়া দইয়ের খুঁটি প্রতি হাজার ১৬শ টাকা এবং দইয়ের প্রতিটি সরা (বড় খুঁটি) ৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান নয়ন জানান, মৃৎশিল্পীরা চাইলে তাদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া করোনার সময় তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে