রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। বর্ষায় তীব্র স্রোত, শীতে ঘন কুয়াশা, ঘাটসংকট, ফেরিসংকট ও নদীতে নাব্যতা সংকটসহ বিভিন্ন কারণে সারা বছরই দুর্ভোগের শিকার হয় দৌলতদিয়া ব্যবহারকারীরা।
স্বাভাবিক সময়ে দিনে তিন থেকে চার হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদের আগে বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এ সময় যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষকে। ফলে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকায় বেড়ে যায় অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য।
এসব দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে সব হারিয়ে খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হয় অনেক যাত্রীকে। আসন্ন ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পুলিশ নিয়েছে নানা উদ্যোগ।
জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে মোট ১৯টি ফেরি রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এই পথে ২১টি ফেরি চলবে। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ায় চারটি করে আটটি ঘাট রয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দুই পাড়ে আরও দুটি ঘাট বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য থাকবে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত থাকবে আলোর ব্যবস্থা এবং শৌচাগার।
সরেজমিন গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে আছে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। প্রতিটা যানবাহনকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নিলেও এমন অবস্থায় ভোগান্তির শঙ্কায় রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাকচালক গফুর মোল্লা বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে ফেরিঘাটে এসেছেন। শনিবার দুপুরেও ফেরিতে উঠতে পারেননি। কখন ফেরি পাবেন, সেটা জানি না। ঘাটে আটকে থেকে খুবই কষ্ট হচ্ছে, ঠিকমতো সাহ্রি ও ইফতার করতে পারছেন না।
একটি পরিবহনের যাত্রী ইসমাইল বলেন, ‘ঈদের আগেই ভোগান্তি। ফেরিতে উঠতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগছে। ঈদের সময় ১০ ঘণ্টাতেও ফেরিতে উঠতে পারব না। ফেরির সংখ্যা বাড়াতে হবে, নইলে ভোগান্তিতে মানুষের ঈদ তেতো হয়ে যাবে।’
সোহাগ পরিবহনের চালক মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদে ভোগান্তির শেষ থাকবে না। এখনো সময় আছে, ফেরি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এই পথে কমপক্ষে ৩০টি ফেরি দরকার। তাহলে ভোগান্তি কমবে।
আরেক চালক গোলাম মওলা বলেন, ‘শুনেছি ঈদে ২১টি ফেরি চলবে। তবে সব কটি সচল থাকবে তো? ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করলে ২১টার মধ্যে দু-একটি বিকল হবেই। তখন ফেরির সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮ থেকে ১৯। তাহলে ভোগান্তি কমবে কী করে? এখন ১৯টি ফেরি দিয়ে চাপ সামাল দিতে পারছে না, তখন তো থাকবে কঠিন চাপ।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, এই পথে ১৯টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে দুটি যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ভাসমান করখানায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদে ২১টি চলবে। এরই মধ্যে বিকল ফেরিগুলো মেরামত করা হয়েছে। দৌলতদিয়ায় পাঁচটি ও পাটুরিয়াতে পাঁচটি ঘাট সচল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিন দিন আগে ও পরে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে।
পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, ঈদ সামনে রেখে ঘাট এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে যায়। অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় অনেক যাত্রীকে। এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রীরা এমন পরিস্থিতিতে যেন না পড়ে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মহাসড়কে পুলিশের টহল দল থাকবে। ঘাট এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সাদা পোশাকে পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। বর্ষায় তীব্র স্রোত, শীতে ঘন কুয়াশা, ঘাটসংকট, ফেরিসংকট ও নদীতে নাব্যতা সংকটসহ বিভিন্ন কারণে সারা বছরই দুর্ভোগের শিকার হয় দৌলতদিয়া ব্যবহারকারীরা।
স্বাভাবিক সময়ে দিনে তিন থেকে চার হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদের আগে বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এ সময় যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষকে। ফলে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকায় বেড়ে যায় অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য।
এসব দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে সব হারিয়ে খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হয় অনেক যাত্রীকে। আসন্ন ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পুলিশ নিয়েছে নানা উদ্যোগ।
জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে মোট ১৯টি ফেরি রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এই পথে ২১টি ফেরি চলবে। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ায় চারটি করে আটটি ঘাট রয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দুই পাড়ে আরও দুটি ঘাট বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য থাকবে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত থাকবে আলোর ব্যবস্থা এবং শৌচাগার।
সরেজমিন গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে আছে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। প্রতিটা যানবাহনকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নিলেও এমন অবস্থায় ভোগান্তির শঙ্কায় রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাকচালক গফুর মোল্লা বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে ফেরিঘাটে এসেছেন। শনিবার দুপুরেও ফেরিতে উঠতে পারেননি। কখন ফেরি পাবেন, সেটা জানি না। ঘাটে আটকে থেকে খুবই কষ্ট হচ্ছে, ঠিকমতো সাহ্রি ও ইফতার করতে পারছেন না।
একটি পরিবহনের যাত্রী ইসমাইল বলেন, ‘ঈদের আগেই ভোগান্তি। ফেরিতে উঠতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগছে। ঈদের সময় ১০ ঘণ্টাতেও ফেরিতে উঠতে পারব না। ফেরির সংখ্যা বাড়াতে হবে, নইলে ভোগান্তিতে মানুষের ঈদ তেতো হয়ে যাবে।’
সোহাগ পরিবহনের চালক মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদে ভোগান্তির শেষ থাকবে না। এখনো সময় আছে, ফেরি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এই পথে কমপক্ষে ৩০টি ফেরি দরকার। তাহলে ভোগান্তি কমবে।
আরেক চালক গোলাম মওলা বলেন, ‘শুনেছি ঈদে ২১টি ফেরি চলবে। তবে সব কটি সচল থাকবে তো? ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করলে ২১টার মধ্যে দু-একটি বিকল হবেই। তখন ফেরির সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮ থেকে ১৯। তাহলে ভোগান্তি কমবে কী করে? এখন ১৯টি ফেরি দিয়ে চাপ সামাল দিতে পারছে না, তখন তো থাকবে কঠিন চাপ।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, এই পথে ১৯টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে দুটি যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ভাসমান করখানায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদে ২১টি চলবে। এরই মধ্যে বিকল ফেরিগুলো মেরামত করা হয়েছে। দৌলতদিয়ায় পাঁচটি ও পাটুরিয়াতে পাঁচটি ঘাট সচল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিন দিন আগে ও পরে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে।
পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, ঈদ সামনে রেখে ঘাট এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে যায়। অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় অনেক যাত্রীকে। এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রীরা এমন পরিস্থিতিতে যেন না পড়ে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মহাসড়কে পুলিশের টহল দল থাকবে। ঘাট এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সাদা পোশাকে পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪