নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা
ডায়ালাইসিস মেশিন কিংবা কিডনি বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নেই। তবু উত্তরার রেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিডনি ও হার্টের রোগে আক্রান্ত নুরুল ইসলামকে (৪৬)। গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হন নুরুল। ভর্তির সময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রসিদ ছাড়া তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নেয়। কিছুক্ষণ পর আরও টাকা চাইলে সঙ্গে থাকা শেষ সম্বল ১৬ হাজার ২০০ টাকা হাসপাতালে জমা দেন তাঁর স্বজনেরা।
এদিকে রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আট ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে আরও ২৯ হাজার ২০০ টাকার বিল ধরিয়ে দেয় তারা। এরপর ১৫ মিনিটের মধ্যেই রোগীকে নিয়ে চলে যেতে বলা হয়। উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চান স্বজনেরা। ফোন পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ গিয়ে সমঝোতা করে আরও ৯ হাজার ৮০০ টাকা দিতে বলে। সঙ্গে টাকা না থাকলেও বিকাশের মাধ্যমে এনে টাকা জমা দিতে হয় স্বজনদের। পরে রোগীকে সরকারি কোনো হাসপাতালে না নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিয়ে যান তাঁরা।
নুরুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল ইসলাম গতকাল সোমবার এমন অভিযোগ করেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রসিদের মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ২০০ টাকা বিল দিয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকাসহ মোট ৩২ হাজার টাকা দিয়েছি আমরা। প্রতারণা করে তারা এত টাকার বিল দিয়েছে। বাস্তবে একজন চিকিৎসক দেখভাল করলেও রসিদে তিনজনের কথা বলে তারা ৫ হাজার টাকা বিল করেছে। ৮ ঘণ্টায় আইসিইউ চার্জ ৭ হাজার এবং ভেন্টিলেটর চার্জ ৮ হাজার টাকা বিল করেছে। যা গরিবের রক্ত চোষার মতো। অন্য হাসপাতালে নেওয়ার মতো আর টাকা নেই। বাধ্য হয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।’
মাজেদুল বলেন, ‘আমার বাবা তুরাগের পাকুরিয়া এলাকার ভাড়া থেকে বাসের ড্রাইভারি করতেন। তিনি কিছুদিন থেকে কিডনি ও হার্টের রোগে ভুগছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রেসক্রিপশনসহ উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেসক্রিপশন না দেখেই আমার বাবাকে ভর্তি করায়। তখন হাসপাতালে কোনো চিকিৎসকও ছিল না। পরে ফোন করে একজন ডাক্তার আনা হয়।’
মাজেদুল অভিযোগ করেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ আমার বাবাকে তারা ভর্তি করিয়েছে। আশানুরূপ কোনো চিকিৎসা না দিয়ে রক্ত চোষার মতো সব টাকা নিয়েছে। তাদের চিকিৎসায় বরং বাবা আরও অসুস্থ হয়েছে। অবশেষে আমাদের কাছে থাকা সব টাকা রেডিকেল হাসপাতালে দিয়ে খালি হাতে বাবাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।’
রেডিকেল হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো অতিরিক্ত বিল করি নাই। বিল যা হয়েছে তা-ই ধরা হয়েছে। রোগীর লোকজন পুরো টাকা দিতে না পারায় সর্বোচ্চ কনসিডার করে ২৯ হাজার ২০০ টাকা বিল করি। সেটার পরিবর্তে ৯ হাজার ৮০০ টাকা রেখেছি।’
ডায়ালাইসিস মেশিন কিংবা কিডনি বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নেই। তবু উত্তরার রেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিডনি ও হার্টের রোগে আক্রান্ত নুরুল ইসলামকে (৪৬)। গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হন নুরুল। ভর্তির সময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রসিদ ছাড়া তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নেয়। কিছুক্ষণ পর আরও টাকা চাইলে সঙ্গে থাকা শেষ সম্বল ১৬ হাজার ২০০ টাকা হাসপাতালে জমা দেন তাঁর স্বজনেরা।
এদিকে রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আট ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে আরও ২৯ হাজার ২০০ টাকার বিল ধরিয়ে দেয় তারা। এরপর ১৫ মিনিটের মধ্যেই রোগীকে নিয়ে চলে যেতে বলা হয়। উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চান স্বজনেরা। ফোন পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ গিয়ে সমঝোতা করে আরও ৯ হাজার ৮০০ টাকা দিতে বলে। সঙ্গে টাকা না থাকলেও বিকাশের মাধ্যমে এনে টাকা জমা দিতে হয় স্বজনদের। পরে রোগীকে সরকারি কোনো হাসপাতালে না নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিয়ে যান তাঁরা।
নুরুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল ইসলাম গতকাল সোমবার এমন অভিযোগ করেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রসিদের মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ২০০ টাকা বিল দিয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকাসহ মোট ৩২ হাজার টাকা দিয়েছি আমরা। প্রতারণা করে তারা এত টাকার বিল দিয়েছে। বাস্তবে একজন চিকিৎসক দেখভাল করলেও রসিদে তিনজনের কথা বলে তারা ৫ হাজার টাকা বিল করেছে। ৮ ঘণ্টায় আইসিইউ চার্জ ৭ হাজার এবং ভেন্টিলেটর চার্জ ৮ হাজার টাকা বিল করেছে। যা গরিবের রক্ত চোষার মতো। অন্য হাসপাতালে নেওয়ার মতো আর টাকা নেই। বাধ্য হয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।’
মাজেদুল বলেন, ‘আমার বাবা তুরাগের পাকুরিয়া এলাকার ভাড়া থেকে বাসের ড্রাইভারি করতেন। তিনি কিছুদিন থেকে কিডনি ও হার্টের রোগে ভুগছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রেসক্রিপশনসহ উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেসক্রিপশন না দেখেই আমার বাবাকে ভর্তি করায়। তখন হাসপাতালে কোনো চিকিৎসকও ছিল না। পরে ফোন করে একজন ডাক্তার আনা হয়।’
মাজেদুল অভিযোগ করেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ আমার বাবাকে তারা ভর্তি করিয়েছে। আশানুরূপ কোনো চিকিৎসা না দিয়ে রক্ত চোষার মতো সব টাকা নিয়েছে। তাদের চিকিৎসায় বরং বাবা আরও অসুস্থ হয়েছে। অবশেষে আমাদের কাছে থাকা সব টাকা রেডিকেল হাসপাতালে দিয়ে খালি হাতে বাবাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।’
রেডিকেল হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো অতিরিক্ত বিল করি নাই। বিল যা হয়েছে তা-ই ধরা হয়েছে। রোগীর লোকজন পুরো টাকা দিতে না পারায় সর্বোচ্চ কনসিডার করে ২৯ হাজার ২০০ টাকা বিল করি। সেটার পরিবর্তে ৯ হাজার ৮০০ টাকা রেখেছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে