আল-আমিন রাজু, ঢাকা
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় সরকার সংকোচন নীতি চালু করেছে। কিন্তু এ সময়ে উল্টো পথে হাঁটছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। রাজধানী ঢাকার প্রায় সব মোড়েই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের বক্স। এসব বক্সে দু-একজন করে বিশ্রাম নিলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে লাইট-ফ্যান। এমনকি কোনো কোনো পুলিশ বক্সে চলতে থাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র (এসি)। ঢাকার অন্তত ২০টি ট্রাফিক বক্স ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত প্রবেশদ্বার গাবতলী। সম্প্রতি সেখানকার পুলিশ বক্সে দেখা যায়, রোদ-ধুলো, বৃষ্টিতে দায়িত্ব পালনের পর ক্লান্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। পাশেই আরেক কক্ষে বসে আছেন গাবতলীর ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই)। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে লাইট-ফ্যান, এসি,টিভি, চায়ের গরম পানি ফোটাতে বৈদ্যুতিক হিটারসহ নানা সরঞ্জাম। এসবের জন্য ব্যবহার হচ্ছে একাধিক বিদ্যুৎ-সংযোগ। প্রধান সংযোগটি নেওয়া হয়েছে ট্রাফিক বক্সের ২০-২৫ গজের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যুতের খুঁটি থেকে। আরেকটি সংযোগ নেওয়া হয়েছে রইস বাস কাউন্টারের তার থেকে। নেই কোনো মিটার, নেই বিলের হিসাব।
কীভাবে সংযোগ নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে গাবতলীর টিআই কামরুজ্জামান বলেন, ‘এটা সরকারি লাইন। আমরা নিয়েছি।’ মিটার না থাকায় বিল কীভাবে দেওয়া হয়? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি টিআই কামারুজ্জামান। তবে অবৈধ ও দুটো বিদ্যুৎ-সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে কামরুজ্জামান বলেন, ‘গরমে কাজ করে ফ্যানের নিচে বসি। এ ছাড়া আর কোনো কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় না।’
ট্রাফিক পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি। মোহাম্মদপুরের ব্যস্ততম এলাকা বেড়িবাঁধ লাগোয়া কার্যালয়টির চারপাশই বিভিন্ন প্রজাতির গাছে ঘেরা। একটি নার্সারির মাঝে সুসজ্জিত কার্যালয়ে রয়েছে দুটি এসি। পাশাপাশি কক্ষ দুটির সামনের জায়গায় দুটি ফ্যান ও লাইট। আর কার্যালয়টির বাইরে থাকা একটি খাম্বা থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে। কার্যালয়টির চারদিকে থাকা প্রতিটি সাইনবোর্ডে অন্তত ২৫টি করে মোট ১০০ টিউবলাইট রয়েছে, যা সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জ্বলে। কিন্তু ভেতরে-বাইরে অনেক খুঁজেও পাওয়া গেল না কোনো বিদ্যুতের মিটার।
কার্যালয়টির দায়িত্বে থাকা টিআই জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অফিসের বাইরে কোথাও সংযোগ দেওয়া হয়নি। আর সাইনবোর্ডের সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করা হবে।’ এদিকে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে থাকা অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে আশপাশের বিভিন্ন চায়ের দোকানেও। রাজধানীর পান্থপথ, ধানমন্ডি, শ্যামলী, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন পুলিশ বক্সের পাশে থাকা চা-দোকানগুলোও চলছে অবৈধ সংযোগে।
এদিকে রাজধানীতে ঠিক কতগুলো ট্রাফিক পুলিশ বক্স রয়েছে, এর নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই ডিএমপির কাছে। এ বিষয়ে মিডিয়া বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তালেব বলেন, ‘ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশের কতগুলো ট্রাফিক বক্স ও কার্যালয় আছে, তার সঠিক হিসাব নেই। যেহেতু ট্রাফিক পুলিশের নিজস্ব জমি নেই সেহেতু উচ্ছেদসহ নানা কারণে এই সংখ্যা কমবেশি হয়।’
অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে জানতে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এক মাসের একটি ট্রেনিংয়ে তিনি ঢাকার বাইরে। কথা বলবেন না।
ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমপি উত্তর ট্রাফিকের বৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ আছে। সরকারিভাবে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়।’
ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। অবৈধ সংযোগ ব্যবহারের কারণে তাদের বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। অবৈধ লাইন ব্যবহারের কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা অথবা আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে। ডিপিডিসি ও ডেসকোর মতো বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ-সংযোগের ক্ষেত্রে পুলিশকে কিছুটা ছাড় দিতে হয় বলে স্বীকার করেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। বিদ্যুৎ অপচয়ের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে আজাদ বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে খুব বেশি বিদ্যুৎ লাগে না। চা দোকানে অবৈধ সংযোগ ও এসি চালানোসহ যেসব অভিযোগ শুনলাম তা আমার ঠিক জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।’
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় সরকার সংকোচন নীতি চালু করেছে। কিন্তু এ সময়ে উল্টো পথে হাঁটছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। রাজধানী ঢাকার প্রায় সব মোড়েই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের বক্স। এসব বক্সে দু-একজন করে বিশ্রাম নিলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে লাইট-ফ্যান। এমনকি কোনো কোনো পুলিশ বক্সে চলতে থাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র (এসি)। ঢাকার অন্তত ২০টি ট্রাফিক বক্স ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত প্রবেশদ্বার গাবতলী। সম্প্রতি সেখানকার পুলিশ বক্সে দেখা যায়, রোদ-ধুলো, বৃষ্টিতে দায়িত্ব পালনের পর ক্লান্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। পাশেই আরেক কক্ষে বসে আছেন গাবতলীর ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই)। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে লাইট-ফ্যান, এসি,টিভি, চায়ের গরম পানি ফোটাতে বৈদ্যুতিক হিটারসহ নানা সরঞ্জাম। এসবের জন্য ব্যবহার হচ্ছে একাধিক বিদ্যুৎ-সংযোগ। প্রধান সংযোগটি নেওয়া হয়েছে ট্রাফিক বক্সের ২০-২৫ গজের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যুতের খুঁটি থেকে। আরেকটি সংযোগ নেওয়া হয়েছে রইস বাস কাউন্টারের তার থেকে। নেই কোনো মিটার, নেই বিলের হিসাব।
কীভাবে সংযোগ নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে গাবতলীর টিআই কামরুজ্জামান বলেন, ‘এটা সরকারি লাইন। আমরা নিয়েছি।’ মিটার না থাকায় বিল কীভাবে দেওয়া হয়? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি টিআই কামারুজ্জামান। তবে অবৈধ ও দুটো বিদ্যুৎ-সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে কামরুজ্জামান বলেন, ‘গরমে কাজ করে ফ্যানের নিচে বসি। এ ছাড়া আর কোনো কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় না।’
ট্রাফিক পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি। মোহাম্মদপুরের ব্যস্ততম এলাকা বেড়িবাঁধ লাগোয়া কার্যালয়টির চারপাশই বিভিন্ন প্রজাতির গাছে ঘেরা। একটি নার্সারির মাঝে সুসজ্জিত কার্যালয়ে রয়েছে দুটি এসি। পাশাপাশি কক্ষ দুটির সামনের জায়গায় দুটি ফ্যান ও লাইট। আর কার্যালয়টির বাইরে থাকা একটি খাম্বা থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে। কার্যালয়টির চারদিকে থাকা প্রতিটি সাইনবোর্ডে অন্তত ২৫টি করে মোট ১০০ টিউবলাইট রয়েছে, যা সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জ্বলে। কিন্তু ভেতরে-বাইরে অনেক খুঁজেও পাওয়া গেল না কোনো বিদ্যুতের মিটার।
কার্যালয়টির দায়িত্বে থাকা টিআই জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অফিসের বাইরে কোথাও সংযোগ দেওয়া হয়নি। আর সাইনবোর্ডের সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করা হবে।’ এদিকে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে থাকা অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে আশপাশের বিভিন্ন চায়ের দোকানেও। রাজধানীর পান্থপথ, ধানমন্ডি, শ্যামলী, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন পুলিশ বক্সের পাশে থাকা চা-দোকানগুলোও চলছে অবৈধ সংযোগে।
এদিকে রাজধানীতে ঠিক কতগুলো ট্রাফিক পুলিশ বক্স রয়েছে, এর নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই ডিএমপির কাছে। এ বিষয়ে মিডিয়া বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তালেব বলেন, ‘ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশের কতগুলো ট্রাফিক বক্স ও কার্যালয় আছে, তার সঠিক হিসাব নেই। যেহেতু ট্রাফিক পুলিশের নিজস্ব জমি নেই সেহেতু উচ্ছেদসহ নানা কারণে এই সংখ্যা কমবেশি হয়।’
অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে জানতে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এক মাসের একটি ট্রেনিংয়ে তিনি ঢাকার বাইরে। কথা বলবেন না।
ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমপি উত্তর ট্রাফিকের বৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ আছে। সরকারিভাবে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়।’
ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। অবৈধ সংযোগ ব্যবহারের কারণে তাদের বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। অবৈধ লাইন ব্যবহারের কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা অথবা আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে। ডিপিডিসি ও ডেসকোর মতো বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ-সংযোগের ক্ষেত্রে পুলিশকে কিছুটা ছাড় দিতে হয় বলে স্বীকার করেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। বিদ্যুৎ অপচয়ের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে আজাদ বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে খুব বেশি বিদ্যুৎ লাগে না। চা দোকানে অবৈধ সংযোগ ও এসি চালানোসহ যেসব অভিযোগ শুনলাম তা আমার ঠিক জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে