হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
দেড় মাস আগে দেশে এসেছেন কাতারপ্রবাসী সৈয়দ সাইদুল আলম শাহেদ। প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন এবার ঘরের কাজটা শেষ করে ফিরে যাবেন। কিন্তু সম্প্রতি রড, সিমেন্ট, ইট, বালুসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি ঘরের কাজ করতে পারছেন না। নির্মাণসামগ্রীর দাম না কমলে ভবন নির্মাণকাজ না করেই এবার ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রবাসী।
সৈয়দ সাইদুল আলম শাহেদ নগরীর অক্সিজেন নয়াহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার গায়েবি মসজিদের পাশে তিনতলা একটি ভবনের কাজ শুরু করেছেন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চার মাসের ছুটিতে এসেছিলাম। এই চার মাসে ঘরের (দালান) কাছটা শেষ করে যাব ভাবছি। এ জন্য দেশে এসে একটি জমিও বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে দেখি সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। ৭০ হাজার টাকার রড বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার টাকায়। ৬ হাজার টাকার দরজা বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্মাণসামগ্রীর দাম যদি না কমে তাহলে বাড়ির কাজ করব না।’
শুধু সৈয়দ সাইদুল আলম শাহেদ নয়, নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁর মতো অনেক মধ্যবিত্তের দালান তৈরির স্বপ্ন ভেস্তে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রবাসীদের বাড়ি তৈরির স্বপ্ন। কারণ, যাঁরা প্রবাসে থাকেন তাঁদের প্রথম স্বপ্ন হলো, দেশে একটি সুন্দর দালানঘর তৈরি করা। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তাঁদের সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। ফিনিশিং ম্যাটেরিয়ালস ছাড়া আগে যেখানে প্রতি বর্গফুটে স্ট্রাকচার নির্মাণ ব্যয় হতো ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। সেখানে এখন এই প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়ছে ১৭০০ থেকে ১৭৫০ টাকায়। শুধু স্ট্রাকচার নির্মাণে ব্যয় বেড়েছে অন্তত ১৫ শতাংশ। এদিকে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এখন ফ্ল্যাটের দামের সঙ্গে বাড়তি নির্মাণ ব্যয় সমন্বয় শুরু করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। যে কারণে এখন বাড়তে শুরু করেছে ফ্ল্যাটের দাম। কিছুদিন আগেও যেখানে মাঝারি মানের একটি ফ্ল্যাট ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকায় পাওয়া যেত। সেখানে এখন ওই মানের একটি ফ্ল্যাট কিনতে ব্যয় করতে হবে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা। আর তাতে মৌলিক চাহিদার অন্যতম আবাসন মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে এখন টনপ্রতি রডের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ হাজার টাকা। গত মাসে ৭৫ গ্রেডের প্রতি টন রড বিক্রি হয়েছে ৭৭ থেকে ৭৯ হাজার টাকায়। আর এখন একই মানের প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। বিএসআরএম ব্র্যান্ডের প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার টাকায়, আরএসআরএমের ৮৮ হাজার টাকা, একেএস স্টিল ৮৭ হাজার টাকায়। অন্যদিকে ৬০ গ্রেডের রড গত মাসে প্রতি টন বিক্রি হয়েছিল ৭০ হাজার টাকায়। এখন একই মানের রড বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার টাকায়। ৪০ গ্রেডের রড গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ৫৬ হাজার টাকায়। সেই রড এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা।
সিমেন্টের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কোম্পানিভেদে গত মাসে যেখানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে ৪১০ থেকে ৪৩০ টাকায়। সেখানে ওই সিমেন্ট এখন প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪৭০ থেকে ৪৯০ টাকায়। রয়েল সিমেন্ট প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়, রুবি সিমেন্ট ৪৭০ টাকায়, ডায়মন্ড সিমেন্ট ৪৮০ টাকায় এবং শাহ সিমেন্ট প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। এ ছাড়া দাম বেড়ে এখন প্রতি বর্গফুট পাথর বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। প্রতি ঘনফুট বালু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। ১০ টাকার ইট বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। অন্যদিকে দাম বেড়ে প্রতি বর্গফুট থাই অ্যালুমিনিয়াম বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকায়। রডের দাম বাড়ায় গ্রিল ও রেলিংয়ের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া স্যানিটেশন, পিভিসি পাইপ ফিটিংসের দামও বেড়েছে। আর তাতে সব মিলিয়ে বেড়ে গেছে নির্মাণ ব্যয়।
একটি ভবন নির্মাণে এখন আগের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পারফেক্ট অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি কনস্ট্রাকশনস ফার্মের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার রানা নাগ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন একটি ভবন নির্মাণে আগের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। প্লাবিং, ইলেকট্রিক, টাইলস ছাড়া আগে যেখানে ভবনের প্রতি বর্গফুট স্ট্রাকচার নির্মাণে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ব্যয় হতো, সেখানে এখন প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। এখন প্রতি স্কয়ার ফুটে শুধু রডের পেছনে খরচ বেড়েছে ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ।
রানা নাগ আরও বলেন, সাধারণত একটি ভবন তৈরিতে প্রতি স্কয়ার ফুটে ৫ কেজি থেকে সাড়ে ৫ কেজি রড প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে আগে প্রতি স্কয়ার ফুটে রডের পেছনে খরচ হতো ৪৪০ টাকা। আর এখন সেখানে খরচ হচ্ছে ৪৯৫ টাকা। সেই হিসাবে এখন প্রতি স্কয়ার ফুটে রডের পেছনে বাড়তি খরচ পড়ছে প্রায় ৫৫ টাকা।
রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক মাসে নির্মাণসামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে এখন ভবন নির্মাণে খরচ আগের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। আগে যে ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে ৫০ লাখ টাকা খরচ হতো। ওই ফ্ল্যাট নির্মাণে এখন ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা খরচ পড়ছে। এভাবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়তে থাকলে আবাসন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরের চলে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘নির্মাণসামগ্রীর বাড়তি ব্যয় আমরা এখনো সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা এখন বিষয়টি পর্যালোচনায় রাখছি। দাম যদি কমে না আসে, তাহলে বাড়তি ব্যয় সমন্বয় না করে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দেড় মাস আগে দেশে এসেছেন কাতারপ্রবাসী সৈয়দ সাইদুল আলম শাহেদ। প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন এবার ঘরের কাজটা শেষ করে ফিরে যাবেন। কিন্তু সম্প্রতি রড, সিমেন্ট, ইট, বালুসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি ঘরের কাজ করতে পারছেন না। নির্মাণসামগ্রীর দাম না কমলে ভবন নির্মাণকাজ না করেই এবার ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রবাসী।
সৈয়দ সাইদুল আলম শাহেদ নগরীর অক্সিজেন নয়াহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার গায়েবি মসজিদের পাশে তিনতলা একটি ভবনের কাজ শুরু করেছেন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চার মাসের ছুটিতে এসেছিলাম। এই চার মাসে ঘরের (দালান) কাছটা শেষ করে যাব ভাবছি। এ জন্য দেশে এসে একটি জমিও বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে দেখি সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। ৭০ হাজার টাকার রড বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার টাকায়। ৬ হাজার টাকার দরজা বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্মাণসামগ্রীর দাম যদি না কমে তাহলে বাড়ির কাজ করব না।’
শুধু সৈয়দ সাইদুল আলম শাহেদ নয়, নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁর মতো অনেক মধ্যবিত্তের দালান তৈরির স্বপ্ন ভেস্তে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রবাসীদের বাড়ি তৈরির স্বপ্ন। কারণ, যাঁরা প্রবাসে থাকেন তাঁদের প্রথম স্বপ্ন হলো, দেশে একটি সুন্দর দালানঘর তৈরি করা। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তাঁদের সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। ফিনিশিং ম্যাটেরিয়ালস ছাড়া আগে যেখানে প্রতি বর্গফুটে স্ট্রাকচার নির্মাণ ব্যয় হতো ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। সেখানে এখন এই প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়ছে ১৭০০ থেকে ১৭৫০ টাকায়। শুধু স্ট্রাকচার নির্মাণে ব্যয় বেড়েছে অন্তত ১৫ শতাংশ। এদিকে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এখন ফ্ল্যাটের দামের সঙ্গে বাড়তি নির্মাণ ব্যয় সমন্বয় শুরু করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। যে কারণে এখন বাড়তে শুরু করেছে ফ্ল্যাটের দাম। কিছুদিন আগেও যেখানে মাঝারি মানের একটি ফ্ল্যাট ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকায় পাওয়া যেত। সেখানে এখন ওই মানের একটি ফ্ল্যাট কিনতে ব্যয় করতে হবে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা। আর তাতে মৌলিক চাহিদার অন্যতম আবাসন মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে এখন টনপ্রতি রডের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ হাজার টাকা। গত মাসে ৭৫ গ্রেডের প্রতি টন রড বিক্রি হয়েছে ৭৭ থেকে ৭৯ হাজার টাকায়। আর এখন একই মানের প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। বিএসআরএম ব্র্যান্ডের প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার টাকায়, আরএসআরএমের ৮৮ হাজার টাকা, একেএস স্টিল ৮৭ হাজার টাকায়। অন্যদিকে ৬০ গ্রেডের রড গত মাসে প্রতি টন বিক্রি হয়েছিল ৭০ হাজার টাকায়। এখন একই মানের রড বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার টাকায়। ৪০ গ্রেডের রড গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ৫৬ হাজার টাকায়। সেই রড এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা।
সিমেন্টের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কোম্পানিভেদে গত মাসে যেখানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে ৪১০ থেকে ৪৩০ টাকায়। সেখানে ওই সিমেন্ট এখন প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪৭০ থেকে ৪৯০ টাকায়। রয়েল সিমেন্ট প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়, রুবি সিমেন্ট ৪৭০ টাকায়, ডায়মন্ড সিমেন্ট ৪৮০ টাকায় এবং শাহ সিমেন্ট প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। এ ছাড়া দাম বেড়ে এখন প্রতি বর্গফুট পাথর বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। প্রতি ঘনফুট বালু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। ১০ টাকার ইট বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। অন্যদিকে দাম বেড়ে প্রতি বর্গফুট থাই অ্যালুমিনিয়াম বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকায়। রডের দাম বাড়ায় গ্রিল ও রেলিংয়ের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া স্যানিটেশন, পিভিসি পাইপ ফিটিংসের দামও বেড়েছে। আর তাতে সব মিলিয়ে বেড়ে গেছে নির্মাণ ব্যয়।
একটি ভবন নির্মাণে এখন আগের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পারফেক্ট অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি কনস্ট্রাকশনস ফার্মের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার রানা নাগ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন একটি ভবন নির্মাণে আগের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। প্লাবিং, ইলেকট্রিক, টাইলস ছাড়া আগে যেখানে ভবনের প্রতি বর্গফুট স্ট্রাকচার নির্মাণে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ব্যয় হতো, সেখানে এখন প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। এখন প্রতি স্কয়ার ফুটে শুধু রডের পেছনে খরচ বেড়েছে ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ।
রানা নাগ আরও বলেন, সাধারণত একটি ভবন তৈরিতে প্রতি স্কয়ার ফুটে ৫ কেজি থেকে সাড়ে ৫ কেজি রড প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে আগে প্রতি স্কয়ার ফুটে রডের পেছনে খরচ হতো ৪৪০ টাকা। আর এখন সেখানে খরচ হচ্ছে ৪৯৫ টাকা। সেই হিসাবে এখন প্রতি স্কয়ার ফুটে রডের পেছনে বাড়তি খরচ পড়ছে প্রায় ৫৫ টাকা।
রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক মাসে নির্মাণসামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে এখন ভবন নির্মাণে খরচ আগের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। আগে যে ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে ৫০ লাখ টাকা খরচ হতো। ওই ফ্ল্যাট নির্মাণে এখন ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা খরচ পড়ছে। এভাবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়তে থাকলে আবাসন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরের চলে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘নির্মাণসামগ্রীর বাড়তি ব্যয় আমরা এখনো সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা এখন বিষয়টি পর্যালোচনায় রাখছি। দাম যদি কমে না আসে, তাহলে বাড়তি ব্যয় সমন্বয় না করে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে