প্রত্যন্ত এলাকার ঘরে অনীহা বাসিন্দাদের

তিতাস প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ২৩
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪১

‘স্যার আমি ওই ঘরে থাকতাম না। আমার নামডা কাইট্টা দলিলডা রাইখা দেন।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপরে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় কথাগুলো বলছিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রহিমা বেগম (৬৫)। উপজেলা পরিষদের হলরুমে ওই সভা হয়। এতে অংশ নিয়ে রহিমা বেগম জানান, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে তিনি আর থাকতে চান না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশপাশে কোনো বাজার নেই। নেই কোনো কাজের ব্যবস্থা।

প্রায় একই কথা বলেন রানু আক্তারও। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। ওইখানে আমি থাকতে পারমু না। কারণ কাজের কোনো ব্যবস্থা নাই। আমি কাজ না করতে পারলে ছেলে-মেয়ে নিয়া খামু কি?’

টাস্কফোর্স কমিটির সভায় নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘স্যার আমি ওখানে থাকব না। পারলে আমাকে আমার ইউনিয়নে দেন।’

শিউলি আক্তার বলেন, ‘আশ্রয়ণের পানি খাওয়া যায় না। পানি থেকে গন্ধ আসে।’

এর পরিপ্রেক্ষিতে সভার বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন সরকার উপকারভোগীদের অনুরোধ করে বলেন, ‘আপনারা থাকেন। আপনাদের সব সমস্যা আমরা সমাধান করে দেব।’

জানা গেছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তিতাসের ভিটিকান্দা ইউনিয়নের দাসকান্দিতে ৫২টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তিতাসের ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ১০-১৫টি ঘরে উপকারভোগীরা বসবাস করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম মোর্শেদ বলেন, ‘ আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানে ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে পাট, বেত ও বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা যাতে হাঁস-মুরগি পালন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তাঁদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থাও করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত